বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
শরীর ও স্বাস্থ্য
 

শহরে প্রতি দু’জনের মধ্যে
একজনেরই ভুঁড়ি: রিপোর্ট
পরিশ্রমবিমুখতা বাড়ছে রাজ্যের গ্রামাঞ্চলেও

বিশ্বজিৎ দাস, কলকাতা: প্রতি দু’জনের মধ্যে একজনের ভুঁড়ি। আড়ালে-আবডালে হাসির বিষয় নয়, রীতিমতো উদ্বেগজনক এই তথ্য উঠে এল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) এর একটি সমীক্ষায়। সেটাতে বলা হয়েছে ‘বাংলার শহরাঞ্চলের প্রায় ৫০ শতাংশ (৪৮.৯ শতাংশ) মানুষের ‘অ্যাবডোমিনাল ওবেসিটি’ বা সোজাসাপটা ভাষায় ‘ভুঁড়ি’ আছে। গ্রামাঞ্চলগুলিও খুব একটা যে পিছিয়ে এমন কিন্তু নয়। একই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ এলাকার এই রেশিও দাঁড়িয়েছে ৩:১। অর্থাৎ গ্রামে প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন মানুষের ভুঁড়ি রয়েছে।
জনসংখ্যার কত শতাংশ মানুষ কায়িক পরিশ্রম করেন এবং কত জন তা করেন না—তারও হিসেব উঠে এসেছে এই সমীক্ষায়। জানা যাচ্ছে, সার্বিকভাবে বাংলার অর্ধেকের বেশি মানুষ (৫৯.৫ শতাংশ) পরিশ্রমবিমুখ। শহরাঞ্চলে চারজনের মধ্যে তিনজন মানুষ (৭২.১ শতাংশ) কায়িক শ্রম করেন না। নিয়মিত কায়িক পরিশ্রমে যুক্ত রয়েছেন বাংলার মাত্র ৯.২ শতাংশ মানুষ। চলতি ধারনা হল, শহরের মানুষ মানে পরিশ্রমবিমুখ। আর গ্রামের অধিকাংশ মানুষ শ্রমের মধ্যে থাকেন। সেই মিথ ভেঙে দিয়েছে এই সরকারি সমীক্ষা। দেখা যাচ্ছে, গ্রামেরও অর্ধেকের বেশি মানুষ (৫৪ শতাংশ) বর্তমানে পরিশ্রমবিমুখ বা ‘ইনঅ্যাকটিভ’ জীবন কাটাচ্ছেন। অ্যাকটিভ বা কায়িক শ্রম করা মানুষের সংখ্যার হিসেবে শহর বা গ্রামের মধ্যে ফারাক ক্রমেই কম হচ্ছে। সমীক্ষা থেকে আরও জানা যাচ্ছে, বাংলার শহরাঞ্চলে যেখানে চারভাগের একভাগ মানুষ কায়িক পরিশ্রম করেন (২৪.৮ শতাংশ), সেখানে গ্রামাঞ্চলের ক্ষেত্রে এই হিসেব ৩৪.২ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি তিনজনে মাত্র একজন। 
সূত্রের খবর, আইসিএমআর-এর টাকায় নাম ‘ইন্ডিয়া ডায়াবেটিস স্টাডি’ নামে এই সমীক্ষা হয়েছে। পিজি হাসপাতালের এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগের প্রধান ডাঃ শুভঙ্কর চৌধুরি এবং বিভাগীয় অধ্যাপক ডাঃ সুজয় ঘোষ যৌথভাবে সমীক্ষাটি চালান। ২৭৯২ জনের উপর চলে এই সমীক্ষা। এটি শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে। দু’বছর ধরে চলেছে। যাঁদের নিয়ে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল তাঁদের গড় বয়স ৪৫ বছর। 
সমীক্ষায় উঠে এসেছে, বাংলার শহরাঞ্চলে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজনের (১৯.১ শতাংশ) শরীরে সুগার আছে। গ্রামীণ এলাকায় প্রতি আটজনের (১১.৪ শতাংশ) মধ্যে একজন। সার্বিকভাবে বাংলার প্রতি সাতজনের একজন সুগারজনিত সমস্যায় ভুগছেন। পশ্চিমবঙ্গে সুগারের রোগীরা কতটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছেন ডায়াবেটিস অসুখ? শহর-গ্রাম মিলিয়ে সুগারের রোগীদের এইচবিএ১সি’র মাত্রা সার্বিকভাবে থাকছে আটের কাছাকাছি (৭.৯)। যাকে কোনওভাবে সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা বোঝায় না। পিজি’র এন্ডোক্রিনোলজি’র প্রধান বলেছেন, ‘উদ্বেগজনক পরিস্থিতি। আমি বলব দিনে ১০ হাজার পা হাঁটলে ভালো। সেটা যদি নাও পারেন, যতটুকু হাঁটবেন, ততটাই লাভ পাবেন।’ 

20th     November,   2022
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ