বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
সিনেমা
 

রাজ সবদিক দারুণ
ব্যালান্স করতে পারে

তিন বছর পর শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় বড়পর্দায় ফিরছেন। ছবির নাম ‘হাবজি গাবজি’। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি, স্বামী, সন্তান, সংসার নিয়ে অকপট নায়িকা। শুনলেন অভিনন্দন দত্ত।

 তিন বছর পর আপনার ছবি হলে। কেমন লাগছে? 
 করোনা কাটিয়ে আবার যে সাধারণ জীবনে ফিরতে পারছি সেটাই শান্তি দিচ্ছে। সমাজকে ঠিক রাখার জন্য আমাদের দায়িত্বও বেড়েছে। 
 লকডাউনের জন্য বারবার মুক্তি পিছিয়েছে... 
 এর আগে ‘ধর্মযুদ্ধ’ ঘোষণা করেও রিলিজ করা যায়নি। হলে ফিরছি সেই ‘পরিণীতা’র পর। তখন পরপর ছবিগুলো শ্যুট করেছিলাম। ভাবিনি এতদিন ছবিগুলো আটকে থাকবে। মৃত্যুভয় কাটিয়ে মানুষ যে আবার সিনেমা হলে ফিরছেন, সেটা খুব বড় পাওনা। 
 এই ছবি মোবাইল গেমিংয়ে আসক্তির কথা বলে। আপনি নিজে কতটা মোবাইলে আসক্ত?
 আসক্তি তো আছেই, মিথ্যে বলে লাভ নেই। তবে আমি ব্যালান্স করার চেষ্টা করি। এই ছবির রিসার্চওয়ার্কের সময় অনেক ডাক্তার ও মনোবিদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। মোবাইলের নেতিবাচক দিকগুলো নিয়ে অনেক তথ্য জানতে পারি।  ঠিক করি, এর কিছু কিছু জিনিস নিজে প্রয়োগ করব। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর ফোন সায়লেন্ট মোডে রাখতাম। বেশি ব্যবহার করতাম না। সেই অভ্যাসগুলো এখনও রয়েছে।
 ইউভানকে মোবাইল ব্যবহার করতে দেন?
 আমি আর রাজ শুরু থেকেই সতর্ক ছিলাম। প্রায় সাত-আট মাস পর্যন্ত ওকে কোনও স্ক্রিনের সামনে বসতে দিইনি। এখনও গেম খেলতে দেওয়া হয় না। 
 ইউভান তো স্কুলে যাচ্ছে। জীবনের এই নতুন অধ্যায় কতটা উপভোগ করছেন?
 (হেসে) এখনকার বাচ্চারা এত স্মার্ট যে শুধু মনে হয়, ঈশ্বর যেন ওদের একদম তৈরি করে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আমার ছেলেও ঠিক সেরকম। স্কুলের প্রথম দিন ভেবেছিলাম ও হয়তো কান্নাকাটি করবে। স্কুলে গিয়ে দেখলাম, আমাকে ভুলে দিব্যি ও বন্ধুদের সঙ্গে মিশে গেল!
 ওকে ছেড়ে থাকতে কষ্ট হয়?
 এতদিন ও ছিল আমার ছায়াসঙ্গী। স্কুল থেকে কখন ফিরবে সেই অপেক্ষায় থাকি। স্কুলের জিনিসপত্র কেনা থেকে ওকে তৈরি করা সবটাই নিজে করেছি। ছেলে বড় হয়ে যাচ্ছে দেখে বলতে পারেন, একটু যেন কষ্টই হচ্ছে। এখন বুঝতে পারি কেন বাবা-মা বলতেন ‘তাড়াতাড়ি বড় হয়ে যাস না।’
 মা হওয়ার সময় কাজ থেকে সাময়িক বিরতি নিতেই হয়। কিন্তু আপনার ক্ষেত্রে তখন লকডাউন।
 হ্যাঁ, সেটা একদিক থেকে আশীর্বাদ। কারণ সে সময় ২৪ ঘণ্টা স্বামীকে পাশে পেয়েছি। যে কোনও অন্তঃসত্ত্বা মহিলা তো সেটাই আশা করেন। লকডাউন না থাকলেও হয়তো ব্রেক নিতাম। 
 চলচ্চিত্র উৎসবের চেয়ারম্যান থেকে বারাকপুরের বিধায়ক—বিগত কয়েক বছরে রাজের কাঁধে দায়িত্ব অনেক বেড়েছে। আপনাকে ঠিকমতো সময় দিতে পারছেন?
 রাজ সবদিক দারুণ ব্যালান্স করতে পারে। প্রচণ্ড পরিশ্রমী। জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে প্যাশনের সঙ্গে নিজের দায়িত্ব পালন করে। ওর থেকে অনেক শিখি। কোনও অভিযোগ নেই। ওকে যদি না বুঝি বা সাপোর্ট না করি, তাহলে আর ভালো স্ত্রী হলাম কোথায়? স্বামী-স্ত্রীর সুসম্পর্ক সবসময় ভালো পার্টনারশিপের উপর দাঁড়িয়ে। 
 ‘পরিণীতা’র পর ছবি নির্বাচনে আপনি কি আরও বেশি খুঁতখুঁতে?
 কোনওকিছু পছন্দ হলে সেটা আমি করবই। পছন্দ না হলে হাজার চেষ্টাতেও সেই কাজটা কেউ করাতে পারবে না। ছবির ক্ষেত্রেও এটাই আমার নীতি। ‘পরিণীতা’র পর সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বার্তা রয়েছে এমন কিছু চরিত্রের অফার পেয়েছি। 
তাই কি পরমব্রতর পরিচালনায় ‘বউদি ক্যান্টিন’ ছবিতে রাজি হলেন?    
 অবশ্যই। নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে এরকম একটা ছবিতে রাজি হব না!               
ছবির সংখ্যাও তো কমিয়েছেন।
 কোথায় কম? এই বছর আমার ৬টা ছবি রিলিজের কথা। করোনার জন্য ইন্ডাস্ট্রির একটা বড় সময় থমকে গিয়েছিল। ‘ডান্স বাংলা ডান্স’ করতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলাম।      
 বাণিজ্যিক ছবি দিয়ে কেরিয়ার শুরু। এই ধরনের ছবি কি আর আপনার প্রায়োরিটি লিস্টে নেই?
 সব ছবিই বাণিজ্যিক। কেউ নিজের পরিবারকে দেখানোর জন্য ছবি তৈরি করেন না! তাই ব্যবসাটা গুরুত্বপূর্ণ। গল্প বলার ধরন আলাদা হতেই পারে। যে ছবিগুলো আমাকে শুভশ্রী বানিয়েছে, তার প্রতি আমার অগাধ শ্রদ্ধা। সারা জীবন ওই ধরনের ছবি করতে চাই। তবে একটা কথা আছে। 
 বলুন... 
 তথাকথিত কমার্শিয়াল ছবি তৈরি করা সহজ নয়। গল্প, অ্যাকশন, নাচ-গান কত পরিশ্রম। অনেকে ভাবেন, আমরা বিদেশে গিয়ে ঘুরে বেড়াই আর ছুটি কাটাই। বরফের মধ্যে পাতলা শাড়ি পরে নাচা বেশ কঠিন। মালয়েশিয়ার গরমে সবাই যখন গলে যাচ্ছে, আমাকে তখন হাসি মুখে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে হচ্ছে। তাই এই ছবিগুলোকে ছোট করে দেখা উচিত নয়।

3rd     June,   2022
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ