বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
সিনেমা
 

থিয়েটার সবথেকে বেশি আনন্দ দেয়

কলকাতায় এসেছেন অভিনেতা রাজ বব্বরের কন্যা জুহি বব্বর সোনি। আজ শুক্রবার, কলকতা সেন্টার ফর ক্রিয়েটিভিতে থিয়েটার পারফরম্যান্সের আগে শিল্প ভাবনা নিয়ে কথা বললেন। লিখছেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য।

আপনার নাটক ‘আপ কি সাইয়ারা’তে মুখ্য চরিত্র এক আধুনিক নারী। আপনার কাছে আধুনিক নারীর সংজ্ঞা কী?
পরিবার এবং পেশার মধ্যে যিনি সুন্দর ব্যালেন্স করে চলেন, তিনিই আধুনিক নারী। সব জায়গায় নিজের কর্তব্য পালন করেন আজকের মেয়েরা। ঐতিহ্যকে মূল্য দেওয়া, যে কোনও সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার পাশাপাশি আধুনিক মেয়েদের কিন্তু নিজস্ব বক্তব্যও থাকে। 

আপনি অভিনয় করেন, আবার পরিচালনাও করছেন। কোন কাজটা তুলনামূলক কঠিন মনে হয়?
আসলে দুটো কাজ দু’রকমের। দু’টোতেই আলাদা চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ‘আপ কি সাইয়ারা’তে এই দুটো কাজের পাশাপাশি লেখাও আমার। এটা স্বীকার করতে কোনও অসুবিধা নেই, সবথেকে চ্যালেঞ্জিং ছিল লেখার কাজ।

বাবা রাজ বব্বর একজন তারকা। তাঁর মেয়ে হিসেবে অভিনয়ের কেরিয়ার তৈরি করা কতটা কঠিন ছিল?
আমি প্রাথমিক ভাবে নাট্যকর্মী। আমার ফিল্মি কেরিয়ার তো সেভাবে তৈরি হয়নি। তবে গত বছর যখন আমার ছবি ‘ফারাজ’ মুক্তি পেল, কাজের প্রশংসা পেয়েছি। পরিচালক হনসল মেহেতা, কাস্টিং ডিরেক্টর মুকেশ ছাবড়ার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। ওঁরা আমার উপর ভরসা করেছিলেন। আর যদি বাবার কথা বলি, বাবার স্টারডম বলুন বা যোগাযোগ আমাকে অবশ্যই একটা প্ল্যাটফর্ম দিয়েছিল। কিন্তু দিনের শেষে অডিশন দিতেই হবে। কোনও অভিভাবক বা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কোনও গডফাদার কারও সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারবেন না। এতবছর পরে হলেও আমার দক্ষতার কদর হচ্ছে, এতে আমি খুশি।  বাবা সত্যিই দারুণ আনন্দ পেয়েছে। 

অভিনয়ের ক্ষেত্রে বাবার সঙ্গে তুলনা শুনতে হয়? সেটা কীভাবে সামলান?
হ্যাঁ, তুলনা তো হতেই থাকে। কিন্তু এই তুলনা করাটা বোধহয় ঠিক নয়। কারণ আমার সিংহভাগ কাজই থিয়েটারে। তবে বাবা, মা সবসময় নিজের কাজে মন দিতে শিখিয়েছেন। আমি সে চেষ্টাই করি। আর এসব সময় আমি ওই গানটার কথাই ভাবি— ‘কুছ তো লোগ ক্যাহেঙ্গে, লোগো কা কাম হ্যায় ক্যাহেনা...’ (হাসি)। 

থিয়েটার, বড়পর্দা, ওয়েব প্ল্যাটফর্ম কোন মাধ্যমে কাজ করতে বেশি ভালো লাগে আপনার?
সব মাধ্যমই এনজয় করি। কিন্তু থিয়েটার আমাকে সবথেকে বেশি আনন্দ দেয়। বলতে পারেন, শিল্পী হিসেবে পূর্ণতা দেয়।

‘.. সাইয়ারা’র চরিত্র কীভাবে বুনেছেন?
সাইয়ারা চরিত্রটা আসলে একটা অন্য নাটক থেকে নেওয়া। আমিই লিখেছিলাম একটা মনোলগ। লকডাউনের সময় অনেক অনলাইন পারফরম্যান্স হতো। মুম্বইয়ের এক থিয়েটার কর্মী আমাকে অনলাইনে সাইয়ারা চরিত্রটা পারফর্ম করতে বলেন। আমি ওই পারফরম্যান্সের সময় নতুন করে লিখি। কারণ সামাজিক, রাজনৈতিক অনেক ঘটনা সাইয়ারার জীবনকে প্রভাবিত করে। ফলে চিত্রনাট্যে কিছু পরিবর্তন জরুরি ছিল। তারপর তো সব স্বাভাবিক হলে ৫০ শতাংশ দর্শক নিয়ে থিয়েটার শুরু হল। তখন পৃথ্বী থিয়েটার থেকে ওই অনলাইন পারফরম্যান্সটা করার অফার পাই। অনলাইনে ৪৫ মিনিটের পারফরম্যান্স ছিল। অফলাইনে সেটা এক ঘণ্টার উপর হবে। সেকারণে চিত্রনাট্যে ফের কিছু বদল আনতে হয়। তখনও সকলের প্রশংসা পেয়েছিলাম। দেশের বহু শহরে এই থিয়েটার নিয়ে গিয়েছি। এবার কলকাতায় পারফরম্যান্স। থিয়েটার, মিউজিক, শিল্প এই শহরে এত সমৃদ্ধ, আমি অপেক্ষায় রইলাম...।

5th     May,   2023
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ