বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
হ য ব র ল
 

রহস্যময় 
ঝরনা
সায়নদীপ ঘোষ

আস্ত একটা ঝরনা পাথরের গর্তের মধ্যে উধাও হয়ে যাচ্ছে? কোথায় চলে যাচ্ছে সেই জল? বহু বছর ধরে এই নিয়ে তৈরি হয়েছে একাধিক রহস্য। তবে হাজার চেষ্টা করেও রহস্যের সমাধান করতে পারেননি বিশ্বের তাবড় বিশেষজ্ঞরা। আমেরিকার মিনেসোটার একটি সরকারি উদ্যান। তাঁর ভিতর দিয়েই বয়ে চলেছে ব্রুল নদী। এই নদীর ঝরনা পরিচিত ‘ডেভিলস কেটল’ নামে। আশ্চর্যজনকভাবে পার্কের ভিতরে থাকা পাথরের একটি গর্তে পড়ার পর সেই ঝরনার জল আর খুঁজেই পাওয়া যায় না। সেই জলের হদিশ পেতে ঝরনার মধ্যে লাঠি সহ বহু জিনিস ফেলে দেখেছেন কৌতূহলী মানুষ। জানা যায়, একবার তো নাকি একটি আস্ত গাড়ি সেখানে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। তবে সেটিরও কোনও সন্ধান মেলেনি। জলের স্রোতের সঙ্গে বয়ে গিয়ে সেটি অন্য কোথাও চলে গিয়েছে এমনটাও জানা যায়নি। এরকম একাধিকবার চেষ্টা করা সত্ত্বেও প্রকৃতির এই ম্যাজিকের সূত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি। 
মিনেসোটার বন্দর শহর ডুলুথ। সেখান থেকে প্রায় ১২৮ মাইল উত্তরে বইছে এই ব্রুল নদী। নদীপথে রয়েছে জজ সি আর ম্যাগনি স্টেট পার্ক। পার্কের ভিতরে অনেকটা দূর বয়ে গিয়েছে এই নদী। বেশ কিছুটা যাওয়ার পর নদীটি দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। এরপর সেটি গ্রানাইট পাথরের মতো আগ্নেয়শিলার পাশ দিয়ে এগিয়ে চলেছে। নদীর পূর্ব দিকের অংশটি ৫০ ফুট গভীর একটি ঝরনার রূপ নিয়েছে। অন্যদিকে, পশ্চিমের অংশটি ঝরনার আকার নিয়ে গিয়ে পড়েছে একটি পাথুরে গর্তের মধ্যে। কিন্তু গর্তে পড়ার পর তার হদিশ মেলে না।
ডেভিলস কেটলের এই দৃশ্য দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন পর্যটকরা। ঝরনাটি ঠিক কোথায় গিয়ে মিশেছে, তার কোনওরকম উত্তর আজও মেলেনি। এর যেন সত্যিই কোনও অন্ত নেই। অথচ জল গর্ত থেকে উপচেও পড়ে না। সবটাই যেন হারিয়ে যাচ্ছে। কোথায়? তার উত্তর নেই। 
এই ঝরনা নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। কেউ কেউ দাবি করে থাকেন, ডেভিলস কেটলের  জল নীচের স্তর থেকে বয়ে গিয়ে পৃথক একটি জায়গা দিয়ে বেরিয়ে সুপিরিয়র হ্রদের সঙ্গে মিশেছে। অথবা সেটি মিশে গিয়েছে মাটির নীচে থাকা কোনও জলপথের সঙ্গে। পার্কের ম্যানেজারের অবশ্য দাবি, ‘আমার শোনা কথা অনুযায়ী, এই ঝরনার জল দু’ভাগ হয়ে অন্য একটি ঝরনার সঙ্গে মিশেছে। আর কিছুটা অংশ কানাডায় পর্যন্ত বয়ে গিয়েছে।’ বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করেন যে, এই ঝরনার উপরের আর নীচের স্তরে একই পরিমাণ জলধারা বইছে। আর এই জল নীচের স্তরে থাকা জলপ্রবাহের সঙ্গেই মিশে গিয়েছে।
সম্প্রতি ডেভিলস কেটলের এই রহস্য ভেদ করার জন্য একাধিক পরীক্ষা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই বিষয়টিকে এভাবেই রেখে দিতে চাইছেন অনেকেই।   তাঁদের বিশ্বাস, সবটা জানা হয়ে গেলে এই ঝরনার প্রতি মানুষের আকর্ষণ হারিয়ে যাবে‌। তাই প্রকৃতির এই আশ্চর্য সৃষ্টি যেন এভাবেই থেকে যায় আজীবন।

30th     April,   2023
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ