ম্যাজিক মানেই অজানাকে নতুন করে জানা। ম্যাজিকের অলীক দুনিয়ায় একবার ঢুকে পড়লে ঘোর লাগে চোখে। জাদুর দুনিয়ায় নানা ধাঁধা। প্রতিটাই পরখ করে দেখতে চায় মন। এবার সেই সুযোগই তোমাদের সামনে হাজির করলেন থিম ম্যাজিশিয়ান সোমনাথ দে। মাসে দুটো ম্যাজিক তিনি শেখাবেন তোমাদের। তাঁর থেকে সেই ম্যাজিক বৃত্তান্ত জেনে তোমাদের সামনে হাজির করলেন কমলিনী চক্রবর্তী।

স্নেহ-ভালোবাসা দিয়েই এই মানব সভ্যতা গড়ে উঠেছে। আজ থিম ম্যাজিশিয়ান সোমনাথ দে একটি ভালোবাসার ম্যাজিক শেখাবেন তোমাদের। আর সেই ম্যাজিকের মাধ্যমেই তোমরা দেখবে মানুষের হৃদয় কত বড়!
একটা বড় বাক্স নিয়ে হাজির তিনি স্টেজে। তার সামনের দিকে একটা দরজা আর উপর দিকে আর একটা। প্রথমে সামনের দরজাটা খুলে ধরলেন ম্যাজিশিয়ান। তোমরা দেখলে তার ভেতর একটা লাল টুকটুকে ছোট্ট হার্ট। সেটি বের করে তিনি সবাইকে দেখালেন। তারপর আবারও বাক্সের ভেতর ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলেন। এবার ম্যাজিক মন্ত্র পড়ে বাক্সের উপরের দরজাটা খুলে ধরলেন ম্যাজিশিয়ান। আর অমনি সেখান থেকে বেরিয়ে এল একটা বিশাল বড় হলদে রঙের হৃদয়। তোমরা যখন তাজ্জব বনে গিয়েছ, হাসি মুখে ম্যাজিশিয়ান তখন বললেন, ‘মানুষের হৃদয় আরও প্রসারিত হোক।’
এবার চটপট শিখে নাও ম্যাজিকটা। 
ম্যাজিকের জন্য যা লাগবে:  হলুদ রঙের একটা বড় স্পঞ্জের হার্ট, লাল রঙের একটা ছোট স্পঞ্জের হার্ট, একটা চৌকো বাক্স, একটা কাটার এবং একটা প্লাস্টিকের আয়না।
পদ্ধতি: কাটারের সাহায্যে বাক্সটার সামনে ও উপরে দুটো দরজা কেটে নাও। এমনভাবে কাটবে, যাতে তা খোলা বন্ধ করা যায়। চাইলে দরজা দুটোয় ছোট হাতলও লাগিয়ে নিতে পার। এরপর বাক্সের মাথার দিকের একটা সাইডে লম্বা করে কেটে নাও (স্লিট তৈরি করে নাও)। এবার প্লাস্টিকের আয়নাটা কোনাকুনিভাবে ওই স্লিট দিয়ে ঢুকিয়ে দাও। এমনভাবে ঢোকাবে যাতে বাক্সের সামনের দরজা খুললে  উপরের দিকের দরজা বা  ফাঁকা অংশ দেখা না যায়। আয়না ঢোকানোর পর বাক্সের দু’টো ভাগ হল। তার সামনের ভাগে লাল রঙের হার্টটা ঢুকিয়ে দাও। আর উপর দিকে হলুদ রঙের হার্ট। তারপর বাক্সের সামনের দরজা খুলে সবাইকে লাল হৃদয় দেখিয়ে দাও। এরপর দরজা বন্ধ করে ম্যাজিক মন্ত্র পড়ে বাক্সের উপরের দরজা খুলে দাও। সেখানে তো আগে থেকে ঢুকিয়ে রাখা হলুদ হার্ট ছিলই। দর্শক দেখবে, ছোট লাল হৃদয় বদলে বড় হলদে হৃদয় বেরিয়ে এল।