বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
গল্পের পাতা
 

চিরশৈশব
সুমন মহান্তি

 

বিকেল হয়ে আসছে, আকাশে বিস্কুট রং, টিলার ওপারে সূর্য স্তিমিত হচ্ছে। ট্রেনের সাইড বার্থে বসে বাইরের দৃশ্য দেখছিলাম। প্রতিমুহূর্তে দৃশ্য বদলে যাচ্ছিল। কেন জানি না অবেলার দৃশ্য আমাকে আনমনা করে দেয় বারবার। এইসব মুহূর্ত আজকাল ধুলোমাখা শৈশব মনে করিয়ে দেয়, প্রথম যৌবনের উষ্ণ মাদকতার দিন মনে পড়ে, হারিয়ে যাওয়া বা ফেলে আসা অনেককিছুই মনে পড়ে যায়। 
উল্টোদিকেই বসে আছেন এক বয়স্কা মহিলা। তিনিও আমার মতোই একমনে দেখছিলেন বাইরে। কামরার কোলাহলের দিকে তাঁর কোনও মনোযোগ নেই। তাঁর চোখ দু’টি যেন অন্য জগতে হারিয়ে যাচ্ছে। 
আলাপ করার ইচ্ছে হল। ট্রেনে সাধারণত নিজের মনেই থাকি, গায়ে পড়ে কারও সঙ্গে আলাপ করি না। তাঁর উদাস চোখ এবং আনমনা দৃষ্টি আমাকে টানল।
—কোথায় যাবেন আপনি?
—জব্বলপুর।
—ওখানে বাড়ি?
—হুঁ।
—বাড়িতে কে কে আছে আপনার?
—কেউ নেই।
অবিশ্বাসের চোখে তাকিয়ে থাকলাম। পরক্ষণেই মনে হল বুড়ো বয়সে কেউ একা হতেই পারে। 
তিনি হাসিমুখে তাকালেন। মুখে বয়সের ছাপ স্পষ্ট, গালে ভাঁজ, চামড়ায় শিথিল আভাস। তাঁর হাসিতে কিন্তু বিষণ্ণতা নেই। মুখ জুড়ে শেষ বিকেলের হলুদ আলো, উজ্জ্বল লাগছে তাঁকে।
—বিশ্বাস হল না তোমার? তুমি বয়সে অনেক ছোট। তাই তুমি বলছি।
—না, না, ঠিক আছে। আমি বয়সে ছোট।
—আমার বয়স সাতষট্টি। তোমার?
—বাহান্ন।
—কোথায় যাচ্ছ?
—মুম্বই। বোন-ভগ্নীপতি ওখানে আছে প্রায় দশ বছর।
—বাড়িতে আর কে কে আছে?
—মা আছেন। বউ, উনিশ বছরের ছেলে আর আমি। ছোট সংসার।
—তুমি আমার কথা বিশ্বাস করনি বুঝতে পারছি। সত্যিই আমার কেউ নেই। বিয়ে-থা, সংসার এসব কিছুই করিনি।
‘কফি চলবে?’ তিনি  জিজ্ঞাসা করলেন।
—হ্যাঁ।
‘দো কাপ দিজিয়ে,’ বলেই তিনি তাকালেন, ‘বাঙালি হলেও আমি সারাজীবন বাংলার বাইরেই কাটিয়েছি। প্রবাসী বাঙালি বলতে যা বোঝায় আমরা ঠিক তাই।’
—আপনার বাংলা উচ্চারণ কিন্তু নিখুঁত।
—প্রবাসী বাঙালিরা ভাষাটাকে সম্মান করে। যেটা পশ্চিমবঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে।
—ঠিক বলেছেন।
কফিতে চুমুক দিয়ে তিনি বললেন, ‘বাবা ফরেস্ট অফিসার ছিলেন। বদলির চাকরি, বেশির ভাগটাই ছত্তিশগড় আর মধ্যপ্রদেশে। অনেস্ট অফিসার হলে যা হয় এদেশে। আপস করতেন না, মেরুদণ্ড বেঁকে যায়নি। তাই বারে বারে নতুন জায়গাতে পোস্টিং। কোথাও বেশিদিন থিতু হতে দেওয়া হয়নি।’ কফিতে আর একবার চুমুক দিয়ে কিছুক্ষণ চুপ থাকলেন তিনি।
—আচ্ছা।
—তাই কোনও শহর, কোনও জায়গা আপন হয়ে উঠতে পারেনি আমাদের কাছে। কারও সঙ্গে সেভাবে ভাব জমে ওঠেনি। একা একাই থেকেছি। প্রকৃতিই আমার একমাত্র বন্ধু হয়ে উঠেছিল, এখনও বন্ধুই আছে। বাবার লাস্ট পোস্টিং ছিল জব্বলপুরে। রিটায়ার করে ওখানেই বাড়ি করেছিলেন। বাবা-মা কেউই আর নেই। জব্বলপুরের বাড়িই আমার ঠিকানা।
‘কখনও একা মনে হয়নি?’ সাহস করে জিজ্ঞাসা করি।
তিনি বাইরের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘না। বিয়ে করিনি। কেন করিনি তার নির্দিষ্ট কোনও কারণ নেই। তবে বনজঙ্গল, গাছপালা, পশুপাখি এদের সঙ্গেই তো জীবনের অনেকগুলো বছর কাটিয়েছি। ভালো লাগত খুব। তেমন অভাববোধ কখনও হয়নি। হতে পারে সেভাবে আমরা কারও সঙ্গে মিশতে পারিনি বলে মনে ভয়ও ছিল।’
 —আচ্ছা।
—তুমি কী কর?
—কলেজে পড়াই।
—সাবজেক্ট?
—ইতিহাস।
—তার মানে তুমি ইতিহাসের অধ্যাপক!
তিনি সিটে সোজা হয়ে বসলেন। এতক্ষণ কিছুটা অন্যমনস্ক ছিলেন, সেই ভাবটা কেটে গিয়ে তাঁর মুখে উজ্জ্বল হাসি ফুটে উঠল।
‘তাহলে তো একটা কাজের কথা বলতেই হয়,’ স্মিতমুখে তিনি বললেন।
—বলুন। 
—ভয় নেই। সাবজেক্টের ব্যাপারে কিছু বলব না বা জানতে চাইব না। আমার কেউই নেই যে, হিস্ট্রির ব্যাপারে তোমার সাহায্য বা পরামর্শ নেব। একা থাকি। একটি কাজের মেয়ে রেখেছি। সে রান্নাবান্না সব করে দেয়। একা মানুষের আর কতই বা কাজ?
—হাঁপিয়ে ওঠেন না এভাবে?
—না।
তারপর মৃদুস্বরে বললেন, ‘আমি একটা কাজে ব্যস্ত থাকি। অন্যের কাছে এটা কাজ মনেই হবে না। শুনলে হাসবে, পাগলামো ভাববে।’
—কী কাজ?
—দেশলাই-বাক্স কালেক্ট করি।
—ওহ! 
—শুনে হাসি পাচ্ছে না?
—না।
তিনি অবিশ্বাসে বললেন, ‘ভদ্রতার খাতিরে সত্যিটা বলছ না। যে কেউ শুনলে ভাববে যে, এই বুড়ির মাথায় ক্র্যাক আছে।’
‘ওরকম ভাবছি না। তবে কাজটা ইন্টারেস্টিং। দেশলাই-বাক্স কেউ জমায় এই প্রথম জানলাম।
‘বলছ?’ তাঁর চোখে দ্বিধা, ‘দশ বছর বয়স থেকেই দেশলাই-বাক্স জমাচ্ছি। স্কুলে প্যারাগ্রাফ ছিল ইওর হবি। সেটা লিখতে গিয়েই মনে হল আমার তেমন কোনও হবি নেই। কিছু একটা তাহলে করতেই হয়। ভেবে দেখলাম দেশলাই-বাক্স জমানো যায়। তেমন কেউ এটাকে হবি করেনি, আমি করতেই পারি। এইভাবেই শুরু। দেশলাই-বাক্সের উপরের ছবিগুলো টানত খুব। পাখির ছবি, ঘোড়ার ছবি, এমনকী বিড়ালের ছবিও থাকত। নিছক খেয়াল দিয়ে যা শুরু সেটাই নেশা হয়ে গেল একটা সময় থেকে।’
‘হ্যাঁ, ওরকম বয়সে আমিও স্ট্যাম্প কালেকশন করা শুরু করেছিলাম। যা হয় দু’বছর যেতেই ইচ্ছেটা হারিয়ে গেল,’ হালকা গলায় বললাম।
—আমি কিন্তু ছাড়তে পারিনি। এখনও চলছে। মনে হয় শেষদিন পর্যন্ত চলবে।
—তাহলে আপনার এই দেশলাই-বাক্স কালেকশনের বয়স কম নয়।
—দশ বছর বয়সে শুরু, এই সাতষট্টিতেও চলছে। সেই হিসেবে সাতান্ন বছর ধরে দেশলাই-বাক্স জমিয়ে চলেছি।
—এতদিন ধরে ওটা নিয়ে আছেন জেনে ভালোই লাগছে।
তিনি উদাস গলায় বললেন, ‘কত বছরের পুরনো সব দেশলাই আছে স্টকে। মাঝেমধ্যে ওগুলো বের করে দেখি। রান্নার মেয়েটা দেখে মুখ টিপে হাসে। ঘরজুড়ে মেঝেতে হাজার খানেক দেশলাই-বাক্স মেলে বসে বসে দেখি। ছোটবেলাটা ভীষণ মনে পড়ে যায়। ধর কয়েকটা দেশলাই দেখলে মনে পড়ে যায় যে, মা এগুলো উনুন ধরানোর জন্য ব্যবহার করতেন। কয়েকটাতে বাবার স্মৃতি জড়িয়ে থাকে। মনে পড়ে, বাবা তো সিগারেট ধরাতেন এগুলো দিয়ে। একেবারে প্রথমে যেটা দিয়ে শুরু সেই দেশলাই-বাক্সে নদীর ছবি ছিল মনে আছে। সেটা জমাতে পারিনি। জলে পড়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। হাত-পা ছড়িয়ে খুব কেঁদেছিলাম।
‘কিন্তু স্মৃতি নষ্ট হয়নি।’
আমার কথায় তিনি খুশি হলেন, ‘একদম তাই। একবার খুব মজার একটা কাণ্ড ঘটেছিল। তখন ক্লাস এইটে পড়ি। রামগড়ে তখন পোস্টিং বাবার। জঙ্গলের পাশে একটা গ্রামে  ঘুরতে গেছি সবাই। চায়ের দোকানে উনুন ধরাচ্ছিল দোকানদার। আমার চোখ পড়ে গেল তার দেশলাই-বাক্সের দিকে। আরে, এটা তো আগে দেখিনি। এটা আমার কালেকশনে নেই। মাথায় যেই পোকা নড়ল পাগলের মতো খোঁজা শুরু করে দিলাম আশপাশের দোকানে। কোথাও পেলাম না। মন বেশ খারাপ। হঠাৎ মাথায় বুদ্ধি খেলা করল। একটা দেশলাই কিনে নিয়ে সেই দোকানদারের হাতে গুঁজে দিলাম। সেই রেয়ার ম্যাচ-বক্সটা তার হাত থেকে প্রায় ছোঁ মেরে নিয়ে সোজা দৌড় দিলাম জিপগাড়ির দিকে। বাবা পরে বলেছিল যে, ‘লোকটা তো চাইলেই দিয়ে দিত। ওরকম করার  দরকার কী ছিল? লোকটা নাকি হাসছিল আমার কাণ্ড দেখে।’
‘ওই বয়সটাই ছেলেমানুষির, নিষ্পাপ ছিল বড়,’ বলতে, বলতে টের পেলাম অজান্তেই দীর্ঘশ্বাস উঠে এসেছে আমার গলায়।
বাইরের অসাধারণ দৃশ্যে চোখ রেখে তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ, তা বলতে পার। বাবা একবার লাইটার ব্যবহার শুরু করেছিল। দেখে আমি হতাশ। দেশলাই-বাক্সের স্টক তাহলে আর বাড়বে না। লাইটার লুকিয়ে দিতাম। নতুন লাইটার কিনে নিয়ে এলেও কয়েকদিন পরে বাবা সেটা আর খুঁজে পেত না। বাবা বোধহয় বুঝতে পেরেছিল। আবার দেশলাই কেনা শুরু করল।’
‘কাজের কথা কী যেন বলছিলেন?’ মূল প্রসঙ্গে ফিরি।
‘কাজের কথা বলতে গিয়েই তো এতকিছু বলে ফেললাম। বলছি, দেশলাইগুলো নিয়ে রিসার্চ করা যায় না?’
অবাক গলায় বলি, ‘রিসার্চ?’
‘হ্যাঁ, রিসার্চের কথাই বলছি। সামাজিক ইতিহাসের কোনও রিসার্চ তো হতেই পারে। স্ট্যাম্প যেমন সময়কে ধরে রাখে, যুগের কথা বলে। সময়কে ধরে রাখে না?’
সায় জানিয়ে বলি, ‘অবশ্যই।’
‘তাহলে দেশলাই হবে না কেন? ওরাও তো সময়ের ছবি বয়ে নিয়ে চলে। টেকনোলজি যেভাবে বদলাচ্ছে একদিন ম্যাচ-বক্স অচল হয়ে যাবে। ইতিহাস হয়ে যাবে হয়তো। তাহলে এগুলো সংরক্ষণ করে রিসার্চ হতেই পারে।’
তর্ক করার ইচ্ছে হল না। দেশলাই-বাক্স আর কতটুকু সময়ের ছবি ধরে রাখে? ইতিহাসের কোন কাজে লাগবে তা? যা হারিয়ে যায় তা-ই গবেষণার বিষয় হবে? মনের ভাব গোপন রেখে মাথা নেড়ে বলি, ‘হুম, দেশলাই-বাক্সও সময়ের ছবি ধরে রাখে। এটা আগে ভেবে দেখিনি কখনও।’
‘দে আর মাই ডিয়ার চিলড্রেন। ওদের নিয়েই একটা বয়সের পর থেকে সময় কেটেছে আমার। এখন আরও বেশি করে কাটছে। এই বয়সে দেশলাই সংগ্রহের নেশাটা বেশি করে বাঁচিয়ে রাখে। তবে এখন আর ভ্যারিয়েশন পাই না। জাহাজের ছবি, ঘোড়ার ছবি ছাড়া তেমন কিছু চোখে পড়ে না।’
কিছুক্ষণ চুপ থেকে তিনি বললেন, ‘এখন ভাবি, বেলা শেষ হয়ে এল। কতদিন আর বাঁচব? আমি চলে গেলে ওদের কী হবে? কে আর ওদের মূল্য বুঝবে? এত বছর ধরে যত্ন করে রেখেছি ওগুলোকে, এত অসংখ্য দেশলাই-বাক্স অবহেলায় পড়েই থাকবে। আমি না থাকলে এতদিনের প্রাণের সঞ্চয় সব অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাবে। ভাবলে ঘুম আসে না, অস্থির লাগে।’
‘অত ভাববেন না।’ 
‘তুমি খোঁজ নিয়ে দেখো। কেউ যদি ওগুলো নিয়ে রিসার্চ করতে চায় সবক’টা দিয়ে আসব তাকে। তুমি তো হিস্ট্রির অধ্যাপক। তুমি কিছু করতে পার না এরকম?’
বিব্রত হয়ে বলি, ‘চাইলেও করা যায় না।’
‘কেন?’
‘আসলে এরকম অফবিট বিষয় রিসার্চের পেপার হিসেবে অ্যাপ্রুভড হবে কি না বলা যাচ্ছে না।’
ঈষৎ আশান্বিত দেখাল তাঁকে, ‘খোঁজ নিয়ে দেখতে পার। আমার মতো পাগল কেউ থাকতেই পারে। আমার মোবাইল নম্বরটা রাখ। তোমারটা দিও আমাকে।’
নম্বর নিয়ে তিনি ম্লান হাসেন, ‘বাবা চলে যাবার সময়ে যে দেশলাই-বাক্স থেকে কাঠি নিয়ে ধূপ জ্বেলে দিয়েছিলাম সেটা কোথাও গেলে আমার সঙ্গেই থাকে। মা ঠাকুরকে সন্ধেবেলায় যে দেশলাই-বাক্স ব্যবহার করে ধূপ জ্বালিয়ে দিতেন, সেটাও আমার এই ভ্যানিটি ব্যাগেই আছে। মনে হয় দু’জনে আমার সঙ্গেই আছেন।’
আপার বার্থ থেকে ব্যাগ নামিয়ে হাসলেন তিনি, ‘জব্বলপুর আসছে, এবার নেমে যাব। রণেন, আমার কাজটা মনে রাখবে কিন্তু। সময় হলে কখনও জব্বলপুরের দিকে গেলে আমার বাড়িতে যেও অবশ্যই। এই বুড়ির  হাজার সন্তানদের দেখে আসবে একবার।’
ফোন নম্বর আদান-প্রদানের সময় পরস্পরের নাম জেনেছি আমরা। বিনতা হালদার তাঁর নাম। বাবার আদর্শকেই সঙ্গী করে নিজের চলার রাস্তা খুঁজে নিয়েছেন একদিন। প্রকৃতিকে আশ্রয় করে নিজের মতো বেঁচেছেন। একসময় একা হয়ে আঁকড়ে ধরেছেন দেশলাই-বাক্সর ঠুনকো শরীর। এই পৃথিবী থেকে চলে যাবার আগে প্রতিটি মানুষই নিজের চিহ্ন রেখে যেতে চায়। বিনতা হালদারের তেমন কেউ নেই, কিছুই নেই। তাই ভঙ্গুর দেশলাই-বাক্সগুলোর মধ্যে নিজের চিহ্ন রেখে যেতে চাইছেন। 
প্ল্যাটফর্মে নেমে বিনতাদেবী হাত নেড়েই এগিয়ে গেলেন হাসিমুখে। ট্রেন ছেড়ে দিল। জব্বলপুর স্টেশন হারিয়ে গেল দৃষ্টির বাইরে। সূর্যাস্ত নেমে এসেছে। 
সেদিকে তাকিয়ে মনে হল, এখনও এই পৃথিবীতে বিনতা হালদারের মতো কেউ কেউ ছোটবেলাকে, তার নিষ্পাপ পাগলামোকে ধরে রাখতে পারে আজীবন...।
অঙ্কন : সুব্রত মাজী

28th     May,   2023
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ