বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
হ য ব র ল
 

পৃথিবীর বিস্ময়কর
কয়েকটি প্রাণী 

পৃথিবীর বৈচিত্র্যময় প্রাণী হিসেবে ছোট ছোট কীট পতঙ্গও বেশ জনপ্রিয়। বিশ্বে যত প্রকারের প্রাণী আছে তার থেকে অনেক বেশি প্রজাতির কীট পতঙ্গ দেখতে পাওয়া যায়। আশ্চর্যের বিষয়, এরা এতটাই ছোট যে বেশিরভাগ সময় আমরা ওদের বৈচিত্র্যপূর্ণ জীবনযাপনকে চাক্ষুষ করার সুযোগ পাই না। সোনি বিবিসি আর্থ-এর শো ‘লাইফ’-এ আমরা এরকম কিছু কীট পতঙ্গের দক্ষতা, দৈহিক পরিবর্তন, অন্তহীন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়া প্রভৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারব। আশা করি শো’টি তোমাদেরও ভালো লাগবে।
উগপিস্টার বিটল
উগপিস্টার বিটল নামে এই প্রাণীটি শিকার ধরার জন্য অভিনব উপায় অবলম্বন করে থাকে। এদের সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার হল পিঁপড়ে। শিকার ধরার জন্য এদের দেহে বিশেষ এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ তৈরি হয়। এই রাসায়নিক পদার্থ তারা শত্রুর ওপর সুযোগ বুঝে প্রয়োগ করে। পিঁপড়ে শিকার করে খাবার পর এদের শরীর থেকে এক ধরনের ফর্মিক অ্যাসিডও ক্ষরণ হয়, যা সাধারণত তাদের পেটে সংরক্ষিত অবস্থায় থাকে। এরা প্রথমে আক্রমণকারীর চোখ ও নাকে সরাসরি এই রাসায়নিক স্প্রে করে দেয়। শুধু তাই নয়, রাসায়নিকটিকে এরা নিজেদের সুরক্ষার জন্যও ব্যবহার করে। উগপিস্টার বিটলের শরীরে এক ধরনের কালো ও সাদা দাগও থাকে। এই দাগ নাকি শিকারিদের কাছে বিশেষ সংকেত হিসেবে কাজ করে।
অ্যালকালি ফ্লাইজ
ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত মোনো লেক মৃত সমুদ্র হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। এর জল সাধারণ সমুদ্রের জলের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বেশি লবণাক্ত। প্রাণীদের কাছে এটি একটি প্রাণঘাতী অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। কিন্তু অ্যালকালি ফ্লাইজ এখানকার সব রকম প্রতিকূল পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করে থাকতে পারে। এখানে এরকম প্রায় লক্ষাধিক প্রাণী একসঙ্গে থাকে। এদের শরীরে ছোট ছোট লোম রয়েছে, যা হাওয়া বাতাসের হাত থেকে এদের রক্ষা করে। ফলে সহজে ডুবে যাওয়ার ভয় থাকে না। আশ্চর্যের বিষয়, এদের শরীর এমনভাবেই তৈরি যে ক্ষতিকারক লবণের সঙ্গে সহজে মানিয়ে নিতে পারে। কিন্তু কখনও কখনও এদেরও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। বিভিন্ন প্রজাতির পাখিদের কাছে এরা শিকার। কারণ এদের শরীর ফ্যাট ও চর্বিতে পরিপূর্ণ।
মৌমাছি
সাধারণত মিনেসোটার অরণ্যভূমিতে এই বিশেষ প্রজাতির মৌমাছি দেখা যায়। এদের শরীরে থাকা বিশেষ এক ধরনের রাসায়নিককে তারা বিভিন্ন সময় অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে। এরা অনেকটা সেনার মতো শত্রুর মুখোমুখি হয়। ফুল থেকে রেণু সংগ্রহ করে নিজেদের পেটের মধ্যে রেখে দেয়, যা পরে মধুতে পরিণত হয়। এই মধু তাদের ছোটছোট বাচ্চা এবং কঠিন সময়ে খাদ্যের জোগানের জন্য শরীরের মধ্যে সংরক্ষিত করে রাখে। এদের প্রধান শত্রু হল ভল্লুক। ভল্লুক যখন মৌচাক ভেঙে দেয় তখন এদের পক্ষে খাবার সংগ্রহ করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। ভল্লুকের বিধ্বংসী অভিযানের পর যতক্ষণ না আবার নতুন মৌচাক তৈরি হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত মৌমাছিরা ওই ধ্বংসস্তুপ থেকেই যতটা সম্ভব মধু খেয়ে জীবনধারণ করে।
গ্রাস কাটার অ্যান্ট
গ্রাস কাটার অ্যান্ট খুবই প্রতিভাবান প্রাণী হিসেবে পরিচিত। সাধারণত আর্জেন্টিনায় এদের দেখা যায়। কীট পতঙ্গের মধ্যে এরা অন্যতম, যারা বেঁচে থাকার জন্য অসাধারণ কৌশল অবলম্বন করে। এরা মাটির নীচে সাত মিটার পর্যন্ত সুড়ঙ্গ খুঁড়ে থাকতে পারে। এদের বেঁচে থাকার মূল চাবিকাঠি—এরা এক প্রকার ছত্রাকের চাষ করে। শুধু তাই নয়, এই ছত্রাকগুলিকে বিভিন্ন ধরনের গাছের পাতা ছোট ছোট টুকরো করে খাওয়ায়। এই ছত্রাকই তাদের মূল খাদ্য।  

21st     February,   2021
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ