বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
শরীর ও স্বাস্থ্য
 

ভিটামিনের অভাব
মেটানোর খাবার

 পরামর্শে জেবি রায় স্টেট আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যাপক ডাঃ প্রশান্ত সরকার। 

 ভিটামিনের ঘাটতি শরীরে ডেকে আনতে পারে নানান জটিল সমস্যা। তাই সঠিক খাদ্য নির্বাচনের মাধ্যমে ভিটামিনের অভাব পুষিয়ে নিতে হবে। তবেই থাকা যাবে সুস্থ, সতেজ। এবার জেনে নেওয়া যাক ঠিক কোন কোন খাদ্য খেলে কোন ভিটামিন পাওয়া যায়—  
ভিটামিন এ— গাঁজর, টম্যাটো, বাঁধাকপি, পালং শাক, দুধ, ঘি, মাখন, মাছ  ইত্যাদি খাদ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে।
ভিটামিন বি কমপ্লেক্স— যে কোনও ধরনের শাকে ভিটামিন বি রয়েছে। এছাড়া কলা, বাদাম, দুধ, দুগ্ধজাত খাদ্য, ডিম, বিনস, মাশরুম ইত্যাদি খাদ্যে থাকে এই ভিটামিন। ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের মধ্যে বি ১২ নামক ভিটামিনটি খুবই প্রয়োজনীয়। এই ভিটামিনটি রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। ভিটামিন বি ১২ শতমূলীতে (অ্যাসপারাগাস) ভালো পরিমাণে মেলে। 
ভিটামিন সি— করোনা সঙ্কটের মধ্যে সবথেকে চর্চিত ভিটামিনের নাম হল ভিটামিন সি। রোগ প্রতিরোধে এই ভিটামিনের ভূমিকা সম্পর্কে মোটামুটি এতদিনে সবাই পরিচিত হয়ে গিয়েছেন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ফল যেমন— কমলা লেবু, মুসম্বি লেবু, পাতি লেবু, আমলকী, আঙুর, আনারস, জাম, পেয়ারা ইত্যাদি ফলে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। এছাড়া পেঁপে, কাঁচালঙ্কা, ব্রকোলি ইত্যাদি খাদ্যে ভিটামিন সি অনেকটা পরিমাণে থাকে। এছাড়া প্রায় যে কোনও শাকেই খুব কম পরিমাণে হলেও এই ভিটামিন রয়েছে।   
ভিটামিন ডি— মূলত সূর্যের আলো থেকেই এই ভিটামিন শরীরে তৈরি হয়।  কোনও শাকসব্জি বা ফলে এই ভিটামিন থাকে না বললেই চলে। খাদ্যের মধ্যে সামুদ্রিক মাছ, কর্ড লিভার ওয়েল, শার্ক লিভার অয়েল, মাশরুম ইত্যাদি খাদে ভিটামিন ডি মেলে।  
ভিটামিন ই— সূর্যমুখী ফুলের বীজ, কাজু বাদাম, রাইস ব্র্যান তেল, গাঁজর, টম্যাটো, সজনে পাতা, বিভিন্ন ধরনের শাক ইত্যাদি খাদ্যে এই ভিটামিন যথেষ্ট পরিমাণে মেলে।
ভিটামিন কে— ব্রকোলি, লেটুস শাক, পালং শাক, সোয়াবিন, বাঁধাকপিতে খুব ভালো পরিমাণে ভিটামিন কে মেলে। পাশাপাশি প্রায় সমস্ত ধরনের শাকেই এই ভিটামিন অল্প বিস্তর পাওয়াই যায়।
খাদ্যের ভিটামিন অক্ষুন্ন রাখতে চাইলে 
এখানে প্রথমেই ভিটামিন সি-এর সম্পর্কে বলে নেওয়া যাক। যে কোনও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাদ্যবস্তু গরম করলেই তার ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়। তাই ভিটামিন সি-এর অভাব মেটাতে চাইলে ফল কাঁচা খেতে হবে।  
এবার শাকসব্জি রান্নার কথায় আসি। শাকসব্জি রান্নায় তেলের ব্যবহার যতটা সম্ভব কমাতে হবে। শাকসব্জি ভেজে রান্না করলে তার গুণ অধিকাংশেই নষ্ট হয়ে যায়। তাই চেষ্টা করুন কম তেল ব্যবহার করে সিদ্ধ সিদ্ধ রান্না করার। এখানে বলা প্রয়োজন, শাকসব্জি সিদ্ধ করে জল ফেলে দেওয়ার অভ্যেস অনেক পরিবারেই রয়েছে। যদিও এই অভ্যেস একদম ভুল। শাকসব্জি সিদ্ধ করা জলে ভিটামিন মিশে যায়। এবার সেই জল ফেলে দিলে খাদ্যের অনেকটা ভিটামিনই নষ্ট হয়। তাই শাকসব্জির সিদ্ধ জল ফেলবেন না। ভাঁপে ভাঁপে রান্না করুন। এভাবে রান্না করলেই শাকসব্জির প্রায় সম্পূর্ণ গুণ পাওয়া যাবে। একইভাবে মাছ, মাংস রান্নাতেও তেলের ব্যবহার কমানো দরকার। মাছ, মাংস ভেজে রান্না করলে তারও পুষ্টিগুণ কমে। মোদ্দা কথা হল, খাদ্যের সকল গুণ পেতে চাইলে রান্নায় তেলের পরিমাণ কমাতে হবে।   
লিখেছেন সায়ন নস্কর

28th     January,   2021
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ