বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
শরীর ও স্বাস্থ্য
 

আয়ুর্বেদিক মাউথওয়াশ

পরামর্শে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডাঃ বিশ্বজিৎ ঘোষ।

সুশ্রুত সংহিতায় মুখের ৬৫ প্রকার রোগের উল্লেখ রয়েছে। আচার্য বাগডট বেশ কিছু নীতিমানার কথা বলেছেন, যেগুলি মানলে সহজেই প্রাকৃতিক উপায়ে মুখের স্বাস্থ্য রক্ষা করা যায়।
১. মুখপ্রক্ষালন (জলের ঝাপটা দিয়ে মুখ ধোওয়া)
আয়ুর্বেদ মতে মুখে জল নিয়ে বাইরে থেকে জলের মৃদু ঝাপটা দিয়ে মুখ ধুলে চোখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে, মুখের পেশি সবল হয় এবং এটি দাঁতের ক্ষেত্রেও কার্যকর।
২. দন্তধাবন (ভেষজ গুণ সমৃদ্ধ মাজন) দিয়ে ব্রাশ করা
দাঁতের স্বাস্থ্যরক্ষায় মূলত তিক্তপ্রধান ও কটু রস সমৃদ্ধ ভেষজ উপকারী। নিম, অর্জুন, বাবলা ইত্যাদির সরু ডাল দাঁত মাজার ক্ষেত্রে অব্যর্থ। ভেষজ পেস্ট বা পাউডার জাতীয় মাজনও ব্যবহার করা যেতে পারে। 
৩. জ্বিহা নির্লেক্ষণ (জিভ ছোলা করা)
জিভ ছোলা ব্যবহার করার ক্ষেত্রে তামাকে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়। বিভিন্ন ধাতব জিভছোলা ব্যবহারে দেখতে হবে সেটি যাতে ধারালো না হয়, আবার খুব ভোতা না হয়। জিভের দূষিত আবর্জনা নিস্কাষনে নিয়মিত দিনে দু’বার জিভ ছোলা করা উচিত।
৪. নস্য কর্ম (নাকে ঔষধী স্নেহ প্রয়োগ)
আয়ুর্বেদ মতে ‘নাসাহি শিরোদ্বারম’ অর্থাৎ নাক হচ্ছে মস্তিষ্কের দ্বার। এটি নাক, মাথা, গলার সমস্যার পাশাপাশি মুখের রোগেও বিশেষ উপকারী। নিয়মিত নস্য প্রয়োগে সাইনাসের সমস্যা থেকে রেহাই মেলে। নাকের মাধ্যমে দূষিত আবর্জনা যাতে শরীরে কুপ্রভাব না ফেলে, সেটিরও খেয়াল রাখা হয়।
৫. করল (কুলকুচি করা)
যাবতীয় মুখের রোগ প্রতিরোধে ‘করল’ এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি। যেখানে ঔষধীগুণ যুক্ত ভেষজের নির্যাস বা ক্বাথ সহযোগে কুলকুচি করার বিধান রয়েছে। সাধারণত লবণ জলের গার্গেলের মতোই রোগভেদে এটি করা হয়। তবে সুস্থ ব্যক্তিরা নিয়মিত জলে বা সপ্তাহে একদিন ত্রিফলা জলে কুলকুচি করলে মুখের অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য ভালো থাকে। 
৬. গণ্ডুষ (মুখের ভেতর ভেষজ তরল ধরে রাখা)
দাঁতের বিভিন্ন রোগ থেকে মাড়ির ক্ষত বা মুখের দুর্গন্ধ প্রতিরোধে এই গণ্ডুষ কর্ম অব্যর্থ। এখানে মূলত বিভিন্ন প্রকার ঔষধী তেল, ক্বাথ ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।
মুখের স্বাস্থ্যরক্ষায় ঘরোয়া মুষ্টিযোগ
১. ত্রিফলা মাউথওয়াশ: যাঁদের পায়েরিয়ার সমস্যা রয়েছে বা দাঁতের গোড়া হামেশাই ফুলে যাচ্ছে, রক্ত পড়ে, ত্রিফলার ক্বাথ দিয়ে নিয়মিত গণ্ডুষ করুন। হাতেনাতে ফল পারেন।
২. দাঁতের যন্ত্রণায় লবঙ্গ তেল
দাঁতে যন্ত্রণায় কয়েক ফোঁটা লবঙ্গ তেল তুলোয় নিয়ে ব্যথার স্থানে দিন।
৩. জ্বিহার ক্ষতে মধু ও হলুদ
মাঝেমাঝে জিভে ঘা হচ্ছে বা মুখের ভিতর গোল হয়ে লালচে ভাব দেখা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে মধু ও হলুদ মিশিয়ে দিনে তিনবার মতো প্রলেপ দিন। তবে ঘা পুরোনো হলে বিশেষজ্ঞের মতামত নেওয়া উচিত। 
৪. গলাব্যথায় সৈন্ধব লবণ ও জলের গার্গেল
ঠান্ডা লেগে ঢোক গিলতে সমস্যা, গলা খুসখুস বা ব্যথাভাব দেখা দিলে গরম জলে সৈন্ধব লবণ গুলে দিন তিনেক গার্গেল করলে অভূতপূর্ব উপকার মেলে। এটি প্রাথমিক পর্যায়ের সংক্রমণ ও টনসিলের সমস্যাতে উপকারী।
৬. মুখের ক্ষত ও গলার ক্ষতে মেহেন্দি পাতা
মেহেন্দি পাতা সিদ্ধ জলের গণ্ডুষ ধারণ করলে মুখের প্রাথমিক পর্যায়ের ক্ষত, গলার ক্ষত এবং পায়েরিয়ায় উল্লেখযোগ্য ফল মেলে।
নিয়মিত দু-বার দাঁত মাজা, মিষ্টি দ্রব্য সেবনের পর কুলকুচি করুন।

8th     April,   2021
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ