বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
শরীর ও স্বাস্থ্য
 

সর্দি-কাশি ভোগাচ্ছে? 
সমাধানে আয়ুর্বেদ

পরামর্শে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডাঃ লোপামুদ্রা ভট্টাচার্য

প্রতি বছরই শীত কমে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন জীবাণু, সংক্রমণ জনিত রোগ দেখা যায়। এই মুহূর্তে আমাদের রাজ্যে অনেকেই ভাইরাল জ্বর এবং রেসপিরেটার ট্র্যাক্ট ইনফেকশনে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিজ্ঞানীদের মতে এইসব সমস্যার জন্য দায়ী একটি জীবাণু যার নাম অ্যাডিনো ভাইরাস। সর্দি, কাশি, জ্বর-এর মতো ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জার উপসর্গ সমূহ তো আছেই এছাড়া ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া এবং শ্বাসকষ্টের মতো জটিল লক্ষণও অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে। কখনও কখনও উপসর্গ হিসেবে পেটের সংক্রমণ, ডায়ারিয়া, বমি, পেট ব্যথা, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (ইউ.টি.আই) এমনকী কনজাংটিভাইটিস বা চোখের সংক্রমণ হতে পারে। এইসব সমস্যায় সহজলভ্য আয়ুর্বেদিক সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হল—
১) জ্বর: ভাইরাল জ্বর সারাতে তুলসীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ১০-১৫টা তুলসীপাতা ৫০ এমএল জলে ফুটিয়ে ছেঁকে নিতে হবে। এতে গোলমরিচ চূর্ণ ও গুড় মিশিয়ে হালকা গরম অবস্থায় পান করলে উপকার হয়। এছাড়া তুলসীর ক্বাথ আদা (অথবা শুঁঠ চূর্ণ এবং মধু মিশিয়েও পান করা যায়। যে কোনও ভাইরাল জ্বর ছাড়াও এই দু’টি যোগ কাশি, সর্দি, গলা ব্যথা এবং শ্বাসকষ্ট কমাতে ব্যবহার করা যায়। অনেক সময় বেশি জ্বর উঠে যায়, আর শুধু ওষুধে কাজ হয় না। এদের কোল্ড কমপ্রেস করার পাশাপাশি জিরে ও মৌরী গুঁড়ো দিয়ে ১০-২০ এমএল আঙুরের রস খাওয়ালে উপকার মেলে।
২) সর্দি-কাশি-ঈষদুষ্ণ জল অথবা শুঁঠ-মরিচ-পিপুলের ক্বাথ সর্দিতে খেলে খুব উপকার হয়। কালো জিরে সামান্য থেতো করে তার ঘ্রাণ নিলে বন্ধ নাকের কষ্ট কমে। শুঁঠ চূর্ণ ও সৈন্ধব লবণ দিনে ৩-৪ বার খেলে সর্দি ও কাশি কমে। 
কাশি কমাতে ষষ্ঠি মধু চূর্ণ অথবা ক্বাথ খুব ভালো কাজ দেয় দিনে ৩-৪ বার করে অন্তত পাঁচ দিন খেলে কাশি নিরাময় হবে। এছাড়া গরম জলে শুঁঠ চূর্ণ ও মধু অথবা দারুচিনি চূর্ণ মিশিয়ে খেলে কাশি কমাতে সাহায্য করে। শুকনো কাশিতে গোলমরিচ চূর্ণ ও চিনি খেলে ভালো কাজ হয়।
৩) গলা ব্যথা: যষ্ঠি মধু, দারুচিনি অথবা তুলসী জলে ফুটিয়ে হালকা গরম অবস্থায় মধু দিয়ে পান করতে হবে। গরম জলে সামান্য কর্পূর মিশিয়ে গার্গল করে তারপর অন্তত আধ ঘণ্টা গরম কাপড় দিয়ে গলা ঢেকে রাখলে উপকার হয়।
৪) শ্বাসকষ্ট: তুলসী ও বাসকের ক্বাথ মধু ও শুঁঠচূর্ণ মিশিয়ে পান করলে উপকার হয়। দারুচিনি, এলাচ (ছোট), তেজপাতা, লবঙ্গ এবং মিছরি একসঙ্গে গুঁড়ো করে নিয়ে ওই মিশ্রণ গরম জলের সঙ্গে অথবা মধু মিশিয়ে দিলে ৩-৪ বার খেলে শ্বাস কষ্ট কমে। এছাড়া এই যোগটি বমিভাব, অরুচি, দুর্বলতা দূর করে এবং গলার স্বর ভালো রাখতে সাহায্য করে।
যদি রোগীর নিউমোনিয়া অথবা শ্বাসকষ্ট হতে থাকে তবে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ভাইরাল ইনফেকশন প্রতিরোধ করতে মাস্ক পড়া অভ্যেস করুন এবং স্বাস্থ্যকর, সহজপাচ্য গরম খাবার ও পানীয় গ্রহণ করুন।
 

23rd     February,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ