বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
গল্পের পাতা
 

ভালোবাসার বাগান
বিতস্তা ঘোষাল

‘অরণী কোম্পানির অসাধারণ পেন আমি এখন আপনাদের দেখাতে চলেছি। হলফ করে বলতে পারি এর আগে যত বল পেন আপনারা ব্যবহার করেছেন, এই পেনে একবার লিখলে আগের সব পেন বাতিল করে দেবেন। জিরো পয়েন্ট  ফাইভ রিফিল, অখাদ্য হাতের লেখাকেও সোনার মতো করে তুলবে। ভাবছেন নিশ্চয়ই অনেক দাম। ঠিকই ভাবছেন। এমন একটা পেনের মূল্য যে কোনও দোকানে গেলে মিনিমাম তিরিশ টাকা। এখানে কোনও দোকানের লোক থাকলে তিনি নিশ্চয়ই একমত হবেন। কিন্তু অবাক হবেন আজ আমাদের কোম্পানি কী দামে এই কলম আপনাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন জেনে...’ 
এক নাগাড়ে কথাগুলো বলে ছেলেটি বাসে বসা মানুষগুলোর মুখের দিকে তাকাল। কী যেন নিরীক্ষণ করে সামনের সিটে বসা ছেলেটির দিকে একটা কাগজ আর পেনটা এগিয়ে দিয়ে লিখে দেখতে বলল। ছেলেটি লিখতে লিখতেই সে আবার বলে উঠল, ‘কোম্পানি শুধুমাত্র এই একটি পেনই আজ বিক্রি করছেন না, তার সঙ্গে দিচ্ছে আরও দুটো পেন,’ বলে পকেট থেকে আরও দু’টি প্রায় একই রকম দেখতে পেন বের করল। হাতে ধরে সেটা চারদিকে দেখাতে দেখাতে বলল, ‘এর গায়েও দেখুন লেখা অরণী। একেকটির দাম মিনিমাম কুড়ি টাকা। হাতে নিয়ে দেখতে পারেন,’ বলে আবার একটু থেমে যাত্রীদের মুখের দিকে তাকিয়ে রইল। যেন বোঝার চেষ্টা করল ক্রেতাদের প্রতিক্রিয়া। 
নাহ, এখনও আমার বলা শেষ হয়নি। চারদিকে একবার তাকিয়ে নতুন উদ্যমে বলে উঠল, ‘এর সঙ্গে রয়েছে দুটো ছ’টাকা দামের রিফিল। যদি আমরা হিসেব করি তাহলে দেখা যাবে এই তিনটে পেন আর রিফিল মিলিয়ে মোট দাম পড়ছে ৮২ টাকার মতো। আপনারা যাঁরা ভেবেছিলেন এই পেন নেবেন, দাম শুনে নিশ্চয়ই ভাবছেন আর নেওয়া হল না। কিন্তু না, মন খারাপের কোনও অবকাশ নেই। কোম্পানি এই তিনটে পেন ও রিফিল দিচ্ছেন প্রায় বিনামূল্যে। অনুমান করে বলতে পারবেন কত হতে পারে?’
ডান দিকের জানলার ধারে বসা একটি ছেলে বলে উঠল কুড়ি। তার দেখে আরও দু-একজন বলল, পঁচিশ, তিরিশ, পঞ্চাশ...।
পিয়াসা খুব মন দিয়ে দেখছিল ছেলেটিকে। তার বিক্রি করার পদ্ধতিটা দেখে মজা লাগছিল। প্রায় দশ বছর পর সে বাসে উঠেছে। শিয়ালদার নার্সারি থেকে গাছ কিনে ফিরছে। আজকাল তার বাগান করার নেশা তীব্র হয়েছে। অন্য কোথাও হলে গাড়িতেই যেত, কিন্তু রাস্তার উপরের এই গাছের নার্সারিগুলোর সামনে গাড়ি রাখার কোনও সুযোগ নেই। তাই বাসেই এসেছিল। সঙ্গে সমুদ্র। অফিস থেকে হোয়াটসঅ্যাপ করা মাত্র সমুদ্র ফোন করে বলেছিল, ‘একা যাবে না। আমি আসছি গাড়ি নিয়ে।’
—কিন্তু ওখানে গাড়ি রাখা যায় না। বাসে যেতে হবে।
—বাসে কেন? এসে তাহলে ক্যাব বুক করে নিচ্ছি। অপেক্ষা কর।
কলেজ স্ট্রিটে তার অফিসে এসে সমুদ্র যখন ফোন করে তাকে নীচে ডাকল আকাশ অন্ধকার হয়ে এসেছে। এক ফোঁটা দু’ফোঁটা করে বৃষ্টি গায়ে এসে পড়ল। পিয়াসা সেদিকে লক্ষ করে বলল, ‘কী করবে? যাবে?’
সমুদ্র বলল, ‘দু’মিনিট দাঁড়িয়ে তাহলে ক্যাবটা বুক করে নিই।’
সমুদ্রের হাতটা নিজের হাতে ধরে পিয়াসা আদুরে গলায় বলল, ‘শোনো না, আজ বাসে যাবে? কতদিন বাসে উঠিনি।’ 
—তুমি বাসে উঠতে পারবে না সোনা। বসার জায়গা পাবে না, রড ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে গেলে তোমার মাথা ঘুরবে। 
—কিচ্ছু হবে না। আগে তো উঠতাম।
—তখন তোমার বয়স অনেক কম ছিল। অভ্যস্ত ছিলে।
কিন্তু পিয়াসা জেদ করল, ‘আমি গেলে বাসেই যাব। নইলে ছেড়ে দাও।’
‘আচ্ছা বেশ, চলো,’ বলে অনিচ্ছা নিয়েই বাস স্টপের দিকে এগিয়ে গেল সমুদ্র। বাসে ওঠামাত্র তুমুল বৃষ্টি নামল। বসার জায়গা পেলেও জলের ঝাপটায় প্রায় ভিজে গেল দু’জনেই। এমনকী বাসের সিলিং থেকেও জল গড়িয়ে গায়ে পড়ছে। কন্ডাক্টর বলল, ‘বাস পরের সপ্তাহেই কাটাইতে যাবে। তাই আর মালিক সারাচ্ছে না।’
সমুদ্র বিরক্ত হলেও পিয়াসা তার দুটো হাত দিয়ে ধরে রেখেছিল সমুদ্রের হাত। ‘এই পাগলিকে নিয়ে যে কী করি! এমন অবুঝ হয়ে যাও মাঝে মাঝে,’ সমুদ্র হাতে চাপ দিয়ে বলল।
পিয়াসা বলল, ‘দুটো অপশন। এক মেনে নাও, নয় ছেড়ে দাও।’ 
সমুদ্র হাসল— ‘এত বছর ধরে মেনেই নিয়েছি। ছাড়ার কথা ভুলেও ভেব না।’
শিয়ালদায় নামার পরেও বৃষ্টি পড়ছিল। ভিজতে ভিজতেই একটা নার্সারিতে গিয়ে ঢুকল দু’জনে। সেখানে বিক্রেতা খাবার রান্না করে সদ্য ধোঁয়া ওঠা ভাত আর মাছের ঝোল খাচ্ছে। তাদের দেখে সরিয়ে রাখতে গেল তাড়াতাড়ি। পিয়াসা বলল, ‘খেয়ে নিন। তারপর নেব। এমনিতেও এত বৃষ্টিতে কিনেও সঙ্গে সঙ্গে বেরতে পারব না। আমরা বরং এই বেঞ্চে বসি আপনার অনুমতি পেলে।’
লুঙ্গি আর খালি গায়ের বয়স্ক মানুষটি দাঁত খুঁটতে খুঁটতে বলল, ‘হ্যাঁ হ্যাঁ দিদিমণি বসুন। আমি খেয়ে নিই।’
অন্য সময় তার সামনে কেউ দাঁত, নাক খুঁটলে বমি পায় পিয়াসার। কিন্তু আজকের দিনটা যেন সবের থেকেই আলাদা। একদিকে বৃষ্টি, অন্যদিকে সমুদ্র। এই মানুষটির সঙ্গে দীর্ঘদিন ঘর করেও রোজই নতুনভাবে তাকে খুঁজে পায় সে। রাস্তায় জমে যাওয়া জল আর অজস্র গাছেদের চাড়ার মাঝে বসে অদ্ভুত একটা ভালো লাগায় মন ভরে যাচ্ছিল তার। তাই লোকটিকে উপেক্ষা করে গাছেদের দিকে তাকিয়ে রইল। 
পৃথিবীতে যখন কোনও প্রাণী ছিল না, তখন চারদিকে ছিল কেবল জল। আর এই জলেই প্রথম জন্ম নেয় উদ্ভিদ। প্রথমে এককোষী জীব শ্যাওলা। তাও দুশো কোটি বছর আগে। প্রথম ফুলের উৎপত্তিও দেড় কোটি বছর হল। সামনে রাখা নানান রকম গাছেদের দিকে তাকিয়ে পিয়াসা ভাবছিল এসব কথাই। এই যে একটা সময় পৃথিবীর অর্ধেক জল আর অর্ধেকেরও কম স্থলভাগের একটা বড় অংশ জুড়ে জঙ্গল গড়ে উঠল মানুষ তাকেই বাসস্থান গড়ার প্রয়োজনে ধীরে ধীরে কেটে পরিষ্কার করে বাসভূমিতে পরিণত করল। আচ্ছা, আমি যদি টারজান হতাম কেমন হতো! গাছেতেই থাকতাম। সারাদিন সবুজের সঙ্গে। তাতে কী এই জীবনটা নষ্ট হতো! 
তার ভাবনার ছেদ ঘটিয়ে গাছ বিক্রেতা বলল, ‘আমি খেয়ে একটু না গড়িয়ে পারি না বুঝলেন দিদিমণি। তা কী কী গাছ লাগবে?’ একটা বিড়ি ধরাল সে।
পিয়াসা মাটির ভাঁড়ে, নানা আকৃতির পাত্রে লাগানো গাছগুলো থেকে কয়েকটা বেছে নিল। সমুদ্রকে বলল, ‘আপাতত এতেই হবে কী বল?’
সমুদ্র হাসল। কর্ত্রীর ইচ্ছায় কর্ম। মুখে বলল, ‘আরও কিছু পছন্দ করলে করতে পার।’
পিয়াসার চোখ দুটো আনন্দে উজ্জ্বল হয়ে উঠল। সমুদ্রের সবচেয়ে বড় গুণ তার কোনও কিছুতেই সে বাধা দেয় না। 
পিয়াসা মাঝে মাঝে উত্তেজিত হয়ে বলে, আমার সব অত্যাচার তুমি কেন নীরবে মেনে নাও? প্রতিবাদ কর না কেন?
সমুদ্র দার্শনিক সুলভ ভঙ্গিতে বলে, ভালোবাসলে সেটা অত্যাচার মনে হয় না। সেটা তখন নিজেরই চাওয়া হয়ে যায়।
পিয়াসার ইচ্ছে করে খুব রাগ করতে, চেঁচিয়ে বকতে, কিন্তু সমুদ্রের কথা শুনে হেসে ফেলে। কাছে গিয়ে ফিস ফিস করে বলে, খ্যাপা একটা।
....
গাছ কিনে আবারও যখন বাসে উঠল, তখন বৃষ্টি থেমে গিয়ে রোদ উঠে গিয়েছে। বাসে বসার জায়গায় বসে পিয়াসা গুনগুন করল, ‘মেঘের কোলে রোদ হেসেছে বাদল গেছে টুটি...’ আর ঠিক তখনই হকারটা উঠে লেডিস সিট আর জেনারেল সিটের মাঝখানে দাঁড়িয়ে পেন নিয়ে বলতে শুরু করল।
পিয়াসার চোখ এখন হকারটির দিকে। একদম সাধারণ একটা মানুষ। হাজার লোকের ভিড়ে দেখলে আলাদা করে চেনাও যাবে না। পরনে অতি সাধারণ একটা শার্ট আর প্যান্ট। কাঁধ থেকে ঝোলাটা নামিয়ে হাতে পেন নিয়ে সে তার কথা শুরু করেছিল। পিয়াসা তার প্রোডাক্ট বিক্রির অসাধারণ ক্ষমতা দেখছিল। এমনই দেখত যখন ট্রেনে বা বাসে বহু বছর আগে সে সফর করত। ঝালমুড়ি, শিঙাড়া, ছোলামাখা, চিরুনি, গামছা, সেপ্টিপিন, হজমের গুলি, ফল, খেলনা, বই— কী নিখুঁত দক্ষতায় একেক জন বিক্রি করত। তার মনে হতো কোনও ইনস্টিটিউট বা স্কুলে এমনভাবে ট্রেনিং দেওয়া হয় না। অনেক টাকা দিয়ে এমবিএ ডিগ্রি নিয়েও নিজের প্রোডাক্টকে এভাবে বেচার ক্ষমতা সকলের থাকে না।
বাবা বলত, জীবনের পাঠশালায় এরা প্রতিদিন লড়তে লড়তে এতটাই শিক্ষা পেয়েছে যে, তাতেই তারা উচ্চ শিক্ষিত হয়ে উঠেছে। আমাদের জীবনের থেকে বড় শিক্ষক আর স্কুল কোথাও নেই রে।
হকারটি হঠাৎ তার সামনে এসে বলল, ‘দিদিভাই, আপনি বলুন তো কত হতে পারে এতগুলো পেনের দাম?’
পিয়াসা মাথা নেড়ে বলল, ‘কোনও ধারণা নেই।’
উল্টো দিকের সিটে বসে থাকা সমুদ্র বলল, ‘আছে আছে, হাতিবাগানে ঘুরে যখন তিনশো টাকার জামা পঁচাত্তর টাকায় কিনতে দর করতে সেই দিনগুলো মনে কর।’
পিয়াসা লাজুক মুখে বলল, ‘তুমি তিরিশ বছর আগের কথা বলছ। সে দিন গেছে চলে।’
হকার ছেলেটি হেসে বলল, ‘এখানে কোনও দরাদরি নেই।’ তারপর একটু সরে গিয়ে বলল, ‘যাত্রীরা, বন্ধুরা আজ আমাদের কোম্পানি এই তিনটে দামি পেন, সঙ্গে দুটো রিফিল নিয়ে পুরো পাঁচটার সেট দিচ্ছে মাত্র দশ টাকায়। একশো নয়, পঞ্চাশ নয়, পঁচিশও নয়। মাত্র দশ টাকায়। মানে প্রায় বিনামূল্যে। বলুন কার কার লাগবে?’
অনেকগুলো হাত তৎক্ষণাৎ এগিয়ে গেল হকারের দিকে।
পিয়াসার সেদিকে তাকিয়ে মনে পড়ল ট্রেন যাত্রার দিনগুলো। যা যা জিনিস উঠত তার যাত্রাপথে দরকার হোক, না হোক সব সে কিনত। সঙ্গীরা রাগ করলে বলত, কোনটা কখন কার কাজে লাগবে কে জানে? তাছাড়া আমরা না কিনলে ওদেরই বা চলবে কী করে? 
আহা রে! দাতা কর্ণ! তা এতই যখন দরদ তখন নিজের দামি দামি জিনিসগুলো এদের দিয়ে দিতে পারিস তো! নিত্য যাত্রী রিমার বক্রোক্তি শুনে সে বলেছিল, ভুলে যাস না, এদের আত্মসম্মান আছে। দান গ্রহণ করতে হলে এত ঝুঁকি নিয়ে এরা এভাবে জিনিস বিক্রি করত না। আর কিছু না পারিস এই প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ জানাতে তো পারিস।
রিমা পরদিন থেকে কমপারমেন্ট বদলে নিয়েছিল।
সেই কথাগুলো মনে করে পিয়াসা সমুদ্রকে ইশারায় পেন নিতে বলল। তারপর পাশের যাত্রীর দিকে তাকাল। একটা ছোট্ট ফোল্ডিং পাখা নাড়তে নাড়তে মেয়েটি তার সঙ্গীকে বলছে, ‘এই শুনছ দাদু ক্রমাগত ফোন করছে। কী বলি বল তো ?’
ড্রাইভারের পাশের সিটে বসা তার সঙ্গী বিরক্তি নিয়ে বলল, ‘বল রাস্তায় জল জমে জ্যামে বাস আটকে। এত যখন প্রেম নাতনির জন্য গাড়ি দিয়ে পাঠালেই তো পারতেন।’
মেয়েটি সে প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে ফোন ধরে বলল, ‘হ্যাঁ দাদু, আমি এখন সেন্ট্রাল অ্যাভেনিউতে। আর দশ মিনিটের মধ্যেই এসে যাব। তুমি খেয়ে নাও। দেরি কর না।’
বাসটা শিয়ালদা ফ্লাইওভার থেকে নেমে দাঁড়াল। রেলিংয়ে বিশাল পোস্টার এক হিরোর। গেঞ্জির বিজ্ঞাপন। সেদিকে তাকিয়ে পিয়াসার মনে পড়ল জনপ্রিয় একটা গান— ফুল কলি রে ফুল কলি বল তো এটা কোন গলি। ও এই গলিতে যদি কেউ একবার আসে সেই তো ফাঁসে... এ যেন এক অন্ধ গলি গোলক ধাঁধা চোখ যে বাঁধা...। কত গলি উপগলি পথ যে পেরতে হয় সমস্ত জীবন ধরে ভাবতে ভাবতে বাসের ভিতরে তাকিয়ে দেখল সেই হকার নেমে গিয়েছে কখন, সে টেরও পায়নি। তার বদলে এখন এক অন্ধ ভিক্ষে করছে। তার বসার সিটের সামনেটায় অনেক মানুষ দাঁড়িয়ে। সেখান থেকে মাথা গলিয়ে তার দৃষ্টি সমুদ্রকে খুঁজল। দেখতে না পেয়ে সে চিৎকার করে ডেকে উঠল, ‘সমুদ্র, তুমি কোথায়? এখানে এসো, আমি নেমে যাব।’
‘এখনও কলেজ স্ট্রিট আসেনি,’ সমুদ্রর উত্তর ভেসে এল। 
—বাকি পথটুকু হেঁটেই যাই।  
সমুদ্র গাছের চারায় ভরা ভারী ব্যাগটা নিয়ে সামনে এসে বলল, ‘অনেকটা হাঁটতে হবে।’ এই বলে পিয়াসার হাত ধরে সিঁড়ির দিকে এগল।
পিয়াসা বাস থেকে রাস্তায় নেমে সমুদ্রের প্রায় বুকের কাছে মুখ নিয়ে এসে বলল, ‘আদিম মানুষ একদিন এভাবেই পাড়ি দিয়েছিল হাঁটতে হাঁটতে, সঙ্গে ছিল বীজ, চারা, নতুন বসতির আশপাশে খেত বানানোর জন্য। আমরাও একটা বাগান বানাচ্ছি। তার নাম দিয়েছি ভালোবাসার বাগান। এটুকু অতিক্রম করতেই হবে।’
অঙ্কন : সুব্রত মাজী

4th     December,   2022
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ