বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
নানারকম
 

উজ্জ্বল কর্মকাণ্ডের নেপথ্যে

কিংবদন্তি চিত্র পরিচালকের ১০১ তম জন্মবর্ষপূর্তিতে ‘সত্যজিৎ রায় জন্মশতবর্ষ উদযাপন কমিটি’ ফিরে দেখল মানুষটির বহু প্রতিভার উজ্জ্বল কর্মকাণ্ড। অনুষ্ঠান শীর্ষকও খুব সামঞ্জস্যপূর্ণ ‘সত্যের জিত’। সেই বিজয় উৎসবে শামিল হয়েছিলেন আর এক কিংবদন্তি পরিচালক আদুর গোপালকৃষ্ণাণ। সেদিনের সন্ধ্যার প্রধান অতিথি বলেন, ‘সত্যজিৎ ভালোবাসতেন মানুষকে, মানবতাকে, প্রকৃতিকে। অন্তরের সত্যকে খুঁজে বের করাই ছিল তাঁর প্রধান কাজ। পরাবাস্তববাদী, রোমান্টিক মানুষটি তাঁর অন্তরের অনুভূতি চলচ্চিত্রায়িত করেছেন নিপুণভাবে।’ ১৯৫৮ সালে প্রথমবার ‘পথের পাঁচালি’ দেখেন আদুর। সেই ছবিতে সাবটাইটেল ছিল না। ‘তাতেও ছবির ভাষা বুঝতে আমার অসুবিধা হয়নি। মেকআপহীন শিল্পীদের কথোপকথন বুঝতে এতটুকু সমস্যা হয়নি। কারণ সবটাই ছিল চিরন্তন সত্য,’ বলছিলেন আদুর। সেদিনের অন্যান্য বিশিষ্টদের মধ্যে প্রবীণ পরিচালক তরুণ মজুমদার বলেন, ‘সত্যজিৎবাবু আমাদের শিখিয়েছিলেন, পর্দায় কখনও মিথ্যে কথা বলবে না।’ শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শ, ‘গভীর সঙ্কটের মুহূর্তে দাঁড়িয়ে সত্যের সন্ধানে তাঁর দেখানো পথে আরও ছবি নির্মাণ করতে হবে শত বাধা, প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও।’ 
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়, অশোক মুখোপাধ্যায়, কল্যাণ সেন বরাট, সায়রা শাহ হালিম প্রমুখ। স্বাগত ভাষণ দেন কমিটির সভাপতি সব্যসাচী চক্রবর্তী। সংকলন গ্রন্থ ‘সত্যজিৎ সন্দেশ’ প্রকাশ করেন তরুণ মজুমদার। পুরস্কৃত করা হয় পাঁচ মিনিটের সিনেমা, সৃজনশীল রচনা, ছবি আঁকা ও গ্রাফিক ডিজাইনিং এবং কণ্ঠসঙ্গীত বিভাগের সফল প্রতিযোগীদের। শুরুতে প্রদর্শিত হয় মণীশ ঘোষ পরিচালিত তথ্যচিত্র ‘রে ইন দ্য ট্রুথ’। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের পর কল্যাণ সেন বরাটের নির্দেশনায় ধ্বনিত হয় ‘আ মিউজিক্যাল জার্নি অব রে’। শেষে ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘ নিবেদন করে ডান্স থিয়েটার ‘এখনও গুপী বাঘা’। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কমিটি সম্পাদক তথা চলচ্চিত্র পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়।
—নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব চিত্র

6th     May,   2022
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ