বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
গল্পের পাতা
 

রেনকোট
শবরী চক্রবর্তী


 

সেই সকাল থেকে নাগাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে। এখন রাত আটটা, বৃষ্টির তোড়টা কমেছে, তবে ঝিরঝির করে পড়ে চলেছে। রাস্তা জলে ডুবে আছে। বাস-ট্রাম বন্ধ। লোক চলাচলও নেই। চারপাশে শুধু বৃষ্টির একটানা শব্দ আর সেই শব্দ ছাপিয়ে শোনা যাচ্ছে প্রেমের কথা। নিজের টালির চালের এক কামরা ছোট্ট ঘরে প্রেম, তার বউ লালির সঙ্গে ফোনে কথা বলছে। এমন সময়ে তার দরজায় কেউ ধাক্কা দিল।
রোজ এই সময়ে প্রেম বউয়ের সঙ্গে কথা বলে। এটা নতুন নয়। তার সাইকেল সারানোর দোকান ন’টার মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায়। আজ বৃষ্টির জন্য একটু আগে তার পাট চুকেছে। দোকানের লাগোয়া ওই টালির চালের ঘরেই সে রান্না করে, খায়, শোয় মানে তার জীবনযাপন ওই ঘরের গণ্ডিতেই বাঁধা। মাঝেমাঝে সাইকেল মেরামতির জিনিস কিনতে বাসরাস্তা পেরিয়ে, রেললাইন পেরিয়ে বাজারে যায়। এছাড়া সারাদিন মুখ বুজে তার সাইকেল সারানো চলে। এই জায়গাটার শহুরে মোড়ক তেমন নেই, তাই এলাকার মানুষের সাইকেলের ব্যবহার ভালোই। ফলে প্রেমের রোজগার খারাপ নয়। নিজেরটা চলে, দেশের বাড়িতেও পাঠায়। কিন্তু যত যাই হোক, রাতে রান্না-খাওয়ার আগে বউয়ের সঙ্গে কথা সে বলবেই। তার ঘরের আশপাশেই বীণামাসির ভাত-রুটির হোটেল, রঘুর লন্ড্রি, কাশীর তামাক-খইনির দোকান, সূর্যর পানের দোকান, আরও খুচরো এদিক সেদিক জমায়েতের জায়গা আছে। দিনে তো বটেই, রাতেও এখানে ভালোই ভিড় হয়। খুব জোরে কথা বলে না সে, তবু তার বন্ধ ঘরের দরজায় কান লাগিয়ে লোক প্রেমের প্রেমালাপ শোনে। 
‘ওই যে, প্রেম, বউয়ের সঙ্গে কথা বলছে—’
বাইরে থেকে শোনা যায়, ‘তোহরা ওয়াস্তে হাম ইবার সোনা রংকে শাড়ি লে যায়েঙ্গে। শাড়িকে সাথ তু ভি চমকেগি মেরি রানি, অর খুবসুরত লাগেগি।’
সকালে যখন সে কাজ করে, লোক এই নিয়ে একটুআধটু মজাও করে।
‘তোর বউ খুব সুন্দরী না রে?’
‘প্রেম এখনও বউকে দেখালি না—’ 
‘তার সঙ্গে আমাদেরও তো কথা বলতে ইচ্ছে করে!’
প্রেম হাসে। সরল, অনাবিল একটা হাসি। শুধু হাসিই নয়, তার কালো গায়ের রঙে, কড়া গন্ধের আমলা তেল দিয়ে পরিপাটি করে আঁচড়ানো মাথার কোঁকড়ানো চুলে, ছিপছিপে সাতাশ-আটাশ বছরের শরীরে, সারাদিন কালিঝুলি মাখার পরে রাতে দোকান বন্ধ করে চান করে সুগন্ধী রান্না করায়, গুনগুন গানে, রাতে সুর করে হনুমান চালিশা পড়ায় সেই সারল্যে আর একটা স্নিগ্ধতা উপচে পড়ে। এমনিতে বউয়ের সম্বন্ধে সে কিছু বলতে চায় না। তবে তেমন তেমন মুহূর্তে তার আগল খুলে যায়, মনে হয়, লালির কথা বলতে পেরে যেন সে বাঁচল! 
যেমন সেদিন, সকালবেলাতেই একটি ভালো জামা পরে কাজে বসেছে প্রেম। আবার সেন্টও মেখেছে, গন্ধে মেতে আছে চারপাশ। 
‘আজ প্রেম কুমার একেবারে রাজকুমার সেজে বসেছে, কী ব্যাপার?’
লাজুক হেসে প্রেম বলে, ‘আজ লালিকা জনমদিন হ্যায়।’ 
সবার হাসি, হুল্লোড়ের মধ্যে সে আবার বলে, ‘ই কামিজ ওহি পাঠাল। এই সেন্টটাও।’
‘তুই কী দিলি?’
‘গুলাবি রঙের সালওয়ার-কামিজ আর ওহি রঙের চুড়ি।’
একটু টান থাকলেও বাংলা ভালোই বলে প্রেম। চেনাজানাদের সঙ্গে বাংলাতেই কথা বলে। ষোলো বছর বয়সে কাকার সঙ্গে ভিন রাজ্য থেকে কলকাতায় এসেছিল। প্রথমে কাকার সঙ্গে, তারপর একা একাই কতরকমের কাজ করেছে। দু’ বছর হল এইখানে থিতু হয়েছে। এই জীবনপরিক্রমায় বাঙালিদের সঙ্গই বেশি পেয়েছে, তাই বাংলাভাষা বা বাঙালিদের সঙ্গে মিশে যেতে দেরি হয়নি। 
‘বউকে এখানেই নিয়ে আয়, ঘর তো আছে।’
‘ওখানে হামার বুড়হি মা আছে, খেতিভি হোয়। লালি চলে এলে কে দেখবে! ও খুব হোঁশিয়ার। সব সামহালছে, উয়োহ্ এলে নুকসান হবে।’ বেশ গর্বের সঙ্গে প্রেম বলে।
এইসব চেনাজানারা আড়ি পেতে তার কথা শুনলেও তা মজার মধ্যেই সীমিত, তাতে কদর্যতা, কলুষতা জায়গা পায়নি। কিন্তু আজ প্রেমের এই নিভৃত মুহূর্তে কে ধাক্কা দিল দরজায়? এমনটা তো আগে হয়নি, তার ওপর এই দুর্যোগের রাতে?
‘কওন?’ প্রেমের প্রশ্নে কেউ সাড়া দেয় না। বরং আবার দরজায় ধাক্কা দেয়। প্রেম উঠে দরজা খোলে। তাকে ঠেলে সরিয়ে একজন ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। আচমকা এই ঘটনায় থতমত খেয়ে যায় প্রেম। সামান্য হলেও ভয় পায়, চোর ডাকাত নয় তো কিন্তু এতদিন এখানে আছে, এসবের মুখোমুখি কখনও হয়নি। ততক্ষণে ঘরে ঢুকে পড়া মানুষটি তার রেনকোট খুলে ফেলেছে। প্রেমের হৃৎস্পন্দন থেমে যায়। সামনে ভীষণ সুন্দর দেখতে একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে। তাকে কিছু ভাবতে বা বলতে না-দিয়ে তড়বড় করে সুন্দরী মেয়েটা বলে, ‘আমাকে স্টেশনে পৌঁছে দেবে একটু? আমার খুব দরকার। আর কারওর কাছে আমি যেতে সাহস পাইনি, শুধু তোমার কথা মনে হয়েছে, প্লিজ, প্রেম, আমার এই উপকারটা করে দাও!’
প্রেম নিঃশ্বাস বন্ধ করে মেয়েটার দিকে তাকিয়েছিল। ওর কথা তার মাথায় ঠিক ঢুকছিলও না। 
মেয়েটা আবার বলে, ‘আমাকে তো তুমি চেন, কলেজে যাওয়া-আসার সময় বেশ কয়েকবার তোমার দোকানে এসেছি। আজ আমার জীবনের একটা বিশেষ দিন। কিন্তু কাউকে বিশ্বাস করতে পারছি না, তুমি আমাকে ফিরিয়ে দিও না।’
বৃষ্টিটা কী আবার আসছে? বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। তার ঘরের টিমটিমে আলোয় প্রেম দেখল, ঝকঝকে মেয়েটা আকুল হয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে। 
অস্ফুট গলায় প্রেম জিজ্ঞাসা করে, ‘স্টিশন? এখন?’ 
মেয়েটা ওর কাছে একটু এগিয়ে আসে, ‘হ্যাঁ, এখন।’ 
প্রেমের নির্বাক মুখের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে মেয়েটা বলে, ‘আমি বাড়ি থেকে পালিয়ে যাচ্ছি, আমরা বিয়ে করব প্রেম। অনিন্দ্য স্টেশনে অপেক্ষা করবে। আজ রাতেই আমরা দিল্লি যাব। ও ওখানে চাকরি করে। বাড়ি থেকে আমার অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক করেছে, অনিন্দ্যকে ওরা মেনে নেয়নি। প্রেম, তুমি আমাকে সাহায্য করবে না একটু?’ 
তবু প্রেম চুপ করে আছে দেখে মেয়েটা বলে, ‘এই বৃষ্টিতে কেউ কিচ্ছু জানবে না। আমি মুখে-মাথায় ওড়না ঢাকা দিয়ে যাব, কেউ দেখলে ভাববে আমি তোমার বউ যার সঙ্গে তুমি রাতে কথা বলো। বৃষ্টির দিনে ঘুরতে বেরিয়েছ। প্লিজ, তুমি আমাকে স্টেশনে নিয়ে চলো। বটতলা দিয়ে গেলে তাড়াতাড়ি হবে। দেরি কোরো না প্রেম।’ মেয়েটা তার হাত ধরে বলে ওঠে।
সাইকেলের রডে মেয়েটাকে বসিয়ে বটতলার পুকুরের পাশের রাস্তা দিয়ে স্টেশনের দিকে এগয় প্রেম। এই রাস্তার টিউবলাইটগুলো বৃষ্টিতে ম্রিয়মাণ, আলোর পাশে ছায়া বেশ মাখামাখি করে আছে। বাসরাস্তার নিয়নগুলো গুঁড়োগুঁড়ো বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে জ্বলছে। চারপাশের বাড়ি, গাছপালা, দু-চারজন পথচারী, সবার সর্বাঙ্গে জল। শুধু ওরাই তেমন করে ভিজছে না। ওদের জন্যই যেন বৃষ্টি থেমে যাচ্ছে। প্রেম দেখে, মেয়েটা সত্যিই মাথায় ওড়না ঢাকা দিয়েছে যদিও এই সময় রাস্তায় লোকজন নেই, অন্তত পালিয়ে যাবার পথে চিনতে পেরে বাধা দেবার মতো তো নয়ই।
স্টেশন এসে যায়। সাইকেল থেকে নেমে মেয়েটা প্রায় দৌড়ে স্টেশনের ভেতরে ঢোকে। প্রেম ওখানেই দাঁড়িয়ে থাকে। দেখতে পায়, মেয়েটার ফোন বেজে ওঠে—
‘এসে গেছি।’ ফোন চালু করে এটুকু বলেই দ্রুত এগতে গিয়ে থমকে দাঁড়িয়ে পিছন ফিরে সে প্রেমকে দেখে। আবারও দৌড়ে প্রেমের কাছে এসে তার হাত ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে উচ্ছ্বসিত হেসে বলে, ‘থ্যাঙ্কস, থ্যাঙ্কস, থ্যাঙ্কস প্রেম, তোমাকে কোনওদিন ভুলব না। তুমি জানো না, তুমি আমার কী উপকার করলে। যদি এখানে আসি, তোমার সঙ্গে দেখা হবে।’
অস্ফুট স্বরে প্রেম বলার চেষ্টা করে, ‘তুহমার উয়োহ্—’
মেয়েটার কপাল কুঁচকে যায়, তারপর ব্যাপারটা বুঝে হেসে বলে ওঠে, ‘ওঃ, রেনকোটটা? তোমার কাছে থাক, তাহলে আজকের দিনটা তোমার মনে থাকবে। আসছি প্রেম, ভালো থেক।’
মেয়েটা দ্রুত হাঁটতে থাকে সামনের দিকে। তারপর একবার পিছন ফিরে প্রেমকে দেখে, হাত নেড়ে প্ল্যাটফর্মের ভেতর অদৃশ্য হয়ে যায়।
প্রেম দাঁড়িয়ে থাকে। 
ওই চলে গেল তার লালি। সেই কবে বন্ধুদের সঙ্গে এসেছিল তার দোকানে, তখনই জেনেছিল ওর নাম লালিমা। তখনই তো প্রেমের ভালোবাসার জন্ম, সেই তো তার প্রেমের শুরু। দুধে আলতা গায়ের রং, কোমর অবধি চকচকে লম্বা চুল, বড় বড় চোখ, টিকালো নাক, ছড়ানো ঠোঁট, লাবণ্যময়, নরম চেহারার লালিমাই ওর লালি। রোজ রাতে কাজের শেষে ওকে সামনে বসিয়ে কত কথা বলে প্রেম। শাড়ি, গয়না, ভালোবাসা, সব দিয়েছে ওকে। প্রতি রাতে নতুন করে নিজেকে সাজিয়েছে লালির জন্য, লালিকে সাজিয়েছে কতরকমভাবে। যখন লালি দোকানে এসেছে, মুখ তুলে তাকাতে পারেনি ওর দিকে, যদি ধরা পড়ে যায়! লালি যদি আর না আসে! 
রনিদার এই সাইকেলটা খুব ভালো লেগেছিল ওর। পুরোটা কালো, মাডগার্ড, হ্যান্ডেল, আর রডের কাছটা সোনালি। সারাতে সারাতেই ভেবেছিল, একদিন এই সাইকেলে চেপে লালিকে নিয়ে অনেক দূরে চলে যাবে। সে এক আশ্চর্য মেঘ-পাহাড়ের দেশ। সেখানে পাহাড়ের গায়ে বরফের চাদর, পায়ের কাছে নদীর নীল জল। সেখানেই তো আছে প্রেম আর লালির স্বপ্নের ঘর। তার  চারপাশে সুখ-রঙা রঙ্গোলি। ওদের ভালোবাসার রঙে সে রং গভীর, সে রঙে ওরা রোজ রঙিন হয়। 
নদীর পাড়ের পাথরে লালির কোলে মাথা রেখে শোয় প্রেম, চাঁদ ছলকে যায় নদীর জলে, লালির চোখে। প্রেমের চুলের ভেতর লালির আঙুল... ‘তোহরি লাল, হরি চুড়ি হামরি দিল হ্যায়, হামরি জান...হামরি নজর তোহরি নজর হ্যায়...তোহরি হাসি হামরি জিন্দগি...’ লালির হাত বুকে ধরে রাখে প্রেম, ‘তু কাহে কুছ না বোলত হো...মাত বোল লালি...পর হামরা ছোটাসা ঘর যব পাপ্পু অর মুন্নি কি আওয়াজ সে গুঞ্জ উঠেগা, তব বোলনা, মুন্নি কে বাপু, মুন্নিকে লিয়ে পায়েল ওর পাপু কে লিয়ে গলে কা চেন লে আনা...রানি, হাম তুহার ওয়াস্তে ঝুমকে অর নথনি ভি লায়েঙ্গে, উসমে হামরি ধড়কন যো হ্যায়...’ 
লালির চোখের তারার আলোয় হারিয়ে যায় প্রেম, লালি তার চুলে মুখ গোঁজে...
কিন্তু আজকের এই বৃষ্টির রাতে প্রেমের রূপকথা সত্যি হয়ে গেল যে! গত দু বছরে তার দু’ হাতের চৌহদ্দিতে লুকিয়ে থাকা সব কল্পনা এক লহমায় রক্ত-মাংস-অস্থি-মজ্জা নিয়ে তাকে এতক্ষণ জড়িয়েছিল। আজ এই রাতে লালি তার কত কাছে ছিল! মাথা-মুখ ওড়নায় ঢেকে লালি তো প্রেমের বউই হয়েছিল যে এমন রাতে বৃষ্টিতে স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছে! সাইকেলের হ্যান্ডেলে হাত রাখার সময় লালির হাত প্রেমের হাত ছুঁয়েছে। লালির মাথা ওর ঠোঁটের খুব কাছে ছিল, লালির চুলের, লালির শরীরের সুবাসে এখনও ভরে আছে প্রেম। যাবার সময় লালি ওর হাত ধরেছিল... 
আজ আর এসব তার আড়ালের ভাবনা নয়। সব সত্যি। কেউ জানবে না, আজকের এই রাত ওর সারা জীবনের সঞ্চয়। কেউ জানবে না এ রাত ওর ভোলার রাত নয়। কেউ জানবে না এই নির্জন বৃষ্টির রাতেই প্রেম সারা জীবনের মতো ভালোবেসে নিল। 
একটা ট্রেন চলে গেল। এতেই কি ছিল লালি? 
কত দূরের সেই মেঘ-পাহাড়ের দেশে, দেবদারুর ছায়ায় ঢাকা সেই ঘরে চলে গেল লালি। রনিদার সাইকেলের রডে বসিয়ে প্রেমই তো তাকে পৌঁছে দিল সেই ঘরের দরজায়, যে দরজা লালি তার প্রেমিকের হাতে হাত দিয়ে একসঙ্গে খুলবে, শুরু হবে তাদের নতুন জীবন।
শুধু প্রেম লালির সঙ্গে ওই দরজা পর্যন্ত যেতে পারল না।
আর বৃষ্টি নেই। প্রেম ফিরে এল তার এক চিলতে ঘরে। দরজা বন্ধ করে দেখে, লালির রেনকোট তার ঘর ভাসিয়ে দিয়েছে।
এরপর থেকে প্রেমের রাতগুলো বদলে গেল। এখন আর বাইরে থেকে তার কথা শোনা যায় না। 
লন্ড্রিওয়ালা রঘু বলে, ‘ক’ দিন ধরেই দেখছি কেমন চুপচাপ হয়ে গেছে।’
‘হ্যাঁ রে প্রেম, বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া করেছিস নাকি?’
‘সে কী বাপেরবাড়ি মানে তোদের ভাষায় কী বলে যেন, মাইকে চলে গেছে?’
‘তা রাগ ভাঙিয়ে তাকে নিয়ে আয়।’
কাজ করতে করতে প্রেম হাসে। রাতে বন্ধ দরজার পিছনে বসেও সে হাসে। 
ওরা দেখে, প্রেমের অম্লান, আপাপবিদ্ধ হাসি।
একমাত্র প্রেম জানে, ফেলে যাওয়া রেনকোট শুধু ঘরই ভাসায় না...  
অঙ্কন: সোমনাথ পাল

13th     March,   2022
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ