ম্যাজিক মানেই অজানাকে নতুন করে জানা। ম্যাজিকের অলীক দুনিয়ায় একবার ঢুকে পড়লে ঘোর লাগে চোখে। জাদুর দুনিয়ায় নানা ধাঁধা। প্রতিটাই পরখ করে দেখতে মন চায়। এবার সেই সুযোগই তোমাদের সামনে হাজির করলেন থিম ম্যাজিশিয়ান সোমনাথ দে। মাসে দুটো ম্যাজিক তিনি শেখাবেন তোমাদের। তাঁর থেকে সেই ম্যাজিক বৃত্তান্ত জেনে তোমাদের সামনে হাজির করলেন কমলিনী চক্রবর্তী।
এই ম্যাজিকটা একটু অন্যরকম। থিম ম্যাজিশিয়ান সোমনাথ দে এই ম্যাজিকটা তোমাদের শেখাবেন। তবে তার আগে একবার দেখে নাও ম্যাজিকটা কেমন করে করলেন উনি। দর্শকদের মধ্যে থেকে একজনকে ডেকে তার হাতে আটটা কাগজের টুকরো ধরানো হল। প্রতিটি টুকরোতে এক একজন মনীষীর নাম লিখতে হবে। কাগজের টুকরোগুলো এবার ভাঁজ করে নিতে হবে। তারপর তা ম্যাজিশিয়ানের হাতে তুলে দিতে হবে। ভাঁজ করা অবস্থায় তুলে দেওয়া হল। অর্থাৎ আটটা কাগজে কোন কোন মনীষীর নাম লেখা, তা শুধু তোমরাই জানলে। জাদুকর কিন্তু ভাঁজকরা কাগজের টুকরো নিজের পকেটে ভরে ফেললেন। জানতেও পারলেন না তাতে কার নাম লেখা। এবার অন্য একজন দর্শককে ম্যাজিশিয়ান স্টেজে ডাকলেন। সে ওই আটটা কাগজের মধ্যে থেকে একটা কাগজ তুলে নেবে। ম্যাজিশিয়ান কিন্তু চোখে বন্ধ করে অল্প একটু মনোসংযোগ করে বলে দেবেন কাগজের টুকরোতে কোন মনীষীর নাম লেখা রয়েছে। তিনি চোখ বন্ধ করে মনসংযোগ করে চোখ খুলে বলবেন, ‘নামটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।’ তোমরা যখন অবাক চোখে তাকিয়ে ভাবছ কী করে আটটা চিরকুটের ভিতর থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লেখা কাগজটাই তোলা হল এবং ম্যাজিশিয়ান তা না দেখে কীভাবেই বা তার খবর পেলেন? তখন ম্যাজিশিয়ান একটা ছবি বের করে বললেন, ‘তোমরা যে কবিগুরুর নামই চয়ন করবে তা আগে থেকে জানতাম বলেই তাঁর একটা ছবিও আমি সঙ্গে করে নিয়ে এসেছি।’
দারুণ ম্যাজিক, তাই তো? তাহলে এবার উপায়টাও শিখে নাও। তবে তার আগে বলি ম্যাজিকটা দেখাতে কী কী লাগবে।
ম্যাজিকের উপকরণ: ষোলোটা কাগজের টুকরো লাগবে, এ ফোর সাইজের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটা ফোটো, একটা রঙিন স্কেচ পেন।
ম্যাজিকের পদ্ধতি: ষোলোটা এক মাপের কাগজ কেটে নাও। এবার তার মধ্যে আটটা টুকরো দর্শকের হাতে দেওয়া হবে। সেই আটটা টুকরোতে কিছু লেখা থাকবে না। বাকি যে আটটা টুকরো তার প্রতিটায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম লেখা থাকবে। কিন্তু দর্শক সে বিষয়ে জানতে পারবে না। তারা শুধুই ওই আটটা খালি কাগজ দেখবে এবং তাতে নিজের পছন্দ মতো মনীষীর নাম লিখবে। যে আটটা টুকরোতে রবীন্দ্রনাথের নাম লেখা থাকবে সেটা আগে থেকেই তোমাদের পকেটে থাকবে। বাকি আটটা কাগজে মনীষীদের নাম লেখা হলে তাও নিজের পকেটে ভরে নাও। তারপর যখন বের করবে তখন খুব সাবধানে রবীন্দ্রনাথের নাম লেখা কাগজগুলোই বার করবে এবং তা দর্শকের হাতে তুলে দেবে। সে সেই কাগজ থেকে একটি তুলে দেখবেন রবীন্দ্রনাথের নাম লেখা রয়েছে। তোমরা এবার চোখ বন্ধ করে মনোসংযোগ করবে এবং চোখ খুলে বলে দেবে কাগজে লেখা নামটি রবীন্দ্রনাথের। এরপর আরও বলবে একথা আগে থেকেই জানতে বলে কবিগুরুর ছবিও নিয়ে এসেছ সঙ্গে করে।