বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
গল্পের পাতা
 

পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব   ৮

বাড়িতে সহজের ঠাকুমা বাসবীর দাপট চিরকালের। পান থেকে চুন খসলেই তিনি চিৎকার করে ওঠেন। তাঁর পুত্রবধূর সারাদিনটা কেটে যায় ঠাকুরঘরেই। সহজের বাবা সম্বুদ্ধ মিত্র নামী ল’ইয়ার। তিনি সেই অর্থে বাড়িতে কারও সঙ্গে কথা বলেন না। তবে, দরকার পড়লে সব বিষয়েই রয়েছেন এমন মানুষ। আর রয়েছে সহজের বোন মিমি। লেখক হওয়া নিয়ে বাবার সঙ্গে দ্বন্দ্ব সহজের। তারপর...
 বর্ণিনী স্কুটিটা নিয়ে সটান সহজের গায়ে তুলে দিচ্ছিল। সহজ চমকে উঠেছিল। বনি বলল, ‘কী রে আমাকে দেখে চমকে উঠলি!’ 
‘তোকে নয়, তোর স্কুটিকে দেখে।’ 
‘কেন স্কুটির কী হল?’ 
‘স্কুটির নয়, আর একটু হলে যা হওয়ার আমার হতো।’
‘তোর কী হবে, তোর তো শুনলাম হেব্বি ব্যাপার ক’দিনের মধ্যেই নাকি লটারি লাগিয়ে দিবি!’
‘কে বলল তোকে?’ সহজ হাসল। কিছুটা বোকার মতো। বর্ণিনীও শুনেছে তাহলে।
বনি স্কুটি স্ট্যান্ড করিয়ে তার সামনে এসে বলল, ‘হ্যাঁ তাই তো শুনলাম, আর ক’টা মাত্র দিন, হাতে গোনা। তাই ভাবলাম তোর খোঁজ করি। তোকেই খুঁজতে বেরিয়েছিলাম—’
সহজ হাসল। 
বিকেল ফুরিয়ে এসেছে। আর একটু পরেই সন্ধে নেমে যাবে। আজ দুপুরবেলা মোবাইল অফ করে তেড়ে ঘুমিয়েছে। সকালের ঘুমটা পুষিয়ে নিয়েছে। আজ পড়ানো নেই। বিকেলে বেরিয়ে ভাবছিল রবীন্দ্র লাইব্রেরিতে যাবে। অনেকদিন যায়নি। কিন্তু এখন এখানে বনির সঙ্গে দেখা হয়ে যাবে সে আশা করেনি। বনি কি সত্যি সত্যি তাকে খুঁজতে বেরিয়েছে!
‘তোর মোবাইলটা সুইচ অফ, জানিস?’
‘হ্যাঁ, আমি অফ করে দুপুরে ঘুমিয়েছিলাম। আর খোলা হয়নি বোধহয়।’
‘বোধহয় না, এখনও অফ।’
সহজ পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে অন করে। বলল, ‘কোথায় যাচ্ছিস?’
‘বললাম তো তোকে খুঁজতে বেরিয়েছি।’
‘কেন খুঁজছিস তোর বাবার লকআপে পুরবি।’
‘শোন, লকআপে ঢুকতে গেলে সাহস লাগে, তোর সেটা নেই। তোকে কোনও লকআপ নেবে না।’
এই কথাটা নতুন কিছু নয়, পুরনো। বনি সবসময়ই মনে করে সহজ ভিতু। সহজপাঠ। বনির খুব সাহস। যেখানে যখন তখন যা খুশি করতে পারে। গৌতম ওকে বলেছিল, তোর বাবা পুলিস— তুই জানিস কিছু করলে তোর বাবা তোকে ছাড়িয়ে আনবে, কোনও কেস নেই, তাই তোর এত সাহস। বনি ওকে বলেছিল— তোর বাবা ডাক্তার। তোর দু’ঠ্যাং ভাঙলে তোর বাবা সারিয়ে দেবে, তাহলে ঠ্যাং ভাঙা নিয়ে তোর ভয় পাওয়ার কিছু নেই। চল আমরা দু’জনে মিলে ঝাঁপ দিই এই ছাদ থেকে। ওরা দাঁড়িয়ে ছিল গৌতমদেরই দোতলা বাড়ির ছাদে। গৌতমকে নিয়ে বনি টানাটানি করেছিল দোতলার ছাদ থেকে ঝাঁপ দেওয়ার জন্য। গৌতম নাকি হাতে পায়ে ধরে মুক্তি পায়। কিন্তু বনি তাতেও থামেনি, ও দোতলা থেকে ঝাঁপ মেরেছিল। বাঁ পা ভেঙে প্রায় দু’মাস পড়েছিল হাসপাতালে। গোড়ালিতে একটা প্লেটও বসাতে হয়েছিল। তারপর থেকে বনিকে সবাই ভয় পায়। গৌতমদের বাড়ির ছাদ থেকে বনি ঝাঁপ মেরেছিল, ওদেরও কম ঝামেলা পোহাতে হয়নি। বনির বাবা দফায় দফায় তাদের থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে জেরা করে। আমার মেয়ে আপনাদের বাড়ির ছাদ থেকে ঝাঁপ দিল কেন? সেখানে আপনার ছেলে ছিল, সে আপনাদের কী বলেছিল? টানাটানি করেছিল? কে কাকে টেনে ছিল? এমনি এমনি ঝাঁপ দিয়ে দিল! আজব ব্যাপার!    
বনি আজব। আজ আর একটু হলে স্কুটিটা সহজের গায়ের ওপর তুলে দিত। ওর বন্ধু-বান্ধব কম। যে ক’জন আছে তারা সবাই বনিকে সমঝে চলে। শেষে নাকি বনিই ওর বাবাকে বলেছিল, সে নিজেই ঝাঁপ মেরেছে— স্রেফ মজা! সাহসটা চেক করে নিল। আর কিছু না।
মজা! সাহসটা চেক করতে কেউ ছাদ থেকে ঝাঁপ দেয়! বনি বলে, পারি কি না দেখে নিলাম।
এই আজব বনির সঙ্গে কিছু আজব লোকের ভাব আছে। তারা সবাই-ই সাহসী। তাদের মধ্যে একমাত্র ভিতু সহজ। তবে সে-ও তো কম আজব নয়।
সহজ বলল, ‘আমি বলে দিতে পারি— তুই আমাকে খুঁজছিলিস না, কোথাও যাচ্ছিলিস। সেটা কোথায়, সেটাও বলতে পারি।’
বনি কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়াল, ‘বল।’
‘বিচিত্রদার বাড়ি।’
এদিকেই বিচিত্র ঘোষালের বাড়ি। কিন্তু সেটা এখান থেকে অন্তত আধ ঘণ্টা হাঁটতে হবে। বাইকে গেলে পাঁচ-সাত মিনিট।
সহজের কথায় বনি হাসল, হাত বাড়াল সহজের গাল টিপে দেওয়ার জন্য। সহজ ঝটতি নিজেকে সরিয়ে নিল। বনি বলল, ‘তোকে ফোন করছিলাম আমার সঙ্গে বিচিত্রদার বাড়ি যাওয়ার জন্য। ভালোই হল, যাবি? বিচিত্রদার শুনলাম খুব জ্বর। একা মানুষ—’  
সহজ বলল, ‘চল।’
বিচিত্র ঘোষাল বিচিত্র মানুষ। তিনি এখনও বিশ্বাস করেন বিপ্লব হবে। ক্ষেত্র প্রস্তুত, শুধু একজন গণনেতার অভাব। এই গণনেতা যে কোনও সময় যে কোনও আন্দোলন থেকে উঠে আসবে।  বনির বাবা এই বিচিত্র ঘোষালকে সহ্য করতে পারে না। তার স্পষ্ট কথা, পুলিস তক্কে তক্কে আছে, যে কোনওদিন লোকটাকে তুলে নিয়ে এসে পেটাবে বলে। অবশ্য লোকটার এত বার পাবলিকের কাছে পেটানি খেয়েও শিক্ষা হয়নি। লাস্ট বার গিয়েছিল লোকাল এক ডক্টর্স চেম্বারে আন্দোলন করতে। সেখানে তাঁর দাবি ছিল— এদিককার বস্তির লোকজন খুব গরিব, আপনারা এদের জন্য ফিজ নেবেন না। আর যদি নেন তবে সেটাও সামান্য। টোকেন মানি। 
এই নিয়ে বিস্তর গোলমাল হয়। যাঁর চেম্বার, যিনি ডাক্তার বসাচ্ছেন তিনি থানা পুলিস করেন। কিন্তু তাতেও বিচিত্র ঘোষালকে দমানো যায়নি। সেইসঙ্গে তার আরও দাবি ছিল— একটু সস্তার ওষুধ দিন। ডাক্তারবাবুরা বিচিত্রদার হাতের প্রেশক্রিপশনগুলো নিয়ে দেখে বলেছিল— এই অসুখে এগুলোই ওষুধ।  বিচিত্রদা নাকি বিনয়ের সঙ্গে ডাক্তারদের বলেছিলেন— একই কম্পোজিশনে এই এই ওষুধ আছে, সেই নামগুলোও লিখে দিন। বিচিত্রদা নাকি গড় গড় করে চেম্বারের ডাক্তারদের কম্পোজিশন বলে দিয়েছিলেন। তাতে ডাক্তাররা মারাত্মক খাপ্পা, তাঁদের জ্ঞান দেওয়া হচ্ছে? যে চোদ্দোজন ডাক্তার ওই চেম্বারে বসা শুরু করেছিল, তারা সবাই একদিনে আসা বন্ধ করে দেয়। 
চেম্বার বন্ধ হয়ে যেতে এতে খাপ্পা হয়ে এলাকার লোকজন বিচিত্রদাকে ধরে একদিন পিটিয়ে দেয়। সেই নিয়েও থানা পুলিস।  বনি নাকি বিচিত্র ঘোষালের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল। লোকাল পুলিস বনির বাবাকে জানিয়েছিল— স্যার আপনার মেয়ে একটা পাগলের সঙ্গে জুটেছে। শেষে মেয়েকে বাঁচাতে বনির বাবা কেসটাও সালটায়। সেই থেকে বনির বাবা খাপ্পা হয়ে আছে বিচিত্র ঘোষালের ওপর। তাতে অবশ্য বনিকে থামাতে পারেনি। তখনই বনির বাবা খোঁজ নিয়ে জানতে পারে বিচিত্র ঘোষাল নাকি পাবলিকের হাতে এই প্রথম মার খেল না, এর আগেও লোকটা জনগণের স্বার্থে লড়তে গিয়ে তিন-চারবার মার খেয়েছে। কিন্তু তাতেও লোকটাকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারেনি।
বিচিত্র ঘোষালকে চেনে সহজ। মানুষটাকে দেখেছে। কোনওদিন তাঁর বাড়ি যায়নি। উনি মাঝে মাঝেই পরমেশ্বরের অফিসে আসেন। এসে সবার শেষে একটা চেয়ারে চুপ করে বসে থাকেন। চা এলে খান, আর খুব মন দিয়ে খবরের কাগজ পড়েন। সিগারেট দিলে প্রত্যাখ্যান করে তাঁর দিকে বিড়ি এগিয়ে দেন।
সহজের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সময় পরমেশ্বর শান্ত গলায় বলেছিল— বিচিত্রদা সেই বিরল মানুষ যারা এখনও মনে করে বিপ্লব হবে। কখন হবে, কীভাবে হবে কেউ জানে না, শুধুমাত্র একটা স্ফুলিঙ্গ। সেই স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানল হয়ে যাবে।
বিচিত্র ঘোষাল শান্ত চোখে সহজের দিকে তাকিয়েছিলেন। ঝকঝক করছে দু’চোখ। কাঁচা পাকা না-কাটা দাড়ি ভর্তি গালে জানলার গরাদ ডিঙিয়ে রোদ এসে পড়েছে। তিনি ফিসফিস করে বলেছিলেন— আসলে একজন নেতা চাই। যার বুকের ভেতর আগুন আছে, আর যে হবে সংগঠক।
পাশ থেকে কে যেন বলল— কেন পরমেশ্বরদা আছে, হবে না। 
—হবে। নিশ্চিত হতে পারত। কিন্তু ও এখন কোরাপশনে ডুবে গিয়েছে। এখন গণনায়ক হতে হলে ওকে আগুনে শুদ্ধ হতে হবে। সেই আগের পরমেশ্বর আর নেই। যাকে আমি চিনতাম।
বিচিত্র ঘোষালের কথায় পরমেশ্বর হাসে, আর দু’পা নাড়ায়। ওর চোখের ভেতর সরু হয়ে আলো খেলা করে।
কোরাপশন! কোরাপশন! বিচিত্র ঘোষাল মাথা নাড়ান। কেউ না কেউ আসবেই। গণনায়ক! জায়গা ফাঁকা থাকবে না।
প্রফুল্ল সেন কলোনির প্রায় শেষপ্রান্তে বিচিত্র ঘোষালের বাড়ি। কাঁচা নর্দমা টপকে ওরা দু’জনে গিয়ে দাঁড়াল দরজার সামনে। সহজ কড়া নেড়ে ডাকতে যাচ্ছিল, কিন্তু বনি সটান ঢুকে পড়ল বাড়ির ভেতর।
ঘরে চৌকির ওপর বিচিত্র ঘোষাল শুয়ে। মাথার ধারে জলের বোতল, কিছু ওষুধ আর প্লাস্টিকের প্যাকেটে একটা অর্ধেক খাওয়া পাউরুটি।
বনি বলল, ‘কেমন আছ বিচিত্রদা?’
‘একদম ঠিক আছি। সামান্য সর্দি জ্বর। কে তোমাকে খবর দিল?’
‘ক’দিন পড়ে আছ? ডাক্তার দেখিয়েছ?’
‘ডাক্তার লাগবে না, আমি বুঝে গিয়েছি কী হয়েছে। প্যারাসিটামল। ব্যস। খাচ্ছিও তো।’
বনি এগিয়ে গিয়ে বিচিত্র ঘোষালের কপালে গলায় হাত রাখে। ‘ঠিক আছ বলছ, এই তো বেশ জ্বর। একবার ডাক্তার দেখিয়ে নেবে? আমার স্কুটিতে বসতে পারবে? আমি তোমাকে ভবেশ ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতাম।’
বিচিত্র ঘোষাল হাসলেন, ‘ভবেশ প্যারাসিটামল ছাড়া আর কী দেবে? ভিটামিন টনিক দেবে? ওষুধ কোম্পানির থেকে কমিশন খায় তো। আর অ্যান্টাসিড, এই। আমি তো খাচ্ছিই।’
সহজ বলল, ‘হোক, তবু আপনি একবার দেখিয়ে নিন।’
সহজের কথায় ভ্রূ কুঁচকে তাকালেন বিচিত্র ঘোষাল। বনি বলল, ‘আমার বন্ধু। তুমি তো চেনো।’
সহজ বলল, ‘আপনার সঙ্গে পরমেশ্বরদার অফিসে আলাপ হয়েছিল—।’
বিচিত্র ঘোষাল মাথা নাড়লেন। হাত ইশারা করে বসতে বললেন।
বনি বলল, ‘তাহলে কি ডাক্তার দেখাতে যাবে? স্কুটিতে না যেতে পারলে রিকশ ডেকে নিয়ে আসতে পারি।’
মাথা নাড়ালেন বিচিত্র ঘোষাল। ‘আর একদিন, ফিট হয়ে যাব। চিন্তা করো না।’
বনি বলল, ‘কাল আমি তোমায় দুপুরে খাবার দিয়ে যাব। পেট ভরে ভাত খাও ফিট হয়ে যাবে।’
‘চা খাব।’
‘চা!’ বনি এদিক ওদিক তাকাল। বলল, ‘চায়ের ব্যবস্থা আছে, তাহলে আমি করছি।’
‘করতে হবে না। আমাদের বাড়ির পিছন দিকে দোকান আছে। ওদের বলে এলেই হবে।’
‘গুড। সেই ভালো আমি যাচ্ছি।’
‘তুই বোস, আমি যাচ্ছি।’ সহজ উঠে গেল। 
ছোট্ট চায়ের দোকান। সহজ চা, চার পিস বাটার টোস্ট আর দুটো ডিম সেদ্ধর অর্ডার দিয়ে এল। মানুষটা না খেয়ে পড়ে আছে। সেই সঙ্গে কথা বলে এল রাতে বিচিত্রদার ঘরে রুটি আর আলুরদম দেওয়ার জন্য। ফিরে এসে বিচিত্রদাকে বলল, ‘আপনার খাবার রাতে ওরা দিয়ে যাবে।’
সহজের কথা শুনে বিচিত্রদা কিছু বলতে যাচ্ছিলেন, বনি কড়া গলায় ধমক দিল। ‘তোমার কী অসুবিধে বলো তো? আমরা কোরাপটেড নই। হ্যাঁ, আমার বাবা ঘুষখোর। কিন্তু তার ঘুষের টাকা এনে তোমাকে খাওয়াচ্ছি না। তুমি চুপচাপ খেয়ে নেবে।’ বনির ধমক খেয়ে বিচিত্রদা অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে থাকলেন। চা এল, সঙ্গে টোস্ট, ডিম সেদ্ধ। খাবার দেখে বনি খুশি, ‘বাহ্‌ তুই তো বেশ গুছিয়ে এনেছিস।’
বিচিত্র ঘোষাল উঠে বসলেন, খুব আস্তে আস্তে খাবারটুকু খেলেন। 
সহজ বলল, ‘আপনার সঙ্গে পরমেশ্বরদার অনেক দিনের চেনাশোনা?’
ঘাড় নাড়ল বিচিত্র ঘোষাল। ‘পুরনো কমরেড।’
সহজ বলল, ‘ওদের কাছে একজন আসেন— ক্যাপ্টেন। চেনেন?’
হাতের খাবার ফেলে ঠিকরে উঠল বিচিত্র ঘোষাল। ‘ক্যাপ্টেন। চিনি। একটা হারামজাদা। নিজেকে সাধু বলে। আসলে ও পিশাচ!’
‘উনি তো নিজেই নিজেকে পিশাচই বলেন। ভালো কিছু বলেন না।’
‘ও একজন ব্ল্যাকমেলার। ব্ল্যাকমেল করে। কাঁচা মাথায় চিবায়।’
সহজ চুপ করে থাকে।
‘তুমি কি তন্ত্র মন্ত্র মানো?’ বিচিত্র ঘোষাল তীক্ষ্ণ গলায় প্রশ্ন করল। 
‘আমি তন্ত্র মন্ত্রের ব্যাপারে একদমই অজ্ঞ। তাই মানা, না-মানার কোনও প্রশ্ন নেই।’
বিচিত্র ঘোষাল থমথমে মুখে বসে থাকেন। বললেন,  ‘মানুষটা ভালো নয়। ও মানুষকে ভয় ধরায়। ও শরীরের রক্ত শুষে নেয়।’
‘উনি রক্ত শুষে নেয়— এটা আপনি বিশ্বাস করেন?’
‘ওর পাল্লায় যারা পড়ে, তারা আর মানুষ থাকে না, মানুষের খোলসে অমানুষ হয়ে যায়। ভেড়া! ভেড়া বোঝো, ও ভেড়া করে দেওয়ার বিদ্যা জানে।’                 (চলবে)

11th     April,   2021
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ