বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
হ য ব র ল
 

কী পড়ব? 
কেন পড়ব?

প্রকাশিত হল মাধ্যমিকের রেজাল্ট। কেউ কেউ ইতিমধ্যে পছন্দমতো বিষয় নিয়ে পড়া শুরু করে দিলেও অনেকেই রয়েছে দোলাচলে। কোন স্ট্রিম নিয়ে পড়লে কী কী সুযোগ থাকবে ভবিষ্যতে, পরামর্শ দিলেন অভিজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

বিজ্ঞানের সুলুক সন্ধান
মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর যারা মেধাবী এবং বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে আগ্রহী তারা পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগেই বাংলা, ইংরেজি সঙ্গে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, অঙ্ক, জীববিদ্যা, সংখ্যাতত্ত্ব, কম্পিউটার সায়েন্স অথবা কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন অথবা পরিবেশবিদ্যার মধ্যে থেকে যে কোনও চারটি বিষয় নিয়ে নিজেদের পড়াশোনা শুরু করে দিয়েছ। এর মধ্যে বায়োলজি বিষয়টি যারা এরপর ইঞ্জিনিয়ারিং শাখায় যেতে আগ্রহী তাদের ক্ষেত্রে না থাকলেও মেডিক্যাল বিষয়ে পড়তে আগ্রহীদের ক্ষেত্রে অবশ্যই থাকতে হবে।
কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং বা মেডিক্যাল বাদ দিয়ে উচ্চমাধ্যমিকের পর বর্তমান সময়ে বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়া এবং পরবর্তী কর্মজীবন সম্বন্ধে স্বল্প পরিসরে একটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করি:
পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতকস্তরে অর্নাস এরপর এমএসসি এবং পিএইচডি করলে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গাইজেশন, ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন, স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার, অ্যাটোমিক রিসার্চ সেন্টার, ভ্যারিয়েবল এনার্জি সাইক্লোট্রন সেন্টার, এনটিপিসি, ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি, ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার ফিজিক্স ইত্যাদি জায়গায় গবেষণা, চাকরির সুযোগ রয়েছে।
রসায়নে স্নাতকস্তরে অর্নাস এরপর এমএসসি এবং পিএইচডি করলে অ্যানালিটিক্যাল কেমিস্ট, বায়ো মেডিক্যাল কেমিস্ট, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েট, ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ সায়েন্টিস্ট, ল্যাব কেমিস্ট, মেটেরিয়ল টেকনোলজিস্ট, প্রোডাকশন কেমিস্ট, কোয়ালিটি কন্ট্রোলার, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার, সেফটি হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট স্পেশালিস্ট হিসাবে বিভিন্ন গবেষণামূলক সংস্থায়, ওষুধ কোম্পানি, ফরেন্সিক বিভাগ, পরিবেশ সংক্রান্ত সরকারি বা বেসরকারি সংস্থায় গবেষণা ও চাকরির সুযোগ রয়েছে।
বায়োলজি নিয়ে পড়লে বিএসসি করা যায় এসব বিষয়গুলি নিয়ে: জুলজি, বটানি, ফিজিওলজি, বায়ো ইনফরম্যাটিক্স, বায়ো স্ট্যাটিস্টিক্স, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, এনভায়রনমেন্ট ম্যানেজমেন্ট, জেনেটিকস অ্যান্ড জেনোমিক্স, মলিকিউলার বায়োলজি, অ্যাপ্লায়েড বায়োলজি, ফুড, নিউট্রিশন অ্যান্ড হেলথ ইত্যাদি। বায়োলজির উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রটি অনেক বিস্তৃত। কয়েকটি উদাহরণ— এমএসসি করা যায় বটানি, জুলজি, ফিজিওলজি, জেনেটিক্স, মলিকিউলার বায়োলজি, ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ম্যানেজমেন্ট, অ্যানিমাল ব্রিডিং অ্যান্ড জেনেটিক্স, অ্যানিমাল হাজবেন্ডারি এক্সটেনশন এডুকেশন, লাইভ স্টক প্রোডাকশন টেকনোলজি, ভেটেনারি গাইনোকোলজি অ্যান্ড অবস্টেস্ট্রিকস, ভেটেনারি মেডিসিন, ভেটেনারি মাইক্রোবায়োলজি, ভেটেনারি প্যারাসোইটোলজি ইত্যাদি নিয়ে। এরপর গবেষণা, চাকরির সুযোগ রয়েছে— টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইমিউনোলজি, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি, ইনস্টিটিউট ফর নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যাপ্লয়েড সায়েন্স, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর এগ্রিকালচার রিসার্চ, ডিপার্টমেন্ট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ, সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি, ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে।
বিজ্ঞান নিয়ে পড়ে উচ্চমাধ্যমিকের পর আরও একটি উজ্জ্বল ক্ষেত্র হল আর্থ সায়েন্স। এর মধ্যে আছে জিওলজি, মেটেরোলজি, ওসনোগ্রাফি, অ্যাস্ট্রোনমি ইত্যাদি।
যে বিষয়গুলির কথা এখানে উল্লেখ করা হল সেই বিষয়গুলো নিয়ে পড়াশোনা করে স্কুল-কলেজে শিক্ষকতা এবং গবেষণার যে চাকরি, সেগুলোও সব সময় তোমার জন্য খোলাই থাকবে। যারা চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসো, জীবনকে অন্য দৃষ্টিতে দেখার চেষ্টা করো তাদের সকলের কথা ভেবে বহু অজানা, অদেখা, স্বপ্ন ঝরা দুনিয়ার একটু ভিন্ন পথের সন্ধান দেওয়ার চেষ্টা করলাম।
—ডঃ সৌগত বসু, উত্তরপাড়া গভর্নমেন্ট হাই স্কুল

শাখা যখন বাণিজ্য
বাণিজ্য বা কমার্সের ক্ষেত্রে অনেক সুযোগ থাকে সত্ত্বেও আজও এই শাখাটি যথেষ্ট অবহেলিত। যেসব বাঙালি আজ ব্যবসা ক্ষেত্রে দেশ ও বিদেশে বিশেষ সুনাম করেছেন, তাঁরাও আজ চান বাঙালি বাণিজ্য নিয়ে পড়াশোনা করুক, পশ্চিমবঙ্গে ব্যবসার ক্ষেত্র খুলুক। মাধ্যমিকের পর কমার্স নিলে অবশ্যই একই সঙ্গে কম্পিউটার অপারেশন ও ট্যালি বিশেষভাবে শিখতে হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ওয়ার্ডের কাজও জানা দরকার। অবশ্যই কমার্সে অ্যাকাউন্টেন্সি ও কস্টিং এবং ট্যাক্সেশন থাকলে ভালো হয়। এছাড়াও কমার্শিয়াল ল’ ও প্রিলিমিনারি অডিট সম্বন্ধে যে সাবজেক্ট রয়েছে তা নিলেও বিশেষ সুবিধা হবে পরবর্তীকালে। উচ্চমাধ্যমিকে কমার্সে বিজনেস স্টাডিজ বিষয়টি কমার্সের বিশেষ ধারণা দেয়। আইসিএসই বা সিবিএসই-তেও কমার্স, অ্যাকাউন্টেন্সি, কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন ও ইকনমিক্স একটি ভালো কম্বিনেশন বলে বিবেচিত হয়। 
উচ্চমাধ্যমিকের সময় বাণিজ্য বিভাগ নিয়েই অনেকে একই সঙ্গে ইন্টেগ্রেটেড এলএলবি করতে পারে। তবে পরবর্তীকালে গতানুগতিক বিকম অনার্স এবং এমকম না পড়ে আমার মতে, বিবিএ পড়া অবশ্যই সঠিক হবে। এর ফলে ভবিষ্যতে চাকরি পাওয়া সহজ হবে। 
বর্তমানে নানান প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজে বিবিএ, বিসিএ, ফ্যাশন বিষয়ে, চর্ম জাতীয় দ্রব্যের বিষয়ে, এক্সপোর্ট-ইম্পোর্ট বিষয়, শেয়ার মার্কেট বিষয়, ব্যাংকিং এবং ইনস্যুরেন্স সেক্টর সম্বন্ধে, হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট সম্বন্ধে পড়ার সুযোগ আছে। স্পেশালাইজেশনও করা যায়। সঙ্গে এলএলবি করলে আরও ভালো।
এছাড়াও কোম্পানি সেক্রেটারিশিপ, চ্যাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হওয়ার ট্রেনিং ও পড়াশোনা করে প্রফেশনাল ব্যাকগ্রাউন্ড তৈরি করলে ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে। বুক কিপিং বা অ্যাকাউন্টেন্সি নিয়ে পড়ে বিএড পাশ করলে শিক্ষকতাও করা যাবে।
বর্তমানে প্রত্যেক ব্যবসায়ীর খাতা লেখা ও জিএসটি নির্ধারণ ও রিটার্ন জমা করা আবশ্যিক। এসবের জন্য দক্ষ প্র্যাকটিকাল কমার্শিয়াল লোক খুবই কম পাওয়া যায়। এ সমস্ত কাজের জন্য অনেকেই নিজস্ব ফার্ম খুলেছেন। 
কথায় আছে, ‘বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী’। তাই বাণিজ্য ক্ষেত্রে সঠিক ধারণা পেলে এবং চাকুরীমুখী চেতনা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে স্বাধীন জীবন যাপনে অভ্যস্ত হতে মাধ্যমিকের পর বাণিজ্য শাখা নিয়ে পড়াই যায়।
সেলস মার্কেটিং এবং মার্কেটিংসহ ট্রেডিং, মিউচ্যুয়াল ফান্ড মার্কেটিং, এজেন্সিং এসবেও কমার্স নিয়ে পড়ে প্রাণচঞ্চল ও বাগ্মী হলে সাফল্যের শিখরে পৌঁছানো যায়।
কেন্দ্রীয় সরকারের ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্ট এবং অডিটিং ও ট্রেজারি ক্ষেত্রে নানা ক্লারিক্যাল বিভাগে কমার্সের ছেলেমেয়েরা চাকরি পেতে পারে। প্রভিডেন্ট ফান্ড ও নানান অক্সিলারি ডিপার্টমেন্টে চাকরি পেতে কমার্সের ছাত্রছাত্রীরা অগ্রাধিকার পায়। ব্যাংকিংয়ের বিভিন্ন পদ, হোটেল ম্যানেজমেন্ট, ইন্সুরেন্স অফিসের বিভিন্ন পদে, রাজ্য সরকারের মিসলেনিয়াস সার্ভিসের বিবিধ পদ, অডিট এবং অ্যাকাউন্টের জুনিয়র সিনিয়র পদে ও বিভিন্ন বিদ্যালয় কলেজে ক্লারিক্যাল জব পেতে কমার্স পড়ুয়াদের সুবিধা হয়।
—দেবকুমার বিশ্বাস, শৈলেন্দ্র সরকার বিদ্যালয় (গভঃ স্পনসর্ড)

মানবিক শাখার হালহকিকত
সাধারণ ধারণা হল আর্টস নিয়ে যারা পড়ে, তারা লেখাপড়ায় বিশেষ ভালো নয় এবং আর্টস নিয়ে পড়লে ভবিষ্যতও খুব বেশি উজ্জ্বল নয়। কিন্তু এটা জেনে তোমরা অবাক হবে আর্টস নিয়ে তোমরা যদি পড়ো এবং পছন্দের বিষয় বেছে নিতে পারো, তাহলে তোমার সামনে ভবিষ্যতের অনেক দরজাই খোলা থাকবে। প্রথমেই তোমাকে জানতে হবে উচ্চমাধ্যমিকে আর্টসের বিষয়গুলো কী কী?
বাংলা ও ইংরেজি এই দুটি আবশ্যিক বিষয়ের পাশাপাশি উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তালিকা থেকে যে কোনও চারটি বিষয় বেছে নিতে হয়: রাষ্ট্রবিজ্ঞান, শিক্ষা অথবা নিউট্রিশন, জার্নালিজম অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন অথবা অর্থনীতি, দর্শন অথবা সমাজবিদ্যা, ইতিহাস অথবা মনোবিজ্ঞান অথবা গণিত, ভূগোল অথবা হোম ম্যানেজমেন্ট, সঙ্গীত অথবা ভিজ্যুয়াল আর্ট অথবা পারফরমিং আর্ট অথবা শারীরশিক্ষা অথবা পরিবেশবিদ্যা অথবা সংস্কৃত অথবা কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার আগেই তোমাকে স্থির করতে হবে যে উচ্চমাধ্যমিকের পর তুমি কোন বিষয় নিয়ে পড়তে চাও। সেই অনুযায়ী এবং তোমার নিজের স্কুলের চাহিদা অনুযায়ী তোমার সাবজেক্ট কম্বিনেশন থাকলে ভবিষ্যতে তোমার জন্য সুনিশ্চিত কিছু দরজা খুলে যাবে। কয়েকটা উদাহরণ : 
১) উচ্চমাধ্যমিকের পর তিন বছরের স্নাতক (অর্নাস অথবা জেনারেল) ডিগ্রির জন্য যে কোনও কলেজে ভর্তি হয়ে রেগুলার কোর্স করা যায়। আবার ছোটখাট কাজ করতে করতে মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও বিএ ডিগ্রি অর্জন করা যায়। এর পরবর্তী ধাপে এমএ ডিগ্রি অর্জন করা যায়। এরপর বিএড কোর্স করে বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সুযোগ থাকে। স্নাতকোত্তরে ৫৫ শতাংশ নম্বর থাকলে নেট / সেট দিয়ে কলেজে শিক্ষকতা করা যায়।
২) বিএ ডিগ্রির পর ডব্লুবিসিএস, আইএএস, আইপিএস, আইএফএস, ব্যাঙ্ক পিআরও, সিডিএস ইত্যাদি পরীক্ষা দিয়ে কর্মজগতে প্রবেশ করা যায়। তবে এই জাতীয় পরীক্ষায় সাফল্য পাওয়ার জন্য সুনির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ এবং নিবিড়, নিরবচ্ছিন্ন অনুশীলন প্রয়োজন। 
৩) বর্তমান সময় হল তথ্য-প্রযুক্তির যুগ। যদি তোমাদের সাধারণ জ্ঞান খুব ভালো হয়, ভালো কথা বলা ও লেখার ক্ষমতা থাকে, তাহলে উচ্চমাধ্যমিকের পর জার্নালিজম বা মাস কমিউনিকেশন নিয়ে তিন বছরের ডিগ্রি কোর্স করতে পার। এই কোর্স করা থাকলে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কাজের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে। 
৪) বিএ এলএলবি এই পাঁচ বছরের কোর্স শেষ করে তোমরা সিভিল/ ক্রিমিন্যাল/ ফ্যামিলি কনসালটেন্ট আইনজীবী হয়ে একদিকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে অথবা বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংস্থার আইনি উপদেষ্টা, বহুজাতিক সংস্থার কনসিউমার প্রোডাক্টস অ্যাডভাইজার অথবা পরিবেশ সংক্রান্ত আইনি পরামর্শদাতা হিসেবেও নিজের কর্মজীবন শুরু করতে পারবে। 
৫) উচ্চমাধ্যমিকে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর পেয়ে ব্যাচেলর অব ফাইন আর্টস করা যায়। এখানে পেন্টিং, অ্যাপ্লাইড আর্টস, প্লাস্টিক আর্টস, ক্যালিগ্রাফি, ফোটোগ্রাফি, অ্যানিমেশন, সিনেমা মেকিং, সাউন্ড এডিটিং, থিয়েটার, মিউজিক ইত্যাদি কোনও বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের পর একদিকে স্বাধীন জীবিকা অর্জন এবং অন্যদিকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ থাকবে। 
৬) আর একটি গুরুত্বপূর্ণ কোর্স হল হোটেল ম্যানেজমেন্ট। হোটেল ম্যানেজমেন্ট মানে শুধু রান্নাবান্না করা নয়। এখানে কুকিং ছাড়াও ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ম্যানেজমেন্ট, হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, ফ্রন্ট অফিস অপারেশন, মার্কেটিং প্রভৃতি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে আকর্ষণীয় বেতনের চাকরির সুযোগ পাওয়া যায়। 
৭) ব্যাচেলর অব ফ্যাশন ডিজাইনিং কোর্স।  তোমাদের মধ্যে যাদের কালার ও কনসেপ্টের সেন্স ভালো, তারা উচ্চমাধ্যমিকে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর পেল চার বছরের এই কোর্স করে ফ্যাশন ডিজাইনার, প্রোডাক্ট ডিজাইনার, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, জুয়েলারি ডিজাইনার, কোয়ালিটি কন্ট্রোল এক্সপার্ট হতে পার। 
৮) ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট: তোমাদের যদি ভালো কমিউনিকেশন স্কিল, কো-অর্ডিনেশন স্কিল, প্রেজেন্টেশন করার দক্ষতা থাকে, তাহলে তোমরা এই কোর্স করে ইভেন্ট প্ল্যানার, ইভেন্ট ম্যানেজার, লজিস্টিক ম্যানেজার ইত্যাদি কাজের সুযোগ পেতে পার।
—অনন্যা মুখোপাধ্যায়, কোতরং আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়

5th     June,   2022
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ