বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
গল্পের পাতা
 

একলা জীবন
তপনকুমার দাস

এই অসময়ে আবার কে ফোন করল! রুটিন মাফিক সকাল থেকে যে তিনটে ফোন করার কথা ছিল, সব কটাই করা হয়ে গেছে। যে দুটো ফোন আসার কথা ছিল, তাও এসে গেছে।
সকাল সাড়ে সাতটা থেকে সাড়ে ন’টা পর্যন্ত তিনটে ফোন করে বিজন। নিজের আঙুলে নিজে ছুঁচ ফুটিয়ে ব্লাড টেস্ট করে রেজাল্ট জানায় বন্ধু ডাক্তার সুজন সেনগুপ্তকে। আনাজপাতি কিছু আনার থাকলে হরির মাকে ফোনে বলে দেয়। আর তৃতীয় ফোনটা করে হোস্টেলে থাকা নাতনি সৃজাকে।
সকাল সকাল দুটো ফোন আসে বিজনের মোবাইলে। প্রথমটায় নীপা ব্লাড টেস্টের খবর নেয়। সকালে ওষুধগুলো খেয়েছে কি না জানতে চায়। হরির মাকে কী কী রান্নার নির্দেশ দিয়েছে শুনিয়ে দেয় আর সবশেষে জানাতে ভোলে না বিডিও মেয়ে গতকাল বাগেরখাল গ্রামে হিন্দু-মুসলমান ঝগড়া মিটিয়ে কতটা প্রশংসা কুড়িয়েছে সেই খবর। বিজন বুঝতে পারে মেয়ের জন্য মায়ের গর্ব। গর্ব যে তার হয় না তা নয়, তবে প্রকাশ করে না। যদি পাছে অহংকার হয় তাই। দ্বিতীয়টা ছোট বোনের।
এই বয়সে সারা বছর বিজনকে প্রায় একলাই কাটাতে হয়। সকালে হরির মা যতক্ষণ রান্না করে ততক্ষণ একজন মানুষ পাওয়া যায় আর বিকেলে মানে সন্ধে নাগাদ কোনও কোনও দিন বিনয়বাবু আসেন। গল্পগুজব হয়। পুরানো স্মৃতি রোমন্থন করে খুশি হয় দু’জনেই—বিজন আর বিনয়বাবু। নীপা কিংবা মেয়ে শ্রেষ্ঠা কতবার ফোনে অনুরোধ করেছে এমনকী আদেশও দিয়েছে বিজনকে—যাও, একটু কালীবাড়ির নাটমন্দিরে গিয়ে বস। সময় কেটে যাবে, মনটাও ভালো থাকবে। কিন্তু না। মন্দির, মসজিদ কোনওদিন টানেনি বিজনকে, আজও টানে না।
শ্রেষ্ঠার জন্মের পরেই বিজন ভেবেছিল ঘরে অতিথি এল। নীপাকেও ঠারেঠোরে বলেছে সেকথা—মেয়েটা আমাদের কয়েক বছরের অতিথি। তারপর তুলে দিতে হবে জামাইয়ের হাতে, যাঁদের সংসারের আমানত তাঁদের কাছে। শ্রেষ্ঠার বদলে যদি শ্রেষ্ঠ হতো—একটা ছেলে...। বিজনের ঠোঁটের কথা বাতাসে পড়তে না পড়তেই দপ করে জ্বলে উঠত নীপা—কী হতো ছেলে হলে? বাবা-মাকে আগলে বসে থাকত? যেমন তোমরা তিনভাই বিধবা মাকে ভাগ করে নিয়েছ তেমনি বাঁটোয়ারা করে ছাড়ত। টুসির ছেলে তো গাড়ি চালিয়ে মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে এল। ছেলে আর নাতির শোকে প্রাণ হারাল বেচারা। একটা মেয়ে হাজারটা ছেলের কাজ করতে পারে।
নীপার যুক্তির সামনে দাঁড়াতে পারত না বিজন। এদিক-ওদিক কোথাও না হলে বাথরুমে গিয়ে আশ্রয় নিত। একলা ঘরে কিংবা ঘুমন্ত মেয়ের মুখের দিকে একপলকে তাকিয়ে থাকত। ভাবত ভবিষ্যতের, বৃদ্ধ বয়সের সম্বল কেমন হবে। একটা প্রাণোচ্ছল জামাই আসবে। পূরণ করবে ছেলের অভাব। ঋতম ঠিক সেইরকমই জামাই। বাবা-মা মরা একলা চলা একটা ছেলে। শ্বশুর শাশুড়িই যার বাবা মা সেই রকম ছেলে। তবে বিজন আর নীপা কাছে পেয়েও হারাল।
আবার সেই গর্ব। জামাইকে নিয়ে গর্ব। বিয়ের ছ’মাস কাটতে না কাটতেই আমেরিকা পাড়ি দিতে হয়েছে ঋতমকে। তিন-চার বছর পর একবার বাড়ি আসার সুযোগ পায়। শ্রেষ্ঠা যখন ঠিক করেছিল ঋতমের কাছে চলে যাবে, ঠিক তখনই ডব্লুবিসিএস-এ পাশ করল শ্রেষ্ঠা। এত বড় চাকরি ছেড়ে আর যাওয়া হয়নি। মেয়ের চাকরি পাওয়ার পর থেকে নীপাও যাযাবর হয়ে গেছে। ব্লকের পর ব্লক ঘুরেছে মেয়ের সঙ্গে।
তখন চাকরি ছিল বিজনের। সারাদিনের কাজে ডুবে থাকা ছিল। কেবলমাত্র রাতটুকুর জন্য মনেই হতো না সে একলা, ভীষণ একলা। এখন যেমন মনে হয়, প্রতি পদে, প্রতি পলকে, প্রতি নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসে।
বাবা বিদেশে, মায়ের বদলির চাকরি, সুতরাং হোটেল ছাড়া সৃজার অন্য উপায় ছিল না। বিজন অবশ্য বলেছিল, থাক না আমার কাছে। পড়ুক না এখানকার স্কুলে। নাতনিকে স্কুলে দিয়ে আসব নিয়ে আসব। সন্ধেবেলায় পড়াতে বসাব। সদ্য রিটায়ার্ড করা মানুষটা আবার নতুন একটা চাকরি পাবে। প্রস্তাব শুনে মা আর মেয়ে একে অপরের গায়ে ঢলে পড়েছিল হাসির ঝর্ণা ঢেলে ঢেলে।
বছরে অন্তত দশ মাস মেয়ের কাছে থাকে নীপা। বিজনও যায়, বড়জোর বছরে পনেরো দিন। ভেঙে ভেঙে। দু’দিন বড়জোর তিনদিনের বেশি মেয়ের কোয়ার্টারে থাকে না। ফিরে আসে এখানে। নিজের ডেরায় নির্জনে। হরির মা রান্না করে যায়। লক্ষ্মী বাসন মাজে, ঘর ঝাঁট দেয়। তাছাড়াও নিজের জন্য কিছু টুকিটাকি কাজ থাকে। সেগুলো সামলে বই পড়ে। বসে থাকে পড়ন্ত বেলার ব্যালকনিতে। কখনও আবার ভাড়াটের ছোট্ট ছেলেটাকে ডেকে নেয়। গল্প করে। লুকোচুরি কিংবা কানামাছি খেলে। কুমির ভাঙা খেলতে ভালোবাসে রূপম, ঠিক সৃজার মতো। বিজন কুমির হয়ে ভাঙায় তাড়া করে রূপমকে।
মোবাইলটা সেই তখন থেকে বাজছে। বাজুক, যতক্ষণ বাজবে ততক্ষণ তো রিংটোনটা শুনতে পারবে। তিলক কামোদ রাগে ঠুমরির একটা ধুন। সরোদে।
উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের প্রতি বিজনের টান সেই কলেজবেলা থেকে। কত রাত জেগে সঙ্গীত সম্মেলন শুনেছে বিনয়কাকুর সঙ্গে। তারপর একদিন সকালে চমকটা দিলেন বিনয়কাকুই। ঘুম ভাঙিয়ে হাতে তুলে দিলেন আস্ত একটা তরফদার সেতার। আদেশ করলেন, এস, বসে পড়। আজ গুরুপূর্ণিমা। ভালো দিন। শুরু করে দাও সেতার শিক্ষা।
আমি কি পারব? সেতারের তারগুলোর উপর আনন্দের এলোমেলো আঙুল দুলিয়ে লজ্জা পেয়েছিল বিজন। পারবে, পারবে, ঠিক পারবে। উৎসাহ দিয়েছিলেন বিনয়কাকু। তারযন্ত্রের প্রতি সেই শুরু হয়েছিল মোহ। শ্রেষ্ঠার তিন বছর বয়স পর্যন্ত দু’বেলা রেওয়াজ করত। কখনও কখনও নীপা পাশে এসে বসত। তখন কী যে ভালো লাগত বিজন আজও বোঝাতে পারবে না।
কেন বন্ধ হল সেতার বাজানো? নিজের মনে নিজের কাছে অনেক অনেক দিন প্রশ্ন করেছে বিজন। আজও যখন দেওয়ালে ঝোলানো যন্ত্রটার উপর চোখ পড়ে তখন আবার নতুন করে প্রশ্নটা ভেসে ওঠে মনের অন্দরমহলে। জবাব খুঁজে পায় না বিজন। যেটা খুঁজে পাওয়া যায় সেটা হল অজুহাত। রেওয়াজ না করতে পারার অজুহাত। বিনয়কাকুর মারা যাওয়ার অজুহাত।
নীপা কতবার বলেছে—এখন অন্তত শুরু কর। রিটায়ার্ড করেছ, অফুরন্ত সময় হাতে। মেয়েও বলেছে—শুরু করে দাও বাবা। জোয়ারি করিয়ে আন সেতারটাকে। মা যখন আমার কাছে থাকবে তখন মায়ের শূন্যস্থান পূরণ করে দেবে তোমার রেওয়াজ। তোমার অধ্যবসায় একদিন তোমাকে সেতার বাদকের সম্মান এনে দেবে।
মা ও মেয়ের কথা শুনে কোনও উত্তর দেয়নি বিজন। সঙ্গীতের সরগম, সাঁতার, সাইকেল চালানো কেউ কখনও ভোলে না। বিজনও ভোলেনি তবু নীপা কিংবা শ্রেষ্ঠার কথা রাখতে পারেনি।
এখন মাঝেমধ্যে অঙ্কের খাতা নিয়ে বসে। মনের ভিতরকার অঙ্ক মনের খাতায় কষে ফেলে। উত্তর দেখার দরকার হয় না কারণ উত্তর নেই। শ্রেষ্ঠা চাকরি করছে বারো বছর। ছ’বছর রিটায়ার্ড করেছে বিজন। ছ’বছর আগে থেকেই একলা। মনে একলা, শরীরে একলা। এই বয়সে একলা একটা মানুষ কীভাবে দিন কাটায়, কী খায়, ওষুধ ঠিকমতো পেটে পড়ে কি না—কেউ খবর রাখে না। কিন্তু কেন? কেন?
প্রশ্নটাই বড়। আসলে সংসার বড় স্বাধীনচেতা। মায়ার বন্ধনে আটকে থাকা কতকগুলো মুখ। কর্তব্যের ঢক্কানিনাদে ডুবে থাকা। ভিজে যাওয়া বেড়াল যেমন গা ঝাড়া দিয়ে উঠে বসে, তেমনই সব চিন্তা, সব রোমন্থন মুক্ত হয়ে থাকতে চায় বিজন।
এবার ফোনটা ধরতে হবে।
হয়তো কোনও কোম্পানি তাদের অফার জানানোর জন্য ফোন করেছে, নয়তো রং নম্বর। সারাদিনের তিন প্লাস দুই নিয়মিত ফোন শেষ হয়ে গেছে। পরেরগুলো উটকো। পরিচিত জনেরা ভুল করেও ফোন করে না। বন্ধুদের বিজন বন্ধু মনে করে না, মনে করে পরিচিত জন। বন্ধুর যে সংজ্ঞা, সেই সংজ্ঞায় পরিবারের লোকজনকেই মেলানো যায় না, তাই বাইরের লোক বন্ধু হবে কেমন করে।
খবরের কাগজটা পাশের চেয়ারে নামিয়ে রাখে বিজন। ব্যালকনিতে রাখা চেয়ার দুটো বিজনের চেয়ে বয়সে অনেক বড়। সেগুন কাঠের পালিশে কবে যেন কালো পলেস্তারা পড়ে কালচে রঙে চেয়ার দুটোকে আরও সুন্দরী করে তুলেছে। যখন চাকরি ছিল তখন অফিস থেকে ফিরে দক্ষিণ খোলা বারান্দায় গা এলিয়ে চা খেত। নীপাও মাঝে মাঝে এসে বসত পাশের চেয়ারটায় কারণ তখনও সিরিয়ালের এমন রমরমা গ্রাস করতে পারেনি বাড়ির মনোরমাদের।
ফোনটা বিছানার উপর। রিংটোন ঝিমিয়ে আসছে। সুতরাং তাড়াতাড়ি ফোনটা হাতে তুলে নেয়। না, কোনও নাম নয়। শুধু কয়েকটা সংখ্যা ভেসে আছে ছোট্ট পর্দাটার উপর। বিজনের ফোনটা সেই আদ্যিকালের—বার ফোন। নীপার মতো বা শ্রেষ্ঠার মতো স্মার্ট নয়। ওদের ফোনে ট্রু কলার লাগানো আছে। নম্বরের সঙ্গে সঙ্গে কে ফোন করেছে তার নামও জানা যায়।
—হ্যালো।
—কে বিজন?
—বলছি। আপনি কে বলছেন।
—আমি রে, আমি। সুচন্দন। কোন্নগরের—
—ও—সুচন্দন? 
কোন সুচন্দন? স্মৃতির পাতাগুলি খুব দ্রুত ওল্টাতে থাকে। এক সুচন্দন তার মামাতো ভাই কিন্তু সে তো থাকে পুনেতে, ছেলের কাছে। কলেজবেলায় এক সুচন্দন ছিল, বাড়ি তার বেহালায়। কমন রুমে টেবিল বাজিয়ে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইত। আর এক সুচন্দন...।
‘কী রে, চিনতে পারলি না তো? নাকি চিনতে চাইছিস না?’ ফোনের ওপ্রান্তের দু’দুটো মোক্ষম প্রশ্ন ঝাঁপিয়ে পড়ে বিজনের কানে।
এবার সুচন্দনকে চিনতে পারে বিজন। কিন্তু তার বাড়ি তো কোন্নগর নয়; বরাহনগর। হয়তো বরাহনগর থেকে পালিয়ে কোন্নগর গিয়ে বেঁচে আছে। ত্রিশ-পঁয়ত্রিশ বছর পরে আজ হঠাৎ ফোন করে মশকরা করা কেন? তাছাড়া মোবাইল নম্বরই বা কোথায় পেল?
না না, চিনতে পারব না কেন? তোদের মতো বন্ধুদের কি এত সহজে ভোলা যায়—মোলায়েম সুরে কড়া কথা শুনিয়ে দেয় বিজন। ভাগ্যিস নীপা বাড়ি নেই, থাকলে এতক্ষণ ফোন কেড়ে নিত।
বড় অশান্তিতে আছি। একা এবং একলা—সুচন্দনের গলায় অসহায় আর্তি, ভাবলাম তোর সঙ্গে দেখা করে একটু হাল্কা হব।
—কেন অনন্যা? তোর ছেলে? ছেলের বউ?
—পাঁচ বছর হল অনন্যা চলে গেছে ইহলোক ছেড়ে। ছেলে বউকে নিয়ে কানাডায় থাকে। মাসে এক আধবার অবশ্য ফোনটোন করে। নাতির তো মুখই দেখিনি।
বিজনের মনে হয় এখনই হয়তো কান্নায় ভেঙে পড়বে সুচন্দন। কিন্তু এর উপর কোনও দয়াদাক্ষিণ্য করার ইচ্ছা নেই। বারবার ঠকিয়েছে বিজনকে। অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া করার চেষ্টা করেছে এবং শেষ পর্যন্ত অনন্যার কপালে সিঁদুর লেপে দিয়ে বিদায় নিয়েছিল বিজনের জীবন থেকে।
অনন্যাকে ভালোবাসত বিজন। অনন্যাও বিজনকে। বিয়েও ঠিক হয়ে গেছিল দু’জনের। পঁচিশে বৈশাখ, রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনে। কার্ড ছাপানো হয়ে গেছিল। দূরের আত্মীয়দের কাছে বিতরণ করাও শুরু হয়েছিল।
হ্যালো, হ্যালো, শুনতে পাচ্ছিস বিজন? সুচন্দনের আকুতি ঝরে পড়ে ফোনের স্পিকারে এবং বিজনের মনে হয় সে আকুতি ওর মনের, ওর প্রাণের! খাদহীন। আবার পরক্ষণেই মনে হয় দুষ্টের ছলের অভাব হয় না। তবুও বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করে। অনন্যার মৃত্যু নিয়ে নিশ্চয়ই নাটক করবে না।
নীপার জায়গায় অনন্যার থাকার কথা ছিল। নীপার সঙ্গে দাম্পত্য জীবন খারাপ কাটেনি, তবুও অনন্যার কথা মনে পড়লে বুকের ভিতর মোচড় দিয়ে ওঠে। অদ্ভুত একটা ব্যথা অনুভব করে। সেই ব্যথার কারণ সুচন্দন। ফাগুন মাসে দোলের দিন আবিরের বদলে সিঁদুর লেপে দিয়েছিল অনন্যার সিঁথিতে। ঘোষণা করেছিল বিজন নয়, আজ থেকে তোমার স্বামী আমি। সেই দুপুরেই জোর করে গাড়িতে তুলে অনন্যাকে নিয়ে গেছিল নিজের বাড়িতে। অনন্যার বাবা অমিতাভবাবু থানা-পুলিশ আইনকানুন কিছুই করেননি সম্মান রক্ষার স্বার্থে। শুধু বিজনের হাত ধরে বলেছিল, পারলে আমাকে ক্ষমা কর। পরের দিন সকালে চিলেকোঠার ঘরে পাওয়া গেছিল অমিতাভবাবুর লাশ।
বিজন শোন, আমি একটু তোর সঙ্গে দেখা করতে চাই। প্রায়শ্চিত্ত করতে চাই। বিকেলে বাড়িতে থাকবি? বিজন শোন, জবাব দে। আমি আর সেই সুচন্দন নেই। বিশ্বাস কর সব হারিয়ে এখন আমি ভালো হয়ে গেছি...কান্নায় ভেঙে পড়া সুচন্দনকে বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে বিজনের। কিন্তু পারে না। ফোনটাকে বিছানার উপর রেখে চলে যায় পাশের ঘরে। নিজের একলা জীবনে।
অঙ্কন: সুব্রত মাজী

11th     September,   2022
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ