বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
গল্পের পাতা
 

ছোট গল্প
সম্বল
সঞ্জীব ঘোষ

রাঘব একা মানুষ। নিজে রেঁধে বেড়ে খায়। তার এক কামরা পাকা ঘরের সামনে পিছনে অনেকখানি জায়গায় চাষবাস করে নিজের চলে। বাজারে বিক্রি করলে চাল কেনার টাকা উঠে যায়। একটু ছন্নছাড়া হলেও বাঁধা গতের জীবন তার। আশ্চর্যজনকভাবে দীনতা তাকে স্পর্শ করেনি। বাবার দেওয়া সম্বলটুকু সামান্য হলেও বড় প্রাণদায়ী। তিনি বলতেন, ‘ভিটেমাটি আঁকড়ে থাকিস খোকা! আবাদ করিস। মাটি হল ঈশ্বর। দেখিস তোর খাওয়া পরার অভাব হবে না।’
রাঘব তাই করেছে। নিজের মন, প্রাণ ও শক্তি সমর্পণ করেছে ওতে। মাটির কঠিন বুক ঠেলে এক-একটা গাছ তাকে ফুলে ফলে ভরিয়ে দিয়েছে দিন- দিন। মন পরম বিস্ময়ে ছেয়ে গিয়েছে। গাছগুলোকে ও ভালোবেসেছে। উল্টে গাছগুলো তার বাঁচার রসদ জুগিয়েছে। এ ভাবে একে অন্যের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে আছে ত্রিশটা বছর। যৌবন এসে জীবন থেকে সরে গিয়েছে। শরীরে তেজ মরেছে, এখন আগের মতো কাজের ধকল সয় না, সামান্যতেই হাঁপ ধরে। দম নিতে কষ্ট হয়। বড় বড় শ্বাস টানে তখন। বয়সের হিসাব রাখেনি সে কখনও। এখন এই পড়ন্ত সময় বুকটা অকারণে মোচড় দিয়ে ওঠে।
কদম গাছের ছায়ায় ঝিমমারা শরীর গুটিয়ে বসে স্যাঁতসেঁতে কাঠির নিস্তেজ আগুনে বিড়ি ধরায় রাঘব। শীতের পলকা বেলার তেজ নিভে আসছে দ্রুত। চোখের জ্যোতি আগের মতো দুর্ভেদ্য নয়। সূর্যের আলো নিভু নিভু হলে দুনিয়াটা ঘোলাটে আর বিস্বাদ লাগে ওর। তাই বেলা যাওয়ার আগে হারকিন জ্বালিয়ে নেয়। তবে দৃষ্টিশক্তিতে সামান্য জোর মেলে। আজকাল একাকী অন্ধকারের মধ্যে বুকটা অকারণে উথাল পাতাল করে রাঘবের। নিজের কথা ভাবে। এখন চিন্তার তেমন কোনও খোরাক পায় না। বুকের সাহস ভেঙে চুরমার হয়েছে। সবল শরীরটা ধনুকের মতো বাঁকা। এ বয়সের বেশিরভাগ চিন্তা নিম্নমুখী ভয় ভাবনা কাতর। শুধু মনে হয়, একটা বিশাল অন্ধকারের ঢেউ তার শরীরের চোরাপথ দিয়ে উঠে তার জীবনকে গ্রাস করছে রোজ!
বেলা থাকতে আলো জ্বেলে নিতে হয়। কিন্তু রাঘবকে আজ যেন ভারী আড়ষ্টতায় পেয়েছে। পা দুটো যেন মাটির সঙ্গে গেঁথে আছে। একটু গতর নাড়িয়ে দাওয়ায় উঠে আলো জ্বালতে ইচ্ছা করছে না। রাঘব নিজেকে নিজে গাল দেয়, ‘কেন্নোর  মতো শরীর গুটোলে চলবে? ঠুঁটো হয়ে বসলে খাবি কী রে তুই পোড়ামুখো। ওঠ! আলো জ্বালিয়ে উনুনে হাঁড়ি চড়া। হতভাগা তোর কে আছে যে অন্ন রেঁধে মুখের সামনে ধরে দেবে?’
রাঘব উঠে দাঁড়ায়। উবু হয়ে বসে পা দুটো ভারী হয়েছে। ঊরু থেকে গোড়ালি পর্যন্ত অবশ হয়ে ঝিনঝিন করে। একটু খুঁড়িয়ে হাঁটতে হচ্ছে। বাগানের মাঝখান দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে এক মুহূর্তের জন্যে থমকে দাঁড়ায়। এই বাগান বেষ্টিত ঘর আর গাছেদের নিয়ে ত্রিশটা বছর নিঃশ্বাসের মতো হুশ করে বেরিয়ে গেল কখন টেরই পেল না। এখন ষাটোর্ধ্ব বয়সে পৌঁছে ফাঁপরে পড়ল, যেন জলের সতেজ  মাছকে কেউ রুক্ষ ভূমিতে এনে ফেলেছে। পাঁশুটে আলোয় রাঘব দেখে বাড়ির পিছনের দিকে ফলা জমিতে বুনো জঙ্গল ছেয়ে গেল। ওখানে জমাট অন্ধকারের মাথায় মুকুটের মতো জোনাকি পোকা মিটমিটিয়ে জ্বলছে। শক্তিতে কুলোয় না। তাই এখন আগের মতো সবটা সামাল দিতে পারে না। মনটা ভেঙে গেল ওর। এই বাগান বাড়ির সর্বত্র বাবার স্মৃতি জড়িয়ে আছে। ছোট বয়সে মা মরা বিশৃঙ্খল জীবন তার সামলে নিয়েছিলেন তিনি শক্ত হাতে। মায়ের মতো জীবনে গুরুতর অস্তিত্বের অভাব বোধ কখন মালুম হতে দেননি। চাইলে বিয়ে করে আবার নতুন সংসার বাঁধতে পারতেন। কিন্তু তা না করে ছেলেকে নিয়ে চলে এলেন নিজের কর্মস্থল কলকাতায়। বড়বাজারের লোহাপট্টিতে একজন মাড়োয়ার ব্যবসায়ীর দোকানে বাবা ক্যাশিয়ার ছিলেন। তখন রাঘবের বয়স দশ। এখানের বস্তিতে একাকী বড় হয়ে ওঠা জীবন পাখির মতো মুক্ত ও ছন্নছাড়া। বাবা চলে যেতেন কোন সকালে। ফিরতেন সন্ধ্যা হওয়ার মুখে। এই সময়টায় রাঘব বস্তির অন্যান্য ছেলেদের সঙ্গে খেলাধুলো করত। এখানে থাকতে একটা শিক্ষা তার হয়েছিল খুব জীবনে বাঁচতে হলে প্রতি মুহূর্তে লড়াই করে টিকে থাকতে হয়। একসময় একাকিত্ব কেমন অভ্যাসে পরিণত হল। অস্বস্তি হতো না। বরং এই বাঁধনছেঁড়া জীবনকে বড় ভালোবেসে ফেলেছিল সে। বয়স পনেরো পেরতেই  বাবার সঙ্গে দোকানে গিয়ে খাতার হিসাবনিকাশ লেখার কাজ শিখতে শুরু করল। মালিক খুব স্বহৃদয় মানুষ। বাবা কোনও দিন তার সঙ্গে বেইমানি করেননি। বৃদ্ধ মালিক খুব স্নেহ ও বিশ্বাস করতেন বাবাকে। একদিন তিনি ডেকে বললেন, ‘হারু অনেকদিন তুমি আমার অধীনে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছ। এবার স্বাধীন জীবন উপভোগ করো। আমারও বয়স হল। কবে চোখ বুজব! গদিতে আমার ছেলেরা বসবে। তোমাকে কাজ থেকে ছাঁটাই করে দিতে পারে। কিছু টাকা দিচ্ছি তুমি বরং গ্রামে ফিরে যাও। চাষবাস করে সুখে বেঁচেবর্তে থাকো।’
বাবা আবার গ্রামের বাড়িতে ফিরে এলেন। জন্মভিটে বাবাকে বরাবর খুব টানত। এখানে এসে যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস নিলেন তিনি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার দৃষ্টিশক্তি কমতে শুরু করেছে। এ ভাবে কতদিন কাজ চালিয়ে যেতে পারতেন সন্দেহ। বাবা আশ্বস্ত গলায় বললেন, ‘ভগবান যা করে মঙ্গলের জন্য! আমার শরীর গতি ভালো নয়। এবার তোর একটা পোক্ত ব্যবস্থা করে দিয়ে যেতে পারলে শান্তি।’ বাবা সেই টাকায় প্রথমে জীর্ণ সাবেকি বাড়িটা ভেঙে নতুন পাকা বাড়ি বাঁধলেন। বাজার সংলগ্ন স্থানে ছোট্ট মতো জায়গা কিনে বাঁশ ও পলিথিন ঘিরে বারো মাসের স্থায়ী একচালা দোকান ঘর বানানো হল। বাড়ির সামনের বাগানে সব ঋতুর আনাজ ফলিয়ে ওখানে বসে বিক্রি করত রাঘব। দোকানটা খারাপ চলত না। আরও জাঁকাতে অসুরের মতো কী খাটা না খেটেছে সে! যৌবনভরা শরীরে তখন দানব শক্তির বাস। নিকট শহর গিয়ে ভালো মানের বীজ এনে নিজে হাতে ফলিয়েছে। পরিচর্যার ত্রুটি রাখেনি। পুরুষ্ট ফসল বাজারে এনে বিক্রি করে লভ্যাংশের টাকা হাত স্পর্শ করেছে। একটু করে দীনতা ঘুচেছে তাদের। শেষ জীবনে বাবা সুখের মুখ দেখে গিয়েছেন এই একটু যা স্বস্তি।  
বাবা চলে যাবার পর একাকী জীবন সংসারের পাকা বেষ্টনীতে জড়াতে চায়নি। মন যখন বিকল হয়েছে বন্ধন ছিন্ন হয়ে বেরিয়ে পড়েছে নিরুদ্দেশে। আবার ফিরে এসে নিজেকে ভুলে পুরনো উদ্যমে ফসল ফলিয়েছে। এই ভাবে কর্ম ব্যস্ত জীবন থেকে কখন ষাটটা বছর খসে গিয়েছে কখন মালুম পায়নি। 
রাঘব একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে। আজ তার উদ্যমী শরীরে জীর্ণতার বাস! এই ভিটেমাটিটুকু ছাড়া নিজের বলে তার কেউ নেই। প্রাণদায়ী মাটির কাছে ঋণ জমেছে অনেক। উনুন ধরতে গিয়ে খানিক আনমনা হয়ে যায় রাঘব। হাতে আগুনের ছেঁকা লেগে চমকে ওঠে। সামান্য পাতা খড়ের আগুনে তেমন তেজ নেই। গাঢ় ধোঁয়ায় ঘর ছেয়ে যায়। সেই ধোঁয়ায় নিঃশ্বাস নিয়ে দারুণ একচোট বিষম খায় ও। বুক চেপে কাশির দমক সামলে উঠে পড়ে। ধোঁয়ার জ্বালায় চোখে জল আসে। উঠোনে নেমে জোরে জোরে নিঃশ্বাস টেনে ভাবে, বয়স বাড়লে অকেজো জীবনের কোনও মূল্য  থাকে না! একসময় নিজের কাছে নিজেকে আত্মসমর্পণ করতে হয় বুঝি?
রাঘব নিজের চিন্তায় খানিক গুম হয়ে যায়। এমন ভাবে একা বাঁচা কি সম্ভব? আজ দুটো ফুটিয়ে খাওয়ার সামর্থ্য আছে। কিন্তু এ ভাবে কত দিন সে নিজেরটুকু করে নিতে পারবে? তার প্রাণের বাগান বাড়ি ক্রমে বুনো জঙ্গলে গ্রাস করছে। একদিন পুরোটা গিলে নেবে! ভগবান করুক ওই দিন তাকে যেন দেখতে না হয়! হঠাৎ সন্ধ্যাকালীন স্তব্ধতা কাঁপিয়ে পরিচিত ডাক একটা কাছে এসে থামে। আধো অন্ধকারে ছায়ামূর্তির মতো মাধব তার পাশে এসে দাঁড়ায়। ঘর পর বলতে এই ছেলেটা। যার সঙ্গে ওর একটু স্নেহ ভালোবাসা জড়ানো সম্পর্ক। বুকে সাহস ফেরে রাঘবের। ঠোঁটের ফাঁকে বিড়ি চেপে শান্ত ভঙ্গিতে বলে, ‘আগুন দে!’
বাজারের দোকান রাঘব মাস ছয়েক মাধবের জিম্মায় ছেড়ে রেখেছে। ছেলেটা সরল মনের, বিশ্বাসীও। প্রতিদিন টাকার হিসাব মিলিয়ে দিয়ে যায়। আজও এসেছে! দাওয়াতে জ্বালা হারকিনের হলুদ ঘোলাটে আলোয় আবছা মুখ তার দেখা যাচ্ছে। বড় মায়া ভরা মুখ। দেখলেই ভালোবাসতে ইচ্ছা করে। ছেলেটার ভাগ্য বড় চাপা। একেই খড়কুটো আগলানো অবস্থা। তারওপর এক বছর যাবৎ নিজের সদ্য বিবাহিতাকে নিয়ে নাজেহাল। বউটার কী যে দুরারোগ্য ব্যাধিতে ধরেছে ডাক্তার ঠিক তল পাচ্ছে না। জলের মতো সম্বল কিছু টাকা জলাঞ্জলি দিয়ে হালভাঙা নাবিকের মতো উদভ্রান্ত অবস্থা। মুখ ভারী করে কী যেন চিন্তা করে সর্বক্ষণ!  মাধবের বাড়ানো আগুনে বিড়িটা ধরিয়ে খুব জুত করে এক টান দিয়ে রাঘব বলে, ‘বউমার কী খবর রে? মন বলছে, এই সদর হাসপাতালে কোনও প্রতিকার হবে না! ওকে নিয়ে তুই শহরে চলে যা।’  
কথা ঘোরায় মাধব। 
‘কর্তা, হাঁড়িতে একমুঠো চাল চড়িয়ে দিই আমার? আজ তোমার কাছে দুটো ভাত খাব!’
এতে রাঘবের কোনও আপত্তি ছিল না। কিন্তু ওর মুখ থেকে আসা মদের উগ্র গন্ধে মনটা হঠাৎ বিষিয়ে গেল। অবাক বিস্ময়ে মুখ থেকে ঠিকরে এল কথাটা—
‘একি তুই মদ গিলেছিস?’ রাগে গোটা শরীরে আগুন জ্বলে ওর। ‘এদিকে বউ মরতে বসেছে! আর তুই টাকা উড়িয়ে মদ গিলে ফুর্তি করছিস?’
ভেতরে পুঞ্জীভূত দগদগে জ্বালায় মাধবের শরীর যেন ছটফটিয়ে ওঠে। আধো অন্ধকারে দেখা যায় ওর চোখ দুটো রাঘবের ঠোঁটের আগায় ঘন ঘন টানা বিড়ির আগুনের থেকেও তীব্র। রাগ ও অভিমান উগরে সে বলে,
‘তুমি বলো কর্তা কী করব আমি? রোগ শীর্ণ ওর শরীরের দিকে তাকাতে পারি না। বুক থেতলানো কষ্ট হয়। ও আমাকে বলে, আমি কি আর বাঁচব না গো? তোমার কাছে ফিরতে পারব না কোনওদিন! জবাব দিই না আমি। রোজ ওর মুখে স্পষ্ট মৃত্যুর ছায়া দেখি। ডাক্তার বলেছে অপারেশন করতে হবে। সে অনেক টাকা খরচ। কোথা থেকে পাব আমি? অল্প আয়ু নিয়ে পৃথিবীতে জন্মেছে যেমন মরুক তবে!’
কথাগুলো যন্ত্রের মতো বলে আরও অসহায় উদভ্রান্ত বোধ করে মাধব। নিজেকে সামলে দ্রুত সেখান থেকে চলে যায়। মাধব চলে যেতে অসহ্য নীরবতা সঙ্গে উদ্ভট চিন্তা ঘিরে ধরে ওকে। রাঘবের ভেতরের ভালো মানুষটা হঠাৎ বলে ওঠে, ‘তুমি পারো না ভিটে মাটি বিক্রি করে মাধবের হাতে টাকাটা তুলে দিতে। তুমি মরে গেলে কোন যজ্ঞে লাগবে এটা? বরং একটা মানুষের প্রাণ বাঁচবে। তোমার এই দানের কথা ওরা মনে রাখবে সারাজীবন।’
রাঘব চমকে ওঠে। এমন কথা স্মরণ করাও  মহাপাপ! যে জীবনদায়িনী মাটি খাওয়া পরা দিয়ে তাকে ঋণী করেছে জীবনভর, সেই মাটি বেচতে বিবেকে বাধবে না? পরমুহূর্তে মনে হল মাটি মায়ের সমান! সব সন্তানই মায়ের কাছে ঋণী হয়ে থাকে সারাজীবন। তবু মনের খটকা দূর হয় না!
সারারাত অস্বস্তিতে ছটফট করে ও। ঘুম আসে না চোখে। শেষ রাতের ঠান্ডা হাওয়ায় অবসন্ন শরীর তার জোড়ায়। ভোরের দিকে মাধব আসে।
‘কাল রাতে অন্যায়ের জন্যে ক্ষমা চাইছি কর্তা!’
মাথা হেঁট করে দাঁড়িয়ে থাকে সে।
শান্ত ভঙ্গিতে পৈঠেতে এসে বসে রাঘব। ঘণ্টাখানেকের ঘুমে তার শরীর এখন বেশ তরতাজা। একটা বিড়ি ধরিয়ে বাগানের চারদিকে চোখ ঘুরিয়ে দেখে। বেশ দোটানায় পড়ে সে! এই মাটি বেচলে বউ মানুষটার কচি প্রাণটা অকালে যেত না। কিন্তু বাবার স্মৃতি জড়ানো জন্ম ভিটের সঙ্গে এমনটা করা কি ঠিক হবে? মাধবের করুণ নতজানু মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে রাঘব। মনের ভেতরটা দ্বিধা দ্বন্দ্বের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়।
অলঙ্করণ: সোমনাথ পাল

12th     September,   2021
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ