বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
সিনেমা
 

অঙ্কুশের হাতেই জাদুদণ্ড

শৌণক সুর: স্টেজে দাঁড়িয়ে ইন্দ্রজিৎ। গায়ে ম্যাজিশিয়ানের পোশাক। সিটে বসা দর্শক রুদ্ধশ্বাস দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে। এমন সময় মন্ত্র উচ্চারিত হল ম্যাজিশিয়ানের মুখ থেকে। ‘সোনার কাঠি, রুপোর কাঠি, জিয়ন কাঠি এক..আওয়াজ পেলেই উঠবে জেগে খাঁচার ভিতর জ্যাক’। ততক্ষণে অবশ্য ফাঁকা খাঁচা ঢেকেছে কালো চাদরে। মন্ত্র শেষ হতেই খাঁচার ভিতর থেকে গর্জে উঠল ব্ল্যাক পান্থার। রাজা চন্দ পরিচালিত ‘ম্যাজিক’ ছবির শুরুতেই ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছে ইন্দ্রজিৎ (অঙ্কুশ)। বাসে তার সঙ্গে কৃতীর দেখা (ঐন্দ্রিলা)। তারপর ফর্মুলা মেনে একই অফিসে চাকরি-প্রেম। দু’জনেই ভালো ডিজাইনার। ইন্দ্র দুর্দান্ত ম্যাজিক জানে। এর সাহায্যে কৃতীর মন ভালো করে সে। ইন্দ্রের মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে চায় কৃতী। এদিকে মা-বাবাকে নিয়ে বিশদে কিছু বলতে নারাজ ইন্দ্র। কিন্তু প্রেমিকার অনুরোধে বাধ্য হয়েই নিজের বাড়িতে তাঁকে নিয়ে যায়। আলোআঁধারি পরিবেশ। আবার মন্ত্র উচ্চারণ করে ইন্দ্র। খুলে যায় বন্ধ আলমারির পাল্লা। দেখা যায় শুয়ে রয়েছে দুটি কঙ্কাল। কৃতীকে হাসি মুখে ইন্দ্র বলে-‘আমার মা-বাবা। প্রণাম কর।’ এরপরই আসল রহস্য! 
পরিচালকের এই ছবি কী টাইপের, তা ভাবতে প্রথমার্ধে বেশ বেগ পেতে হবে দর্শককে। একবার মনে হবে ম্যাজিক সংক্রান্ত। পরক্ষণেই মনে হবে সিরিয়াল কিলিং বা সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার এই ছবির প্লট।  চিত্রনাট্যে  রয়েছে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার ছায়া। নিপুণ হাতে সবকিছু সামলেছেন পরিচালক। বাংলা ছবির মান অনুসারে গ্রাফিক্সও বেশ ভালো। ছবি দেখে অনেকেই একবাক্যে স্বীকার করবেন অঙ্কুশ তাঁর সেরাটাই দিয়েছেন। বিভিন্ন দৃশ্যে তাঁর অভিব্যক্তি চমৎকার। ঐন্দ্রিলার অভিনয়ও মন্দ নয়। তবে, ছবিতে কৃতীর পরিবার সম্পর্কে আর একটু বিশদে দেখানো উচিত ছিল। এই ধরনের ছবিতে জোর করে নাচ-গান ঢুকিয়ে দেওয়ার যুক্তি স্পষ্ট নয়। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে দারুণ মানিয়েছে পায়েল সরকারকে। চিত্রনাট্যে তাঁরও আর একটু বেশি জায়গা প্রাপ্য ছিল। ইন্দ্রের বাবার চরিত্রে দেবশঙ্কর হালদার ও অসুস্থ মায়ের চরিত্রে বিদীপ্তা চক্রবর্তী পারফেক্ট। ছবির নাম ম্যাজিক। তাই প্রতিটি সিনেই চমকের অপেক্ষা। কিন্তু জানবেন সবার জীবনে ম্যাজিক একজনই করে। তারজন্যই নিমেষে আমরা হাতের সামনে সমস্ত আবদারের জিনিস পেয়ে যাই। মাথার উপর ছাদ পাই। চার বেলা মনপসন্দ জিনিস গ্রোগ্রাসে খেতে পারি। সেই  ম্যাজিশিয়ানকে আমরা ‘বাবা’-বলে ডাকি। যা রাজা চন্দের এই ছবি দেখে প্রতিটি দর্শক একবাক্যে স্বীকার করবেন থুড়ি অনুভব করবেন। 

19th     February,   2021
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ