বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
গল্পের পাতা
 

পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ২৯
জয়ন্ত দে

বর্ণিনীকে নিয়ে সহজ যখন পৌঁছল, তখন বাড়িতে পিশাচসাধু নেই। বঁড়শি একা। সে শোনাল, তার সন্দেহের কথা। বঁড়শির অনুমান, তার বাবা, যোগীনসাধু সহ একাধিক মৃত্যুর নেপথ্যে ক্যাপ্টেনের হাত রয়েছে। নিজের বক্তব্যের সপক্ষে একটি ডায়েরি দেখাল সে। ডায়েরির পাতার ছবি তুলে নিল বর্ণিনী। তারপর...

আকাশে এখনও তারা জ্বলছে। অন্ধকারে সবে আলোর আভা। তবে কিছুই স্পষ্ট নয়, কিন্তু এই সময়ে যেন অনুভব করে সব জেনে নিতে হয়। দোতলা থেকে সহজ দেখেছে বাগানে তার ঠাকুরদা। সে নীচে নেমে এসে দাঁড়াল ঠাকুরদার কাছে। এ বাড়ির চৌহদ্দির গাছপালারা এখন সবে জেগেছে। রাতে রাতে বুড়ো হয়ে যাওয়া পাতা ঝরে পড়ছে টুপ টাপ করে। পাখপাখালিরা বাসার ভেতর কিচিরমিচিরে ব্যস্ত। সারারাত সহজ বই পড়ে আর লেখালিখি করে কাটিয়ে এই ব্রাহ্ম মুহূর্তে নেমে এল নীচে। ওকে দেখেই শশাঙ্ক মিত্র সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে পড়লেন। 
সহজ বলল, ‘তোমার সঙ্গে আমার কিছু কথা আছে।’
‘বলো, বলো।’
‘তোমার আশ্রমের খোঁজ আমি পেয়েছি।’
‘কী!’ শশাঙ্ক মিত্র এক পা এগিয়ে এসে সহজের হাত চেপে ধরলেন। ‘সেখানকার খবর কে দিল তোমাকে?’
‘আমার এক বন্ধু বর্ণিনী, তাকে আমি বলেছিলাম। আশ্রমের ঠিকানাও দিয়েছিলাম। ও আমাকে না জানিয়েই একজনকে নিয়ে ধ্যানযোগ আশ্রমে চলে গিয়েছিল। সে-ই এসে সব খবর দিয়েছে।’
শশাঙ্ক মিত্র এখনও তাঁর নাতির হাতটি ছাড়েননি। বরং যেন আরও জোরে চেপে ধরেছেন। ‘কী বলল সে, আমাকে সম্পূর্ণটা বলো।’
সহজ বলল, ‘ওই আশ্রমে তোমার থাকার জন্য ঘর আছে। তোমার গুরুদেবই নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন, তুমি গেলে কোন ঘরে থাকবে। ওরা বনিকে দেখিয়ে দিয়েছে— ওদের সব আয়োজনই সম্পূর্ণ হয়ে দীর্ঘদিন পড়ে আছে। তোমার কাছে ওঁরা অনেকবার চিঠিও পাঠিয়েছেন, কিন্তু তোমার তরফ থেকে কোনও উত্তর পাননি। তবু তোমার জন্য ঘর আছে। তোমার প্রতীক্ষায়। তুমি যেকোনওদিন সেখানে চলে যেতে পার।’
‘আমি যাব, কবে নিয়ে যাবে আমাকে?’ শশাঙ্ক মিত্র যেন উতলা হয়ে উঠলেন।
‘তার আগে একটা কাজ আছে আমাদের। সেটা হল ট্রাঙ্ক থেকে তোমার সব লেখা সরিয়ে ফেলা। ওই লেখাগুলোর জন্য তুমি গোটা জীবনটা উৎসর্গ করলে। আমরা চাই না, ওই লেখাগুলো ঠাকুমার হাতে যাক।’
কেঁপে উঠলেন শশাঙ্ক মিত্র। ‘না, না, তোমার ঠাকুমা সব জ্বালিয়ে দেবেন। কিচ্ছুটি রাখবেন না। আমি জানি— উনি ভয়ঙ্কর সর্বনাশ করবেন। হয় ছিঁড়ে কুটোকুটি করবেন, নয় আগুন জ্বালাবেন।’
সহজ বিড়বিড় করল, হয়তো পুরো ট্রাঙ্কটাকেই গঙ্গাস্নান করিয়ে ছাড়বেন।
শশাঙ্ক মিত্র উত্তেজিত গলায় বললেন, ‘তুমি যেখানে ইচ্ছে আমার লেখাগুলো নিয়ে যাও।’
‘তোমার লেখা এই বাড়ির ভেতরই থাকবে, আর সেটা অক্ষত। আমি বাবার সঙ্গে কথা বলে নেব। আজ রাত থেকেই তুমি একটু একটু করে বাবার হাতে লেখাগুলো তুলে দেবে।’
‘আমার ঊনত্রিশটা খাতা আছে। আজ রাতে আমি ভেতর ঘরের দরজা খুলে রাখব। তোমরা এসে নিয়ে যাবে।’
‘শোনো তাড়াহুড়োর কিছু নেই। বাবাকে আমি বলে দিচ্ছি, বাবা প্রত্যেকদিন চারটে করে নতুন খাতা তোমাকে দেবে। তুমি সেগুলো ট্রাঙ্কে রেখে দেবে। আর লেখা খাতাগুলো বাবার হাতে তুলে দেবে। বাবা রাতের বেলায় বাড়ির ভেতর ঘোরে, কেউ বাবাকে সন্দেহ করবে না। আমিও যেদিন পারব ভোরে এসে তোমার থেকে দু’-চারটে খাতা নিয়ে যাব।’
‘আজ রাতেই কি সম্বুদ্ধ আমাকে নতুন খাতা দেবে?’
‘আমি বাবাকে বলে দেব। আজ থেকেই এই পাল্টাপাল্টি শুরু হোক।’
‘তুমি কেন এমনটা করছ, আমি বুঝতে পারছি না। আমি তো পুরো ট্রাঙ্কটাই তোমাকে দিয়ে যেতে চাই। তুমিই এর উত্তরাধিকারী।’
সহজ হাসে, ‘তোমার মতোই ঠাকুমাও বাবার খুব প্রিয়। বাবার মা। বাবা চায় না, তার মা যত অন্যায়ই করুক, তাকে আঘাত দিতে। তুমি চলে গেলে ঠাকুমার সব রাগ গিয়ে পড়বে ওই খাতাগুলোর ওপর। তিনি নির্ঘাত ট্রাঙ্কের ভেতর দু’তিন ঘড়া গঙ্গাজল ঢেলে দেবেন। ওঁর এই কাজে আমরা কোনও আপত্তি করব না। ওঁর রাগ উনি মেটাবেন আর—।’
শশাঙ্ক মিত্র মাথা নিচু করলেন, ‘ঠিক আছে, যা ভালো বোঝো তোমরা করো। তুমি দাঁড়াও তোমাকে ক’টা খাতা দিয়ে দিই।’
‘আজ নয়, অচলদা ঘুম থেকে এতক্ষণে উঠে পড়েছে। ট্রাঙ্কের তালা খোলার শব্দ হলে দেখবে। তার চেয়ে বরং, তুমি চার-পাঁচটা খাতা বের করে রেখে দিও, রাতে বাবা ঠিক তোমার কাছে আসবে।’
দিনের আলো বেশ ফুটে গিয়েছে। নিঝুম পৃথিবী জেগে উঠছে একটু একটু করে। শশাঙ্ক মিত্র চলে যেতে গিয়ে ঘুরে দাঁড়ালেন। ‘গুরুদেব নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন মানে? উনি কি আর শরীরে নেই!’ কথাগুলো বলার সময় তাঁর গলার স্বর কেঁপে উঠল।
‘না, উনি আর নেই।’ খুব শান্ত গলায় সহজ বলল। ‘আড়াই বছর হল উনি দেহ রেখেছেন। বনি দেখে এসেছে। উনি তোমার জন্য কিছু নির্দেশ লিখিতভাবেও রেখে গিয়েছেন। সেই খাম আশ্রমে আছে সিল করা অবস্থায়।’
‘না, না, তুমি তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা করো, আমি যাব।’
‘আশা করি পরের সপ্তাহের যে কোনও দিন।’
‘আমি তোমার ভরসায় থাকলাম।’ ধীর পায়ে শশাঙ্ক মিত্র চলে গেলেন। উঠোন ছেড়ে সহজ উঠে এল দোতলায়। এখন সে শোবে। তিনঘণ্টা ঘুমাবে। আটটা নাগাদ মিমি নির্ঘাত ওকে ডাকবে। রোজই তাই করে। আজ বর্ণিনীর সঙ্গে দেখা করতে হবে। ও ক্যাপ্টেনের নোটবই থেকে সাতজন সাধু বা অসাধুর নাম ঠিকানার ছবি তুলেছিল। সেদিন দুপুরে সেগুলো পরিষ্কার কপি করে ওর বাবার কাছে পাঠিয়েছে। মাঝে বেশ কয়েকদিন হয়ে গেল। বর্ণিনী লেগে আছে। আশা করছে দু-একদিনের ভেতরই সাতজনের খবর পেয়ে যাবে।
সহজ ঘরে এসে বিছানায় পড়তেই দু’চোখ ঝাঁপিয়ে নেমে এল ঘুম। কিন্তু সে ঘুম বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না। একনাগাড়ে ভাইব্রেশন মুডে থাকা ফোনটা কেঁপে যাচ্ছে। এত সকালবেলা কে ফোনটা করছে? কার এত দরকার? তীব্র ঘুম জড়ানো চোখে ফোন ধরল সহজ। ফোনের ওপারে কার কাঁপা কাঁপা গলা। 
‘স্যার, আমি সৃজনী।’
‘সৃজনী, কী হয়েছে?’ ঘুম লোপাট হয়ে জেগে উঠল সহজ।
‘স্যার রুমলির বাবা, মানে নচিকেতা অ্যাঙ্কেল খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আপনাকে একটা নম্বর এসএমএস করেছি। একটু ফোন করুন।’
‘কী হয়েছে নচের?’
‘জানি না স্যার, তবে খুব বড় কিছু একটা হয়েছে। এতক্ষণে হয়তো হাসপাতালে নিয়ে চলে গিয়েছে।’
‘ঠিক আছে তুমি রাখো।’ 
ফোন কেটে সহজ এসএমএস দেখল। সেই নম্বরে ফোন করতে ধরল একজন মহিলা। নিজের নামটা বলতে সেই মহিলা বলল, ‘আমার নাম আরতি, আমি নচিকেতার ওয়াইফ। আমরা ওকে বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলাম, কিন্তু সবাই বলল পিজিতে যেতে। তাই এখানে এসেছি।’
‘কী হয়েছে?’
‘মনে হচ্ছে খারাপ কিছু পেটে গিয়েছে।’ কথাটা বলে আরতি একটু থমকায়, চাপা গলায় বলে, ‘বিষ খেয়েছে। ওকে ভেতরে নিয়ে গিয়েছে, ওয়াশ করাচ্ছে, বলছে তো ভালো নয়।’ সেই কথাগুলো বলার সময় আরতির গলা বুজে এল। ‘খুব খারাপ অবস্থা— জ্ঞান নেই, গ্যাঁজলা উঠছে। ভোররাতেই খেয়েছে কিছু। আপনার কথা সবাই বলছিল, কিন্তু আপনাকে ফোনে পাচ্ছিল না।’
‘আমি আসছি।’
সহজের বুকের ভেতর এই সকালবেলা ভারী মেঘের মতো অন্ধকার চেপে বসছে। শয়তান পিশাচসাধুটা নচের মানসিক স্থিতিটাই নষ্ট করে দিল। সত্যিই ও পিশাচ! নচের মৃত্যুর জন্য ওই লোকটাই দায়ী। বিচিত্র ঘোষাল ঠিক কথাই বলেছিলেন, ও মানুষের মন নিয়ে খেলে, ও ভয়ঙ্কর, ওর সংস্পর্শে থেকো না। 
সহজ উঠে বাথরুম গেল। চোখ মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে এসে দেখল টেবিলে চায়ের কাপ। মিমি চায়ের কাপ নিয়ে চুমুক দিচ্ছে।
বলল, ‘কী রে এত সকাল সকাল উঠে পড়লি— সবে সাতটা দশ। তোর ঘুম ভাঙার টাইম তো আটটা। তাও ডেকে ডেকে—।’
সহজ ম্লান হাসল। বলল, ‘একটু বেরুব।’
‘কোথায় যাবি, ওই জ্যোতিষীর বাড়ি?’
‘না, অন্য একটা দরকার আছে।’
চায়ের কাপে লম্বা চুমুক দিয়ে মিমি বলল, ‘আমি তোর সক্কাল সক্কাল উঠে পড়া দেখে ভাবলাম ওঁর বাড়ি যাচ্ছিস। তুই বলেছিলিস না, ওঁর কাছে সকাল সকাল যাওয়া ভালো। ঘুম থেকে উঠে মুখ দেখে উনি যা বলেন তা অব্যর্থ। অক্ষরে অক্ষরে মিলে যায়। তাই জন্যই তো আমরাও সকালবেলা গিয়েছিলাম।’
‘আমি তোকে এসব ইনফরমেশন দিইনি। তুই মনে হয় অন্য কারও কাছে শুনেছিস।’
‘তুই আমাকে সকালবেলা যেতে বলিসনি!’ 
‘হ্যাঁ, সেটা অন্য কারণে। উনি বড্ড নেশা করেন। বেলা হয়ে গেলে রিস্ক থেকে যায়, হয়তো নেশা করে আউট হয়ে থাকলেন। তখন যাওয়াটাই বৃথা।’
‘তুই নিশ্চয়ই এর মধ্যে ওঁর কাছে যাবি? ওঁকে বলিস— আমার বোন সেদিন খারাপ ব্যবহার করেছে, এরজন্যে সে লজ্জিত, ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে। ও আর একদিন আসবে আপনার কাছে।’
সহজ অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকল মিমির দিকে। মিমির মতো দাম্ভিক অহঙ্কারী মেয়ে সরি নয়, এক্কেবারে পাতি বাংলায় ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছে!
মিমি বলল, ‘কী দেখছিস আমার দিকে। সত্যিই আমি দুঃখিত। আমি সেদিন খুব রুড ব্যবহার করেছি। আসলে ওঁর কথাগুলো আমি মেনে নিতে পারছিলাম না। কিন্তু উনি আমার একটা গোপন কথা অদ্ভুতভাবে বলেছেন। যা কারও জানার কথা নয়। সেটা উনি কী করে জানলেন, আশ্চর্য! আর একটা কথা— উনি পদ্মনাভ সম্পর্কে যা যা বলেছেন সেটা সব সত্যি। উনি আমার জীবনের আয়না। উনি আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন। আমি ওঁকে প্রণাম করতে যাব। তুই গেলে— আমার হয়ে ক্ষমা চেয়ে নিস। তারপর আমি যাব— নইলে উনি প্রচণ্ড রিঅ্যাক্ট করতে পারেন।’ মিমি চায়ের কাপে আবার চুমুক দিয়ে উঠে পড়ল। চলে যেতে গিয়ে ঘুরে দাঁড়াল। ‘আর একটা কথা, ওঁর বউটা কিন্তু ওঁর থেকে বড্ড ছোট। কী যেন নাম... বঁড়শি। ও কিন্তু তোকে গিলছিল! সাবধানে থাকিস, আমার মতো পচা শামুকে পা কাটিস না। পদ্মনাভের সঙ্গে আমি সম্পর্ক চুকিয়ে দিয়েছি। ও খুব বাজে চক্করে পড়েছে। এবার ও মরবে—।’ মিমি চলে গেল।
সহজের হাতে চায়ের কাপ ধরাই আছে। দু’চুমুকের বেশি দিতে পারেনি। সহজ এই মিমিকে চেনে না। মিমি তো এমন নয়। এত শান্ত, স্থির হল কী করে?
আবার ফোন বাজছে। এবার পরমেশ্বর।
—তুই কোথায় রে?
—বাড়িতে। হাসপাতাল যাব বলে রেডি হচ্ছি।
—শোন, আমি কলকাতায় নেই। একটু আগে আমাকে শঙ্কর ফোন করেছিল। কন্ডিশন ভালো নয়। আমি ওকে বলেছিলাম, তেমন হলে প্রাইভেট কোনও হাসপাতালে শিফ্ট করাতে। টাকা-পয়সা নিয়ে ভাবতে হবে না। কিন্তু ও বলল, ট্রিটমেন্ট ঠিক হচ্ছে, কোনও ত্রুটি নেই। আমি ওর কথা বিশ্বাস করছি না। টাকা খরচের ভয়ে ও মিথ্যে বলতে পারে। তাই তুই নিজে গিয়ে রিপোর্ট দিবি আমাকে। আমার ফোন খোলা থাকবে। আমি পার্টির ওপর মহলে জানিয়েছি, ওরাও সুপারের সঙ্গে কথা বলবে বলেছে। যেভাবেই হোক নচেকে ফেরাতে হবেই। আমি ফিরে যাই, ক্যাপ্টেনকে গুছিয়ে পেটাব। ওর ভবিষ্যদ্বাণী করা বের করে দেব। দু’-দুটো ছেলেকে ও শেষ করে দিল। দুটো ছেলে তো নয়, দুটো পরিবার। ওকে আর বাঁচিয়ে রাখা যাবে না। ওর দিন শেষ, ওকে মাল খাইয়ে নর্দমায় মুখ গুঁজে দেব। ৭২ ঘণ্টা কাটুক, নচে ফিরুক, তারপর দেখব কার অপঘাতে মৃত্যু আছে। ওই নচেকে দিয়েই আমি কাঁটা তুলে দেব। আমি ফালতু হুমকি দিচ্ছি না। পারলে তুই গিয়ে বলে আয়, বাড়িতে তালা মেরে চলে যেতে, নইলে খুন হয়ে যাবে। আমার মাথায় আগুন জ্বলছে।’
ফোন কেটে দিল। চায়ের কাপ রেখে সহজ এক পা এক পা করে সিঁড়ি দিয়ে নীচে নামছে, দেখল— মা ঠাকুরপুজোর ফুল তুলছে। সহজ এসে মায়ের পাশে দাঁড়াল। কস্তুরী বলল, ‘কী রে কিছু না খেয়ে যাচ্ছিস কোথায়?’
‘মা আমার এক বন্ধু খুব অসুস্থ। মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। আমি হাসপাতালে যাচ্ছি।’
কস্তুরী অস্ফুট একটা শব্দ করল। বলল, ‘চিন্তা করিস না, ভালো হয়ে যাবে।’
সহজ গাছ থেকে দুটো ফুল তুলে মায়ের সাজিতে দিল। বলল, ‘এই দুটো ফুল ঠাকুরকে দিও, নচের নামে।’
কস্তুরী হাসল, ‘বললাম তো, ভালো হয়ে যাবে।’
 (চলবে)
অঙ্কন: সুব্রত মাজী

12th     September,   2021
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ