বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
শরীর ও স্বাস্থ্য
 

অ্যাডিনো
প্রতিরোধ কীভাবে?

পরামর্শে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অসীম মল্লিক।

প্রতি বছরের মত বসন্ত দোরগোড়ায় হাজির হতেই অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপ দেখা গিয়েছে রাজ্য জুড়ে। কিন্তু এবছর যেন অ্যাডিনোভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা একলাফে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এর প্রভাবে শিশুরাই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়। অ্যাডিনোভাইরাস সাধারণত উপরের বা নীচের শ্বাসনালী, খাদ্যনালী, বা কনজাংটিভায় সংক্রমণ ঘটায়। অল্পবয়সি শিশুদের মধ্যে, বিশেষত ৬ মাস থেকে ২ বছরের শিশুদের মধ্যে অ্যাডিনোভাইরাস সংক্রমণ বেশি দেখা যায়।
কীভাবে ছড়ায়?

• অত্যন্ত সংক্রমক। অন্যের হাঁচি-কাশি থেকেই ছড়ায়।
• সরাসরি আক্রমণ করতে পারে ফুসফুসকে।
কেন এত দাপট?
• করোনাকালের প্রায় দু’বছরের ‘ইমিউনিটি গ্যাপ’। যার জেরে দুর্বল হয়ে গিয়েছে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। 
• নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছারখার করেছে ইনেট ইমিউনিটি বা জন্মসূত্রে প্রাপ্ত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে। 
• দূষণের বাড়বাড়ন্ত। দূষণের কোপে বেড়ে যায় অ্যালার্জিও। ভাইরাস চট করে হামলা চালায়।
উপসর্গ কী কী ?
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সাধারণ জ্বরের মতোই। সঙ্গে সর্দি-কাশি, গলাব্যথা তো আছেই। দেখা দিতে পারে পেটের সমস্যা, বমি, ডায়ারিয়া, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন। জটিলতায় শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মৃদুই থাকছে। 
কখন হাসপাতালে যেতে হবে?
ক. ৭ দিন ধরে শরীরের তাপমাত্রা ১০১.৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার উপরে থাকলে খ. সঙ্গে শ্বাস নিতে খুব অসুবিধা হলে গ. হাত মুখ নীল হয়ে গেলে ঘ. বুকের এক্স-রেতে নিউমোনিয়া ধরা পড়লে ঙ. বাচ্চার খাওয়া আচমকা কমলে চ. প্রস্রাব কম হলে ছ. বাচ্চা ঝিমিয়ে পড়লে বা খিঁচুনি হলে
কী করণীয় 
• হাঁচি ও কাশির সময় নাক-মুখ ঢেকে রাখতে হবে।
• ঘন ঘন সাবান জল দিয়ে হাত ধুতে হবে। 
•  উপসর্গ দেখা দিলেই শিশুকে আলাদা রাখতে হবে।
• দু‘বছরের নীচের শিশুকে বিশেষ যত্নে রাখুন।
• বেশি পরিমাণ জল ও তরল খাবার দিন।
• চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া যাবে না।
• ভিড় এড়িয়ে চলাই বাঞ্ছনীয়।
যেসব শিশুর গুরুতর সমস্যা হতে পারে
অপরিণত বা কম ওজনের শিশু,  মায়ের দুধ না খাওয়া বাচ্চা, প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে, আগে থেকে কিডনি বা  হৃদরোগের সমস্যা থাকলে ভয় বেশি।
চিকিৎসা
উপসর্গ নির্ভর। অহেতুক আতঙ্কিত হবেন না। বেশিরভাগ শিশুকেই ভর্তির প্রয়োজন হয় না। তবে পর্যাপ্ত জল ও ফ্লুইড খাওয়া খুব জরুরি। অ্যান্টিবায়োটিকের বিশেষ ভূমিকা নেই। কিছু ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন পড়ে এবং অক্সিজেন দিতেও হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি পাওয়ার এক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ।

9th     March,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ