দুর্গাপুজো, দীপাবলি পেরিয়ে যেই না অফিস খুলল, বুঝতে পারছেন একটা সময় দু’-তিনটে সিঁড়ি টপকে উঠে পড়লেও এবার বেশ হাঁফ ধরছে। আগে যে দ্রুততায় ছুটে-দৌড়ে বাস-ট্রেন ধরতেন, এখন আর পারছেন না। এর কারণ একমাত্র পুজোর অনিয়মে বাড়তি ওজন। এবার সময় তাই দরকার চটজলদি মেদ ঝরানোর কিছু ‘নিনজা টেকনিক’।
শ্বাসের ব্যায়াম: সোজা হয়ে দাঁড়ান। এবার পা দুটো ৮-১০ ইঞ্চি ফাঁক করে হাত দুটো মাটির সমান্তরাল করে কাঁধ বরাবর উচ্চতায় সামনে নিয়ে আসুন দিন। শ্বাস নিতে নিতে দু’হাত দু’পাশে পাখির ডানার মতো করে ছড়িয়ে দিন। আবার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে সামনে নিয়ে চলে আসুন। এভাবে ১০ বার করুন। এক সেটে ১০ বার করে ধরলে দু’সেট করুন। এতে বুকের ও হাতের মেদ ঝরে। ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ে। পুজোয় অনেক হাঁটাহাঁটি করতে হতে পারে। এই ব্যায়ামের অভ্যেস রাখলে হাঁপিয়ে যাবেন না।
স্পট রানিং: মেদ কমানোর সবচেয়ে বড় হাতিয়ার এই ব্যায়াম। এক জায়গায় দাঁড়িয়েই ছোটার ভঙ্গিমায় পায়ের সঞ্চালন করুন। পা দু’টিও একইরকমভাবে ছোটার মতো করেই সামনে পিছনে সরবে। শুধু দৌড়নোর সময় যে জায়গা বদল হয়, তা এই ব্যায়ামে হবে না। বরং একই জায়গায় দাঁড়িয়ে দৌড়নোর সময় পায়ের ঊরু দুটোকে বুকের কাছাকাছি তোলার চেষ্টা করুন।
সিটিং ওয়াকিং: একটি হাতল ছাড়া চেয়ারে বসুন। চেয়ারে বসেই শ্বাস নিতে নিতে ডান পায়ের হাঁটু ভেঙে ঊরুকে পেটের কাছে তুলুন। আবার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে তা নামান। ফের শ্বাস নিতে নিতে বাঁ পায়ের হাঁটু ভেঙে ঊরুকে পেটের কাছে নিয়ে যান ও শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে নামান। সঙ্গে হাতকেও হাঁটার ভঙ্গিতে দোলান।
পেটের মেদ ঝরান: চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। দু’হাতকে শরীরের সঙ্গে সমান্তরাল করে পেতে দিন। এবার শ্বাস নিতে নিতে দুই পাকে জোড়া অবস্থায় টানটান করে ডানদিক ঘেঁষে তুলুন। শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পাকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনুন। আবার পরের বার একইভাবে পা তুলুন, তবে এবার বাঁদিক ঘেঁষে। শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে ফের আগের জায়গায় ফিরিয়ে এনে রাখুন। এভাবে বার দশেক করুন। অনেকে পা তুলে তা ধরে রাখার চেষ্টা করেন। ধরে রাখার প্রয়োজন নেই। এই আসনে পেটের মেদ অনেকটা কমবে।
লিখেছেন মনীষা মুখোপাধ্যায়