বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
গল্পের পাতা
 

ছোট গল্প
উত্তরসাধক
মানস সরকার

বাড়ি থেকে বেরনোর মুখেই ফোনটা এল। দো-পাট ধুতির কোঁচাটা কোমরে বাঁ-হাতে দিয়ে আর একটু তুলে ডান হাত দিয়ে হাফহাতা পাঞ্জাবির বুক পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে কানে দিল গৌরদাস।
—দাদা, নমস্কার। ফ্রি-ফাউন্ডেশন থেকে অভীক বলছিলাম।
চিনতে পারল সঙ্গে সঙ্গেই। অভীক বলে এই ছোকরার সঙ্গে গৌরদাসের আলাপ হয়েছিল চন্দননগরে একটা বারোয়ারিতে গত বছর জগদ্ধাত্রী পুজোর অনুষ্ঠানে গাইতে গিয়ে। একটা এনজিও চালায়। বেশ কয়েকজন কম বয়সের ছেলেমেয়েকে জুটিয়ে নানা সেবামূলক কাজ করে ইতিমধ্যেই বেশ সাড়া ফেলেছে। গৌরদাসের বাউলগানে মুগ্ধ হয়ে নিজেই এগিয়ে এসে আলাপ করেছিল। দাসপাড়ায় গৌরদাস একমাত্র বাউল। তার খ্যাতি জেলা-রাজ্য-দেশ ছাড়িয়ে এখন বিদেশের মাটি ছুঁয়েছে। নিজের গানের কথা সে দিনের পরিচয় যত না বলেছিল গৌরদাস, তার চেয়ে বেশি ছিল তার এই দাসপাড়া গ্রামের কথা। তিরিশ ঘর আদিবাসীর কথা। শুনে বেশ উৎসাহী হয়ে এখানে এসে কিছু দেওয়ার কথা বলেছিল ছেলেটা। সরস্বতী পুজোয় মগরায় আবার ছেলেটার সঙ্গে দেখা হলেও এ নিয়ে আর কোনও উচ্চবাচ্য করেনি। গৌরদাসও না। ছেলেটাই বলেছিল, খুব তাড়াতাড়ি আবার দেখা হবে। মাঝখানে এই ভাইরাস আর লকডাউনের ঝামেলা হওয়ায়, আর যোগাযোগ হয়ে ওঠেনি।
কপালে জমা ঘামটা সুড়সুড় করছিল গৌরদাসের। গলায় তাও একটু মিঠাভাব এনে বলল, —বলো গো, আছ কেমন?
—আর কেমন, একটু অমায়িক হওয়ার চেষ্টা করল অভীক,—যা চলছে। শোনো না দাদা, সামনের সপ্তাহে ভাবছিলাম, একবার তোমার গ্রামে আসব। কয়েকটা বাচ্চাকে পুজোর কিছু জামা-কাপড়, স্যানিটাইজার আর মাস্ক বিলি করব ভাবছিলাম।
নিজে থেকে কোনও ব্যাপারে যোগাযোগ করার অভ্যাসটা কোনওকালেই নেই গৌরদাসের। এখন নাম করা বাউল হয়েছে বলে নয়। কোনওদিনই করত না। সে গাইতে যাওয়া হোক বা সুযোগ সুবিধার ব্যাপারে ধরা-করা। তার ওসব আসে না। ছোকরার কথার দাম আছে দেখে সে খুশিই হল ভেতরে। বলল—তা এসো না। এখন তো আমার সে রকম আসর-টাসরও নেই। বলতে গেলে ফাঁকাই আছি।
—তাহলে তো ভালোই হল। আমি টাকা-পয়সা পাঠিয়ে রাখছি। ওখানে সেদিন ওই তিরিশটা ফ্যামিলিকে দুপরে একটু খাওয়ানোর ব্যবস্থাও করে রাখো।
ঘামটা কপাল থেকে চুঁইয়ে নাকে আর চোখে এসে ঠেকছিল। বাঁ হাত দিয়ে সেটা পুঁছে নিল গৌরদাস—ঠিক আছে। হয়ে যাবে। তোমরা এসে তাহলে এখানেই খাওয়া-দাওয়া কোরো সে দিন। ক’জন আসবে?
 —ওই তো ধর না, ড্রাইভার নিয়ে চারজন।
—বেশ। তাহলে রোববার ব্যবস্থা করি?
—করো। আর...ইয়ে একটু গানটান হবে তো?
হাসি পেল গৌরদাসের। গান কি সব সময় ঠোঁটে আসে। অথচ সে জানে গান তার সব সময় ভেতরে ভেতরে চলে। কাউকে বোঝানো যাবে না। মুখে বলল আগে এসো তো। সে নয় হবে খন।
ফোনটা পাঞ্জাবির বুক পকেটে রেখে এবার সে বউকে হাঁক পাড়ল,—বাসন্তী তোমার ছোট ছেলেকে এবার তুলে দাও। বেলা তো ভালোই হল?
গৌরদাস আর বাসন্তীর আসলে একমাত্র ছেলে প্রতুল। প্রতুলের ছেলেকে বাসন্তী আদর করে ছোট ছেলে বলে। ঠাকুরমা’র অতিরিক্ত আদরে নাতি যে বিগড়াচ্ছে বিলকুল বোঝে গৌরদাস। বছর ষোলোর কুশলের পড়াশোনার নামগন্ধ নেই। পাশের গ্রামের ধানকুলি হাইস্কুলে ক্লাস টেনে পড়লে কী হবে, এখনও মাঠে ঘাটে ঘুরে তার দুষ্টুমির শেষ নেই।
মুখ গম্ভীর করে বাসন্তী বলল,—একটু ঘুমচ্ছে, ঘুমোক না। তোমাদের যে কেন এত মাথা ব্যথা।
ছোট করে শ্বাস ফেলল গৌরদাস। রাত পর্যন্ত ছেলের মোবাইল ফোন ঘাঁটে নাতি মাঝে মাঝে। কখনও সেখানে আঙুল টিপে টিপে কী সব খেলে। কখনও গানের ছবি দেখে। তার মানে, কাল রাতেও তাই করেছে। বাসন্তীও জানে। অথচ এ নিয়ে টুঁ শব্দটা করে না।
সেই কোন ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গৌরদাসের। চরণ বাউলের আখড়ার দিনগুলো। সপ্তাহে তিনদিন করে তো যেতই। পাশের ‘সওনাগ্রাম’ দাসপাড়া থেকে মাইল দেড়েক তো বটেই। ভোরের বেলা খালি পায়ে গুরুর শেখানো ধ্বনি আর বুলি বাতাসে মিলিয়ে দিতে দিতে হাঁটা। সাতটা নাগাদ পৌঁছে যেত আখড়ার আটচালায়। গুরুমা আখের গুড় মেখে মুড়ি দিতে কলাইয়ের বাটিতে। আটচালার চালাতে গাঁজার হালকা গন্ধ মেখে সে মুড়ি খেতে অমৃত লাগত। তারপর কাঁসার লোটা থেকে গলায় জল ঢেলে শান্ত হয়ে বসা। কিছুক্ষণ পর পাশের কুঠি থেকে এসে আটচালায় বসতেন চরণ। নিজে ধরতেন দো-তারা। পায়ে মাঝে মাঝে বাঁধতেন ঘুঙুর। ওই গ্রামেরই অভয় রুই ধরত হারমোনিয়াম। সে খোমকা, খঞ্জনি, একতারা—সবই বাজাতে পারত। অভয় রুইয়ের কাছেই তো গৌরদাসের এত কিছু বাজাতে শেখা। গুরু অভয়কে বলতেন সুরের দরবেশ। সুর, ধ্বনি আর রেওয়াজে হারিয়ে যেত বেখেয়ালে সে।
ছেলে বড় হলে প্রতুলকে নিজের কাছে বহুবার বসাতে চেয়েছে। ছেলে বোল বুঝতে চাইত না। সুর, শব্দ থেকে দূরে পালাত। পড়াশোনাটাও ঠিক করে শেষ করল না। বিরক্তি প্রকাশ করত বাসন্তী। জোর করেনি গৌরদাস। এ জোর করার নয়। জড়িয়ে নেওয়ার জিনিস।
অনুষ্ঠানের বায়না জমে উঠতে দাসপাড়ায় মিষ্টির দোকান দিইয়েছিল প্রতুলকে। টিভি শো বা বিদেশ যেতে শুরু করলে প্রতুল বর্ধমান শহরে ইয়া বড় স্টোর রুম দিয়েছে। দু’বার সেখানে গেছে গৌরদাস। এলাহী ব্যাপার। সরু চাল, ডাল, গন্ধ তেল, মেয়েদের মাথার রকমারি মেকআপ—সব এক ছাদের তলায় ঠান্ডা হাওয়ায়। মোবাইলে টাকা। গোটা দোকান ঘরটায় কেমন সুন্দর গন্ধ। তবে কৃত্রিম।
অথচ সে নিজে এত শো করেও দোপাট্টা ধুতি পরে, টেপা মোবাইলে কথা বলে আর লাল সুতোর বড় বিড়ি খায়। লম্বা শ্বাস ফেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে গৌরদার।
খিচুড়ি আর চচ্চড়ির গন্ধ ভেসে আসছিল ক্লাবঘর থেকে। রান্না ওখানেই হচ্ছে। ক্লাবের সামনের বারান্দায় খাওয়ানো হবে। এখানকার কাজ আপাতত শেষ। কাজ বলতে মাস্ক, স্যানিটাইজার আর পুজোর জামাকাপড় বিলি। তিরিশ ঘর আদিবাসীর খান পঞ্চাশেক ছেলে-মেয়ে। অভীক কথা রেখেছে। সবাইকে জিনিসগুলো দিতে পেরেছে। একটা বাচ্চাও ফেরত যায়নি। খুব আনন্দ হচ্ছে গৌরদাসের।
বারান্দায় পাতা একটা কাঠের চেয়ারে বসে সে পুরো ব্যাপারটা এতক্ষণ দেখেছে। এবার উঠে দাঁড়িয়ে অভীককে বলল,—খাওয়া হতে হতে তো দুপুর গড়িয়ে যাবে। তখন নয় ফেরত এসো। এখন চল, গিয়ে একটু আমার সাধনমন্দিরে জিরিয়ে নেবে।
ভাদ্রমাসের তাপে ছেলেটার ফর্সা মুখটা একেবারে পাকা কামরাঙার মতো লাগছে। সঙ্গের আরও দু-তিনজনও ঘেমে নেমে একসা। গৌরদাসের কথায় মনে হল সবাই বেশ স্বস্তি পেল।
রাস্তায় হাঁটার সময় রুমালে মুখ মুছে অভীক বলল, দাদা, দু-এক কলি হবে না আজ?
একটু অন্যমনস্ক ছিল গৌরদাস। সাত সকালেই পুজোর দুটো অনুষ্ঠানের কথা বানচাল হয়ে গেল। অনেকগুলো টাকার ব্যাপার ছিল। পরশুই অনাদি ফোন করেছিল। গৌরদাসের দলে বাঁশি বাজায়। গলসিতে থাকে। নতুন বিয়ে করেছে। টাকার খুব দরকার। ঠিক করেছিল, বরাত পেলে থোক কিছু টাকা দিয়ে দেবে। সুর যে খুব ভালো তোলে এমন নয়, কিন্তু প্রাণ ঢেলে কাজ করে। গৌরদাসের হাতে তৈরি হলেও এরা শুধু অনুষ্ঠান বোঝে। সুরে ভাসা জানে না। সুরসাধক তৈরি করতে চায় সে। কিন্তু দুনিয়ার নিয়ম বদলাচ্ছে। বাউলগানকে সে দেশে-বিদেশে পৌঁছে দিয়েছে। টাকার জোগানটাও খুব দরকার। শুকনো হাসল গৌরদাস,—গান কি আর রোজ হয়? প্রাণে থাকলেও ঠোঁটে আসে না যে।
অভীকের মুখটা ম্লান লাগল। এতটা পথ উজিয়ে এসেছে কষ্ট করে। টাকা খরচ করে গ্রামের লোকেদের দানধ্যান করল। ব্যাপারটা বেশ লেগেছে গৌরদাসের। আনন্দ পেলে সঙ্গীত আসা উচিত। অথচ সুরে ডুবকি দিতে আজ যে কেন পারছে না, কে জানে!
হাঁটতে হাঁটতেই আশপাশেই ঘরের টিনের চালায় ঝোলানো হাঁড়ি দেখিয়ে সঙ্গের মেয়েটা অভীককে জিজ্ঞাসা করল,—এগুলো কী?
অভীক তাকাল গৌরদাসের দিকে। ঠোঁটের কোণ মৃদু হাসি এনে গৌরদাস বলল—দিদিমণি, ও হল গিয়ে পায়রার ঘর। দেখ ঠাওর করে, কলসিগুলোয় সাদা নোংরা লেগে আছে।
—এভাবে রাখা হয় পায়রাদের! শহুরে মেয়েটা আশ্চর্য হল।
ভাসা গলায় গৌরদাস বলল,—আমরা তো প্রাণের গান গাই। এ দেহে প্রাণ পাখিকে মুক্ত করে গাইতে হয়। গ্রামের লোক সব আমার শ্রোতা। গুরু সাঁই বলতেন পোনা। তা পোনারাও শুনে শুনে বুঝে গেছে, পাখিদের খুলে রাখতে। সব পায়রাগুলো সন্ধেবেলায় ফেরত আসে। আবার ভোরে চলে যায়। মেয়েটা ফোনে একটা ছবি তুলল কলসিগুলোর।
গোপাল টুডু আর মঙ্গল হাঁসদা গোপালের উঠোনে উবু হয়ে বসে তালগাছের কাঠের শির থেকে সরু তারের সুতো ছিলে গোল গোল গিঁট পাকিয়ে বক ধরার ফাঁদ তৈরি করছে। এবার সে দিকে চোখ আটকে যায় মেয়েটার। দু-তিন দিক থেকে ছবি তোলে মোবাইলে। মঙ্গল আর গোপাল কালো মুখে সাদা দাঁত বের করে হাসতে থাকে। ওদের দিকে খেয়াল করে না মেয়েটা। এগিয়ে যায়।
আটচালায় বসে অভীক আর তার সঙ্গীরা যেন শান্তি পেল। মাস্ক খুলে পাশে রেখে হাত-পা ছড়িয়ে ওরা বসেছে সবাই। চড়া রোদের তাপে যেন ওরা ভাজা ভাজা হয়ে গেছে প্রত্যেকে। বড় রাস্তার মোড়ের দোকান থেকে কোল্ড ড্রিঙ্ক আর মিষ্টি আনিয়েছিল গৌরদাস। নাতি নেই। কোথায় যেন বেরিয়ে গেছে। নিজে হাতে সেগুলো বয়ে এনে সবার হাতে দিল। খাওয়ার পর সবাইকে পানীয় সেবা করতে বলে গৌরদাস এসে বসল অভীকের সামনে। ধুতির গেঁজ থেকে বের করল বিখ্যাত লাল সুতোর বীরভূমি লম্বা বিড়ি। ধোঁয়া ছেড়ে দেওয়ালে টাঙানো গুরুর ছবির দিকে তাকাল। গুরু বলতেন, স্বরঅঙ্গে প্রকৃতির ছোঁয়া দিবি বাপ। গুরু দেহ রেখেছেন। দুটো পয়সার মুখ দেখলেও গুরুকে মেনে আজও সিগারেট ছোঁয় না গৌরদাস।
কোল্ড ড্রিঙ্কের প্লাস্টিকের গ্লাসে চমুক দিয়ে অভীক চালায় টাঙানো একতারা আর দোতারার দিকে একবার তাকিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করল,—তাহলে একান্তই হবে না দাদা আজ?
টানা বিড়ির ধোঁয়াটা নাক দিয়ে এক টানা ছেড়ে অভীকের দিকে তাকাল গৌরদাস। বাকিরা কোল্ড ড্রিঙ্কে চুমুকের ফাঁকে ওর দিকেই তাকিয়ে আছে বুঝতে পারছিল। বলল—আজ ক্ষেমা দাও ভাই আমার। আজ যেন পরাণপাখি গলায় মেলছে না।
পানীয় শেষ করে বাঁ হাত তুলল অভীক, না, না দাদা। হতেই পারে। আমরা তো দিয়েই খালাস। কিন্তু সব ব্যবস্থা তো আপনি করলেন। বড্ড খাটনি গেল আপনার। গাওয়ার মুড না থাকাটা খুব স্বাভাবিক। এত ভেতর থেকে গান আপনি...
—না গো ভাই। গান তো আমি সব সময় গাই। মানুষের কানে যায় না এই যা। গুরু বলতেন, ওটা বীজমন্ত্রের মতো ভেতরে ধ্বনি তোলা চাই। ঠোঁট পর্যন্ত আনাটাই কষ্ট। শরীর ছাড়ছে না সুর আজ।
অন্য সবাই ঘাড় নেড়ে সমর্থন করল। অভীক বলল, —না, না, দাদা। আপনি বরং একটু রেস্ট নিন।
—নেব। তোমরা যাওয়ার পর।
—আচ্ছা দাদা, কিছু মনে করবেন না। আপনার ছেলে গান গায়?
খুব গরম করছে গৌরদাসের। বিড়িটা একটা প্লাস্টিকের গ্লাসে ঠেসে ধরে বলল,—না। সে অবশ্য খুব বড় ব্যবসাদার হয়েছে।
অভীক বলল, বাঃ! সেটা হওয়াও আজকের যুগে সহজ নয়।
ক্লাবের সামনে দাঁড় করানো গাড়িটায় অভীকদের যখন তুলে দিল গৌরদাস তখন সূর্য পশ্চিমে অনেকটা হেলে পড়েছে। ক্লাবের বারান্দায় নিজে বসে ওদের খাইয়েছে। গরম খিচুড়ি, চচ্চড়ি আর চাটনি। ওদের আওয়াজ করে খেতে দেখে বেশ তৃপ্তি পাচ্ছিল। গাড়িটা ধুলো উড়িয়ে দাসপাড়ার গলিটা বেঁকতেই কেমন যেন পুরো এলাকাটা নীরব হয়ে গেল আবার।
ধূসর আলোর মধ্যে ক্লান্ত পায়ে হেঁটে বাড়ির দিকে আসছিল গৌরদাস। গোপালের বাড়ির উঠোনে চোখ পড়তে দাঁড়িয়ে গেল। নাতি কুশল ঝুঁকে পড়েছে গোপাল আর মঙ্গলের পাশে।
—এসব কী যে কর কাকা! দাদু বলে পাখিকে বাঁধতে নেই তারে। এই তালের তার টান করে বাঁধলে মনের টঙে কত উঁচুতে সুর ওঠে, জানো?
গৌরদাস কান খাড়া করে শুনল এক কিশোরের গলা এই শেষ বিকেলে ভীষণ উদাস শোনাচ্ছে। গায়ে কাঁটা দিচ্ছে। আর দাঁড়াল না সে। হন হন করে হাঁটার ফাঁকে শুধু দেখল, হোগলা বনের পিছনের মরা আলোর সূর্যটাকে আজ অনেকদিন পর খুব উজ্জ্বল লাগছে...
অলঙ্করণ: সোমনাথ পাল

3rd     October,   2021
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ