সুন্দরবনে জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ। একসময় এই অঞ্চলে ব্যাঘ্র আতঙ্ক থেকে মুক্তির ভরসাস্থল ছিলেন বাবা দক্ষিণরায়। যাঁর মন্দির আজও আছে ধপধপিতে। সেই সঙ্গে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য কিংবদন্তি।
সোহম কর: যে সময়ের ঘটনা তখন বারুইপুরের জমিদার ছিলেন মদনমোহন রায়চৌধুরী। সেই সময় সুন্দরবনের বিস্তৃতি ছিল প্রায় শহর কলকাতার সন্নিকটে। জমিদার দেখলেন বারুইপুরের অদূরে বেশ কিছুটা এলাকা জঙ্গল হয়ে পড়ে রয়েছে। এখান থেকে কোনও রাজস্ব আদায় হচ্ছে না। তাই তিনি ওই এলাকার জঙ্গল সাফ করার মাধ্যমে ধবধবে পরিষ্কার করে দিলেন। কথিত আছে, সেই থেকেই এই জায়গার নাম ধপধপি। এই ঘটনা প্রায় ৪০০ বছর আগের। এই জঙ্গল সাফ করার কাজ ধীরে ধীরে এগচ্ছিল। এখন ধপধপিতে যেখানে দক্ষিণরায়ের মন্দির রয়েছে, ঠিক সেই জায়গাতে এসেই জমিদারের কর্মীরা বাধার সম্মুখীন হলেন। দেখা গেল, একটা উঁচু পাথরের চারপাশে কাঁটা জাতীয় গাছে বোলতা-ভীমরুল-মৌমাছি বিরাট সব চাক বেঁধে রেখেছে। সেখানে ঢোকাই যাচ্ছে না। কিন্তু স্থানীয় মানুষজনের কোনও অসুবিধা হয় না। জমিদারের বাহিনী যতই আগুন জ্বালাক কিছুতেই সেই চাকগুলিকে নষ্ট করতে পারে না। এক তরুণ কর্মী অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে একটি গাছের গায়ে কুঠারের কোপ মারে। অলৌকিক কাহিনির শুরু এখান থেকেই। গাছের গা থেকে রসের বদলে বেরিয়ে আসে রক্ত। আর সেই তরুণ তত্ক্ষণাত্ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। জমিদারের কাছে এই মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই তিনি ওই জায়গাটির খানিকটা দূরে হত্যে দিয়ে পড়ে রইলেন। বুঝতেই পারছেন না, এখানে কী এমন রয়েছে, যার ফলে একটি তরতাজা প্রাণ চলে গেল। সেটা জমিদারের অবস্থানের সপ্তম দিন। রাতে তাঁর স্বপ্নে এলেন বাঘের রাজা। তিনি জমিদারকে নির্দেশ দিলেন, আমার নাম দক্ষিণরায়। আমি এখানেই থাকি। আমাকে প্রতিষ্ঠা করো। তারপর পয়লা মাঘ মন্দির প্রতিষ্ঠা করে শুরু হল লোকদেবতা দক্ষিণরায়ের পুজো। যে দিনটি আজও জাঁতাল উত্সব হিসেবে পালন হয়ে আসছে।
সুন্দরবনে কথিত আছে, একবার বাঘের চোখে চোখ রাখলে সেই গল্প নাকি ফিরে এসে আর পাঁচজনকে বলা যায় না। তাই বনজীবী মানুষজন বাঘের থাবা থেকে রক্ষা পেতে সরল বিশ্বাসে পুজো দিতেন বাবা দক্ষিণরায়কে। রূপকথার গল্পে বর্ণিত রাজকুমারের মতোই সুপুরুষ-দীর্ঘকায় যোদ্ধাদের মতো চেহারা দক্ষিণরায়ের। এই ধপধপিতেই তাঁর প্রথম মন্দির স্থাপন হয়। যে মন্দির মানুষের ভরসা ও বিশ্বাসের জোরে আজও রয়ে গিয়েছে। মন্দিরের গর্ভগৃহে রয়েছে প্রায় আট ফুট উচ্চতার বাবা দক্ষিণরায়ের মাটির মূর্তি। মূর্তির বয়স ৯৮ বছর। মূর্তির সাজসজ্জা প্রথাগত হিন্দু দেব-দেবীর তুলনায় একেবারেই অন্যরকম। ডান পা মাটিতে মুড়ে বাঁ-পা সামনে এগিয়ে বসে রয়েছেন সুন্দরবনের এই অসমসাহসী যোদ্ধা। দক্ষিণরায়ের বাহন বাঘ। বড় বড় চোখ, টানা ভ্রু, কপালে লাল টিকা, দুধসাদা গায়ের রং আর ইয়াব্বড়ো গোঁফের দিকে তাকালেই রোম খাড়া হয়ে যায়। দক্ষিণরায়ের হাতে থাকে বিরাট বন্দুক আর কোমরে তরবারি। সঙ্গে তির-ধনুক, ত্রিশূল, ঢাল আরও কত কী! হলদে রঙের আঁটসাঁট ব্রিচেসের উপর হলদে রঙের বেনিয়ান পরা। তার উপর থাকে সোনালি রঙের ফুল আঁকা হাফহাতা কালো পিরান। মাথায় থাকে বিরাট মুকুট, কানে কুণ্ডল বীর বৌলি, হাতে আংটি এবং গলায় সোনার হার। তাঁর পরনে থাকে সাদা ধুতি। পায়ে নীল রঙের মোজা আর কালো রঙের ফিতে বাঁধা শিকারির বুট। তাঁর পোশাকে আধুনিক শিকারি ও পুরনো বীরের সজ্জার সমন্বয় ঘটেছে। প্রতি বছর নতুন রঙের প্রলেপ পড়ে এই দেবমূর্তিতে। মন্দিরের প্রবেশদ্বারের দুই প্রান্তে রয়েছে ব্যাঘ্র মূর্তি। সামনের উন্মুক্ত দালানে রক্তবর্ণের হাড়িকাঠ।
বহুবছর আগে যে ধপধপি অঞ্চলটি ছিল গহিন অরণ্য, এখন লোকবসতির চাপে সেখানে অরণ্যই ব্যাকফুটে। স্থানীয় মানুষজনের কাছে বাঘের রাজা দক্ষিণেশ্বর বা দক্ষিণদার নামেও পরিচিত। জঙ্গল যত পিছনে সরেছে দক্ষিণেশ্বরের মহিমাও ততই জনপদে মিশেছে। আগে জীবিকার টানে কেউ কাঠ-মোম-মধু সংগ্রহের জন্য জঙ্গলে ঢোকার আগে এই বাঘের দেবতাকে পুজো নিবেদন করে যেতেন। মানত করতেন, এ যাত্রায় যেন বাঘের দেখা না মেলে। নিরাপদে ফিরে ফের পুজো দিতে আসতে হতো।
পয়লা মাঘ জাঁতাল উত্সবের দিন দক্ষিণরায়ের জন্মতিথিতে রাত আড়াইটের সময় আয়োজন করা হয় বিশেষ পুজোর। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখনও এই দিনে বাবার কৃপাধন্য হতে সাধকরা হাজির হন ধপধপিতে। জাঁতাল উৎসবে সুন্দরবনের এই লোকদেবতাকে ঘিরে এক এলাহি আয়োজনের ব্যবস্থা করা হয়! অনুষ্ঠিত হয় যাত্রা ও কবিগান। পুজোর পর ভোর চারটের সময় ভোগ বিতরণ করা হয়। এদিন ভোগে মাংস, শোল মাছ পোড়া, সমুদ্রের কাঁকড়া পোড়া যেমন থাকে, তেমনই থাকে কারণবারি। মাংস ভোগ নিয়েও একটি গল্প রয়েছে। এক সময় এই অঞ্চলে বাঘের আনাগোনা ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। তাই পুজোয় ভোগ হিসেবে যে মাংস দেওয়া হতো, সেই মাংস মন্দিরের সামনে হাড়িকাঠের কাছে কলাপাতায় সাজিয়ে রাখতে হতো। বাঘ এসে সেই ভোগ খেয়ে যেত। তবে, এখন সেটা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। তাই এখন ওই জায়গাতেই পাঁচটি স্থানে নারায়ণ, শিব, বড়বাবা, বগলামুখী ও আদ্যামার উদ্দেশে ভোগ নিবেদন করা হয়।
যুগ যুগ ধরে সুন্দরবনের এই লোকদেবতার পুজো হয়ে আসছে। প্রথমে কোনও মূর্তি ছিল না। এক টুকরো পাথরের উঁচু ঢিবিতে পুজো করতেন বনজীবী মানুষজন। পরবর্তীকালে ১৯০৯ সালে বর্তমান মন্দিরটি তৈরি করা হয়। মনে রাখতে হবে, প্রথম যুগে এই লোকদেবতার উপাসকরা কিন্তু একটি নির্দিষ্ট ধর্মাবলম্বী ছিলেন না। হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টান নির্বিশেষে সমস্ত ধর্ম ও বর্ণের মানুষ দক্ষিণরায়কে পুজো দিতে আসতেন। যদিও এখন বৈদিক মন্ত্রেই বাবা দক্ষিণরায়ের নিত্যপুজো হয়।
জমিদার মদনমোহন রায়চৌধুরী তো মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করলেন। তবে কিংবদন্তির শেষ এখানেই নয়! এ যেন সবই অদৃষ্টের লিখন। এই ধপধপি থেকে অনেক দূরে হরিণঘাটার কাছে লাউপালা নামে একটি গ্রামে দুই ভাই সম্পত্তি নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। এক ভাই প্রাণের ভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন। নদীপথে সেই ভাই এসে পৌঁছয় ধপধপির কাছে সূর্যপুর খালে। এই খাল এখনও রয়েছে। সেই ব্রাহ্মণ তরুণ ভাবলেন, এই পৃথিবীতে তাঁর আপন বলে আর কেউ রইল না। পুজোআচ্চা করেই বাকি জীবনটা কাটিয়ে দেবেন। তিনিই এই ধপধপির মন্দিরে প্রথম পুরোহিত হিসেবে নিযুক্ত হন। সেই তরুণ পুরোহিতের নাম ছিল উদ্ধবকুমার ভট্টাচার্য। পরবর্তীকালে উদ্ধবপণ্ডিত নামে মানুষের কাছে পরিচিতি লাভ করেন তিনি। উদ্ধবপণ্ডিত একসময় বিয়ে করেন এবং এই ধপধপিতেই সংসার পাতেন। এখন তাঁরই বংশধররা এই মন্দিরের নিত্যপুজোর দায়িত্বে রয়েছেন।
গবেষকদের অনেকে মনে করেন, দক্ষিণরায় আদতে আদি-পাঠান যুগের এক পরাক্রান্ত রাজা। সেইসময় মুসলিম বাহিনীর সঙ্গে তাঁর যুদ্ধ হয়েছিল। সেই কারণেই দক্ষিণরায়ের পূর্ণ মূর্তিটিকে সর্বদা যোদ্ধা বেশে দেখা যায়। এই লোকদেবতাকে ঘিরে আর একটি দলের ধারণা, দক্ষিণরায় ছিলেন নেহাতই একজন সাধারণ মানুষ। তাঁর বাবার নাম ছিল প্রভাকর রায়। দক্ষিণরায় ত্যাগ, মায়া, মমতা, সেবাদানের মাধ্যমে মানুষের মনে দেবতার আসন পেয়েছেন। বাংলাদেশের ব্রাহ্মণনগরের রাজা ছিলেন মুকুট রায়। দক্ষিণরায় হলেন সেই রাজারই একনিষ্ঠ সেনাপতি। মুকুট রায় দেখলেন, এত বড় রাজ্য চালনা করতে গিয়ে মেদিনীপুরের ঘাটাল থেকে সুন্দরবনের এই বিস্তীর্ণ এলাকায় তাঁর রাজস্ব আদায় ঠিকমতো হচ্ছে না। তখন দক্ষিণরায়কে এই এলাকায় রাজস্ব আদায়ের জন্য তিনি নিয়োগ করেন। দক্ষিণরায় ছিলেন আজীবন ব্রহ্মচারী। শোনা যায়, ওষুধ নিয়ে তাঁর গবেষণা ছিল। তাই এখনও ধপধপির মন্দির থেকে নানা রকমের ওষুধ ও তেল দেওয়া হয়। এভাবেই সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষজনের খুব কাছে চলে আসেন দক্ষিণরায়।
একসময় বাঘের রাজার পুজোয় নরবলি হতো বলেও শোনা যায়। সুন্দরবনের অধিশ্বরী বনবিবির সঙ্গে দক্ষিণরায়ের সংঘাতের কারণও একটি নরবলিকে ঘিরেই। মুন্সী বয়নদ্দিনের ‘বনবিবির জহুরিনামা’য় সেই ঘটনা বর্ণিত রয়েছে। কলিঙ্গ নিবাসী ব্যবসায়ী ধনা ও মনা এক দুঃখিনী বিধবার পুত্র দুখেকে দক্ষিণরায়ের কাছে বলি দিতে নিয়ে যান। সেই বালকের কান্নার আওয়াজে বিচলিত হয়ে পড়েন বনবিবি। তিনি তাঁর চর জঙ্গলিশাকে ঘটনাটি সরেজমিনে দেখতে পাঠান। জঙ্গলিশা সেই বালককে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন বনবিবির কাছে। বেজায় চটে যান দক্ষিণরায়। তিনি আবার পুরো ঘটনা কুমারখালির বরখাঁ গাজিকে জানিয়ে নালিশ করেন। বরখাঁ গাজি এই ঘটনার বিহিত করতে দক্ষিণরায়কে নিয়ে কেঁদোখালির চরে উপস্থিত হন। সেখানে গিয়ে দেখেন বনবিবির কোলে দুখে বসে রয়েছে।
‘কহেন বরখাঁ গাজী শুন নেকমাই।
তোমার হুজুরে মাগো এই ভিক্ষা চাই।।
দক্ষিণরায়ের পর কোপ কর দূর।
এখাতের আইলাম তোমার হুজুর।।
এতেক শুনিয়া মায়ের দয়া উপজিল।
সদয় হইয়া মাতা বলিতে লাগিল।।
আঠার ভাটির মধ্যে আমি সবার মা।
মা বলে যে ডাকে তার দুঃখ থাকে না।।
সঙ্কটে পড়িয়া যেবা মা বলে ডাকিবে।
কদাচিত্ হিংসা তায় কভু না করিবে।।
রায় বলে শুন মাতা আর্জি আমার।
সত্য সত্য তিন সত্য সত্য অঙ্গীকার।।
বনেতে আসিয়া যে বা মা বলে ডাকিবে।
আমা হৈতে হিংসা তার কদাচ না হবে।।’
এভাবেই বনবিবি ও দক্ষিণরায়ের সংঘাত মিটে যায়। বনবিবির আদেশে ধনা ও মনার মেয়ের সঙ্গে দুখের বিয়ে হয়। বনবিবি ও দক্ষিণরায়ের ঝগড়ার কারণ হিসেবে অন্য একটি গল্পও প্রচলিত রয়েছে। বলা হয়, দক্ষিণরায় জন্তুজানোয়ারকে ভালোবাসতেন। একদিন একটি বাঘ এক বালককে আক্রমণ করে। সেই বালককে ঘিরেই নাকি বনবিবির সঙ্গে যুদ্ধ হয় দক্ষিণরায়ের। সেই যুদ্ধে পরাজিত হন দক্ষিণরায়। মধ্যযুগে রচিত কৃষ্ণরাম দাসের ‘রায়মঙ্গল’-এ দক্ষিণরায়কে মানুষ রূপেই বর্ণিত করা হয়েছে। এই গ্রন্থে দক্ষিণরায়ের রাজধানী হিসেবে ‘খাড়ি’ নামক একটি স্থানকে বর্ণিত করা হয়েছে। গাজি ও দক্ষিণরায়ের যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে ‘খনিয়ার প্রান্তর’ বা পল্লি আজও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় রয়েছে। এখানে ‘মুকুট রাজার দিঘি’ নামে এক বিরাট জলাশয় রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বরখাঁ গাজির সঙ্গেও দক্ষিণরায়ের যুদ্ধ হয়েছিল এবং পরে তাঁদের সন্ধি হয়।
ধপধপির মন্দিরের এই মাটির মূর্তিটি একবার শ্বেতপাথর দিয়ে তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেইজন্য মন্দিরের পুরোহিতরা জব্বলপুরেও গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে শিল্পী নির্বাচন করা হয়। পাথর বাছা হয়। তখনই আসে দক্ষিণরায়ের স্বপ্নাদেশ, ‘আমি পাষাণ নই। আমি মাটির মূর্তি হিসেবেই থাকব।’ এখন সুন্দরবনের জঙ্গল অনেক দূরে সরে গিয়েছে। সেই সঙ্গে দূর হয়েছে ব্যাঘ্রভীতি। তবে, বাবা দক্ষিণেশ্বরের কাছে মানত করলে সমস্ত রোগ সেরে যায় এবং মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়—এমন বিশ্বাস আজও রয়ে গিয়েছে। মন্দিরের দেওয়ালে অজস্র মানতের সুতো বাঁধা পাথরের টুকরো তারই নিদর্শন। দক্ষিণেশ্বর অনেকের কাছে কল্পতরু বলেও পরিচিত।
দক্ষিণরায়-দক্ষিণদার-দক্ষিণেশ্বর-কল্পতরু-দক্ষিণারঞ্জন রায়—এই এতগুলো নামে তিনি মানুষের মনে বেঁচে রয়েছেন। জঙ্গলে বাস থাকাকালীন তিনি ছিলেন বনজীবী মানুষের রক্ষাকর্তা। তিনি বাঘ নিয়ন্ত্রণ করতেন বলেই বনজীবীরা নিরাপদে জীবিকার সন্ধানে গভীর জঙ্গলে প্রবেশ করতে পারতেন। জনপদে মিশে যাওয়ার পর তাঁর অপার মহিমা মনুষ্য দেহের ব্যামো নিবারণে নিয়োজিত হয়েছে। কালের নিয়মে এই সব ঘটনা বা গল্প হয়তো মাটি চাপা পড়ে গিয়েছে। কিন্তু দক্ষিণরায়ের স্বপ্নাদেশ ঘিরে জাত-ধর্ম নির্বিশেষে অগণিত মানুষের আবেগ-বিশ্বাস কখনও মাটি চাপা পড়বে না। এখনও তিনি মানুষের স্বপ্নের জঙ্গলে বাস করেন। অসহায় মানুষের মাথার উপর তাঁর অদৃশ্য কৃপার হাত যেন সর্বদা রয়েছে।
কৃতজ্ঞতা: ধপধপির মন্দিরের পুরোহিত মানস পাঠক।
গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল
সহযোগিতায় : উজ্জ্বল দাস