বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
হ য ব র ল
 

মিবা ওয়াইল্ডলাইফ
রিজার্ভ নিয়ে বিশেষ শো 

পূর্ব আফ্রিকার তানজায়াতে একটি বহুলচর্চিত বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। এর নাম মিবা ওয়াইল্ডলাইফ রিজার্ভ। এটি প্রায় ৫৩০০০ হেক্টর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। শুধু তাই নয়, মিবা ওয়াইল্ডলাইফ রিজার্ভ বন্যপ্রাণীদের জন্য একটি সুরক্ষিত অঞ্চল বলে বিখ্যাত। হিপ্পো, জিরাফ, চিতাবাঘ, সিংহ সহ আরও অনেক প্রজাতির প্রাণীর নিরাপদ আশ্রয়স্থল এটি। সমস্যা হল, এই অঞ্চলটিতে ক্রমশ জলের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এর অন্যতম কারণ অনেক প্রাকৃতিক জলসম্পদ ক্রমশ শুকিয়ে যাচ্ছে। তবে এই জলের অভাব দূর করার জন্য এলাকার বাসিন্দারা এখানে কৃত্রিম ‘ওয়াটারহোল’ তৈরি করেছেন। এই কৃত্রিম ‘ওয়াটারহোল’ নিয়ে সোনি বিবিসি আর্থ একটি বিশেষ শো-এর আয়োজন করেছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে, ‘ওয়াটারহোল : আফ্রিকা’জ অ্যানিম্যাল ওয়েসিস’। এই শোতে দেখানো হবে কীভাবে আফ্রিকার বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীরা বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করে। এককথায় তাদের জীবনকাহিনি তুলে ধরা হয়েছে এই শো-এ। আশা করি, শোটি দেখে তোমাদের অন্য ধরনের অভিজ্ঞতা হবে।
আফ্রিকার হাতি
হাতিরা ১৫ মাইল দূর থেকে জলের গন্ধ পেয়ে থাকে। শুধু তাই নয়, আশ্চর্যের বিষয় এরা প্রায় এক দশক ধরে খাদ্য ও জলের অবস্থানগুলি ভালোভাবে মনে রাখতে পারে। জলরক্ষীর মতো জলের অবস্থান শনাক্ত করে অন্যান্য প্রাণীদের পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করে এরা। বিশালাকার হাতিরা সব সময়ই দল বেঁধে ঘুরে বেড়ায়। এদের নেতৃত্বে থাকে সাধারণত বয়স্ক স্ত্রী হাতি। বিশালাকৃতির হাতির জীবনধারণের জন্য রোজই প্রচুর পরিমাণ খাবার ও জলের প্রয়োজন হয়। পরিমাণটা কিন্তু বেশ নজরকাড়াই। প্রতিদিন প্রায় ২৫০ কিলোগ্রাম উদ্ভিদ ও ২০০ লিটার জল লাগে এদের। এরাই সবচেয়ে বেশি ‘ওয়াটারহোল’ ব্যবহার করে। জানলে তোমাদের ভালো লাগবে, এরা আফ্রিকার প্রখর তাপ থেকে বাঁচতে সারা শরীরে কাদা মেখে থাকে। বলতে পারো কাদামাটিকে তারা অনেকটা সানস্ক্রিনের মতো ব্যবহার করে।
মোষ
প্রতিদিন সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ এক পাল মোষ জলপান করতে বেরিয়ে পড়ে। এরা খুবই শক্তিশালী প্রাণী। এদের গলা থেকে অনেকটা কাঁটার মতো দেখতে একটি বিশেষ অঙ্গ বেরয়। লম্বায় প্রায় এক মিটার পর্যন্ত হতে পারে। এদেরও প্রতিদিন তৃষ্ণা মেটানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ জলের প্রয়োজন হয়। তাই এদের জন্যও সেই সব কৃত্রিম ‘ওয়াটারহোল’গুলি তৃষ্ণা নিবারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। এগুলি প্রাণশক্তির কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করে। প্রতিবারই এরা ৩০ লিটার পর্যন্ত জল পান করতে পারে। তোমাদের জানলে ভালো লাগবে, মোষ জলপান করতে গিয়ে অক্সপেকারদের (বিশেষ প্রজাতির পাখি) খুব উপকার করে। এই পাখি মোষের শরীরে থাকা পরজীবীদের খেয়ে জীবনধারণ করে। যদিও এইসব পরজীবীদের খালি চোখে দেখা যায় না। পরোক্ষভাবে মোষ অক্সপেকারদের জীবনধারণে সাহায্য করে।
চিতাবাঘ
চিতাবাঘকে বনের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী একটি শিকারি প্রাণী হিসেবে মনে করা হয়। এতটাই শক্তিশালী যে, এদের প্রায় ধরা যায় না বললেই চলে। প্রায় দু’ হাজার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এরা ঘুরে বেড়ায়। পোকামাকড়, হরিণ প্রভৃতি ছোট বড় প্রাণী শিকার করে পেট ভরায় এরা। যদিও অন্যদের মতো এদেরকেও জলের জন্য ‘ওয়াটারহোল’-এর ওপরই নির্ভর করতে হয়। এদের শিকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ জায়গাও ‘ওয়াটারহোল’। কিন্তু সেখানে এদের হায়না, সিংহের মতো প্রাণীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হয়। কৌশলে এদের শিকারকে অন্য প্রাণীদের হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখতে হয়। চিতাবাঘ শিকার ধরে গাছের ওপর রেখে আসে। এরপর তারা শুধু জলপান করার জন্য নামে। অনেক সময় এরা মৃত প্রাণীর শরীর থেকে বেরনো তরল খেয়েও খানিকটা তৃষ্ণা মেটায়।

23rd     May,   2021
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ