বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
শরীর ও স্বাস্থ্য
 

বাচ্চা ঘন ঘন জ্বর, সর্দি, কাশিতে ভুগছে?
এই খাবারগুলি খাওয়ালে
রোগ ছুঁতে পারবে না খুদেদের

পরামর্শে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ সুমন্ত ভট্টাচার্য।

ঋতু পরিবর্তনের সময় এখন। বাতাসে ঠান্ডার আমেজ খানিকটা হলেও টের পাওয়া যাচ্ছে। ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি, কাশি। এককথায় ভাইরাল ইনফেকশনের ছড়াছড়ি। এছাড়া কোভিড পুরোপুরি দূর হয়নি। করোনা এবং করোনার মতো সংক্রমণের ঘটনা নজরে আসছে এখনও। আবার চলতি বছরে হ্যান্ড, ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ (এইচএফএম)-এ বহু বাচ্চাকেই আক্রান্ত হতে দেখা গিয়েছে। এইচএফএম খুব সংক্রামক অসুখ। সংক্রামিত বাচ্চার খুব কাছাকাছি থাকলেও অন্য সুস্থ বাচ্চার চট করে সংক্রমণ হয়ে যাওয়ার ভয় থেকে যায়। এদিকে সদ্য দুর্গা পূজা শেষ হয়েছে। আসছে অন্যান্য পুজো এবং উৎসব। বাচ্চাদের ঘরে বসিয়ে রাখা দুষ্কর। তাই রোগ প্রতিরোধে জোর দেওয়া দরকার। বাচ্চাকে নিয়ে বাইরে বেরতে হলে ওকে আগে মাস্ক পরান। এছাড়া বাচ্চারা বাইরে বেরলে যেখানে সেখানে হাত দেবেই। এটা ওটা মুখে দেবেই। হাত না ধুয়ে খাবার খাবেই। অথচ হাত থেকেই বহু জীবাণু প্রথমে মুখে ঢোকে। সেখান থেকে শরীরে প্রবেশ করে। তাই বাচ্চাকে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের সঠিক ব্যবহার শেখান। ওকে বলুন হ্যান্ড স্যানিটাইজার হাতে দেওয়ার পরে দেড় থেকে দুই মিনিট অপেক্ষা করতে। এই সময়ের মধ্যে হাতে থাকা জীবাণু ধ্বংস হবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ডায়েট:
বাচ্চাদের হাজার নিয়ম মানতে বললেও সবসময় সামলানো মুশকিল। তাই জোর দিতে হবে ওদের ইমিউনিটি বাড়ানোর দিকে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়লে যে কোনও অসুখ ওরা আটকে দিতে পারবে বা অসুখে আক্রান্ত হলেও সহজে কাবু হবে না। তাই ওদের ডায়েটে একটু পরিবর্তন আনুন—
 প্রতিদিন অর্ধেক গ্লাস আমলকীর জ্যুস নিয়ে তার মধ্যে একটু জল মিশিয়ে ওকে খাওয়ান। আমলকীর রস বাড়িতেও তৈরি করতে পারেন। আবার বাজারে ভালো রেডিমেড জ্যুস কিনতেও পাওয়া যায়।
 সাইট্রাস ফ্রুট যেমন মুসাম্বি, কমলালেবু, বাতাবি ওদের খাওয়ান। এই ধরনের ফলে থাকে ভিটামিন সি। এই ভিটামিন দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
 কাজুবাদাম, আমন্ড আর পেস্তা একসঙ্গে নিয়ে গুঁড়ো করে রেখে দিন। বাচ্চাকে প্রতিদিন দুধের সঙ্গে এক চামচ এই পাউডার মিশিয়ে খাওয়ান। ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে শুকনো ফল ও বাদামের মিশ্রণ।
 ডায়েটে শাকসব্জির মাত্রা বেশি করে রাখুন। কারণ শাকসব্জিতে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ থাকে যা ওর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
 ভিটামিন সি লজেন্স পাওয়া যায়। সেটাও একটা করে চুষে খেতে পারে ওরা।
 ইমিউনিটি বাড়ায় জিঙ্ক নামে খনিজটিও। ছ’মাস বয়সের নীচের বাচ্চাকে ২.৫ এমএল জিঙ্ক সিরাপ দিনে একবার করে খাওয়াতে পারেন। ছ’মাসের ওপরের বাচ্চাকে ২.৫ এম এল সিরাপ দিনে দু’বার খাওয়ানো যায়। দুই সপ্তাহ খাওয়ালেই যথেষ্ট।
অন্যান্য নিয়ম
 কোনও সমাবেশ বা জমায়েতে বাচ্চাকে দীর্ঘ সময় রাখবেন না।
 অন্য কোনও শিশু হাঁচলে, কাশলে বা জ্বর হয়েছে মনে হলে তার কাছ থেকে বাচ্চাকে সরিয়ে নিয়ে আসুন।
 বাইরের মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। না হলে বদহজমের আশঙ্কা বাড়বে।
লিখেছেন: সুপ্রিয় নায়েক

6th     October,   2022
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ