বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
হ য ব র ল
 

বিশ্বের কয়েকটি
ভয়ঙ্কর প্রাণী 

বন্য জগতে সবকিছুকে বাঁচিয়ে নিরাপদে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে চলা বেশ কঠিন ব্যাপার। বনে-জঙ্গলে শক্তিশালী প্রাণীরাও কখনও কখনও দুর্বল হয়ে পড়ে। আবার একে অপরের সঙ্গে লড়াইয়েও মেতে ওঠে। সোনি বিবিসি আর্থ এদের নিয়ে একটি বিশেষ শো-এর আয়োজন করেছে। শো-এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডেডলি ৩৬০’। এই শো-এ বিশ্বের বেশকিছু ভয়ঙ্কর প্রাণীর শিকার ধরার পদ্ধতি খুব সুন্দর করে দেখানো হয়েছে। কুমির, সাপ, টিকটিকি সবই আছে। আশা করা যায়, এরকম একটি এক্সক্লুসিভ শো দেখে তোমাদের খুব ভালো লাগবে।

ধূসর নেকড়ে

তোমরা কি জানো, ধূসর নেকড়ের ধারালো দাঁত শিকার ধরার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। এরা কিন্তু অত্যন্ত দক্ষ ও শক্তিশালী একটি শিকারি প্রাণী হিসেবে পরিচিত। আমেরিকার ইয়ালোস্টোন ন্যাশনাল পার্কে যখন তাপমাত্রা হিমাঙ্কের কাছাকাছি পৌঁছে যায়, তখন এদের পক্ষে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। এদের বিশেষ প্রকারের দাঁত শিকারের হাড়কে সহজেই চূর্ণ করে ফেলতে পারে। এরা অনেকটা বন্য কুকুরের মতো শিকার ধরে। ধূসর নেকড়ে সব সময়ই দলবদ্ধভাবে শিকার ধরার পরিকল্পনা করে। এদের চোখ যে শিকারের ওপর পড়বে তার পক্ষে আর বেঁচে ফেরা প্রায় অসম্ভব। এদের শিকার কৌশল নির্ভর করে সঠিক লক্ষ্য বাছাইয়ের ওপর। শিকার ধরার ক্ষেত্রে সাফল্যের মূল কারণ এদের অসীম ধৈর্য ও টিমওয়ার্ক।

নীল কুমির

নীল কুমিরকে আফ্রিকার সরীসৃপ প্রাণীদের মধ্যে রাজা বলে মনে করা হয়। ভয়ঙ্কর শিকারি হিসেবে এদের বেশ সুনাম আছে। প্রায়ই এরা নিস্তেজ হয়ে শুয়ে থাকে। সংবেদনশীলতা এবং গতি এদের শিকার ধরার প্রধান অস্ত্র। এরা শিকার ধরার পর কামড় দিয়ে চোয়াল বন্ধ করে দেয়। এরা শিকার ধরার জন্য প্রয়োজন হলে চোখ ও নাক বাদ দিয়ে পুরো শরীরকে জলের নীচে ডুবিয়ে রাখে। নীল কুমির প্রায় তার দেহের সমান শিকার ধরে ফেলতে পারে।

মেরু ভল্লুক
পোলার বিয়ার বা মেরু ভল্লুক বিশ্বের স্থলভাগের অন্যতম বড় মাংসাশী প্রাণী। শীতল বিশ্বের সেরা শিকারি হিসেবেও এদের যথেষ্ট সুনাম আছে। মেরু ভল্লুকের অন্যতম শিকার হল সিল। সিল প্রতি ২০ মিনিট অন্তর নিশ্বাস নেওয়ার জন্য জলের উপরিভাগে উঠে আসে। আর এটাই পোলার বিয়ারদের সিল শিকার ধরার সবথেকে বড় সুযোগ। এই ধরনের শিকার ধরার ক্ষেত্রে মেরু ভল্লুকের ধৈর্য ও সহিষ্ণুতাই প্রধান অস্ত্র। কারণ, সিল খুব ভালো সাঁতারু। শুধু তাই নয়, সিল টানা কয়েক ঘণ্টা দম বন্ধ করেও থাকতে পারে। তাই সিল শিকার করতে মেরু ভল্লুককে যথেষ্ট ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয়। শিকার ধরার ক্ষেত্রে ভল্লুকের আরেকটি সেরা অস্ত্র হল, এদের সংবেদনশীল নাক। শুনলে তোমাদের অবাক লাগবে, নাকের সাহায্যে প্রায় ২০ মাইল দূর থেকেও সিলদের শনাক্ত করতে পারে। সিল যখন কখনও কখনও বরফের উপরিভাগে চলে আসে, তখন সুযোগ বুঝে মেরু ভল্লুক এদের টেনে বাইরে নিয়ে আসে। শুধু তাই নয়, এরা মাইনাস ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রাতেও সিল শিকারের অপেক্ষায় থাকে!

পাফ অ্যাডর

দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে একাধিক পাহাড়ি অঞ্চল আছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই এখানে প্রচুর বন-জঙ্গল দেখতে পাওয়া যায়। কেপটাউনের সেই সব পাহাড়ি বনাঞ্চলে পাফ অ্যাডর নামে এক বিশেষ প্রজাতির প্রাণীকে দেখা যায়। এরা ভাইপার পরিবারের অন্তর্গত। তাই অন্যান্য ভাইপারের মতোই এদের দাঁতে বিষ থাকে। এরা খুব ভালো শিকারিও। বেশিরভাগ সময় ইঁদুর ও ছোট ছোট প্রাণী শিকার করে এরা পেট ভরায়। পাফ অ্যাডরের প্রখর ঘ্রাণশক্তি এদের শিকারে খুব সাহায্য করে। যখন ইঁদুর বা ছোট ছোট প্রাণী এদের ফাঁদে পড়ে তখন এরা শিকারের ওপর দ্রুত বিষ ঢেলে দেয়। ফলে খুব তাড়াতাড়ি ও সহজে ইঁদুর ও ছোট ছোট প্রাণীরা মারা যায়।  

7th     February,   2021
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ