মিয়া বাই তানিশক-এর ভ্যালেন্টাইন কালেকশন
প্রেমের মাস ফেব্রুয়ারি। এই মাসে প্রিয়জনের হাতে পছন্দের উপহার তুলে দিতে কে না চায়! এই মরশুমে মিয়া বাই তানিশক এনেছে ‘রেয়ার পেয়ার’ কালেকশন। প্রিয়জনের সঙ্গে নিজের প্রিয় মুহূর্ত কাটানোর জন্য এই কালেকশন অনুপ্রাণিত হয়েছে ‘তুয়া এ মুয়া’ (ফরাসি জনপ্রিয় এই শব্দবন্ধের অর্থ, তুমি এবং আমি) থেকে। পিঙ্ক স্যাফায়ার্স, লন্ডন ব্লু টোপাজ ও লাল গার্নেটের সঙ্গে হীরের মিশেলে তৈরি এই গয়নাগুলির নকশায় পাবেন দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারের সামগ্রীর নানা মোটিফ। আংটি, দুল, পেন্ডেন্ট, চুড়ি ও নাকছাবিতে হীরের দ্যুতি যেন প্রেমকে আরও উজ্জ্বল ও ঝকঝকে করে তোলার বার্তাই দেয়। তানিশক-এর সবক’টি স্টোর ও অনলাইনে এই কালেকশন পাওয়া যাচ্ছে। মিয়া বাই তানিশক-এর বিজনেস হেড শ্যামলা রমানান জানান, ‘আমাদের রেয়ার পেয়ার কালেকশনটি অনন্য প্রেমের গল্পের প্রতীক হিসাবে ডিজাইন করা হয়েছে। আশা করি গ্রাহকদের পছন্দ হবে।’
আইআইএইচএম-এর মেক্সিকান ফুড ফেস্টিভ্যাল
সম্প্রতি সিটি সেন্টার ১-এ অনুষ্ঠিত হল মেক্সিকান ফুড ফেস্টিভ্যাল। সৌজন্যে আইআইএইচএম। প্রায় এক মাস ধরে ছাত্রছাত্রীরা বিশেষ শেফদের তত্ত্বাবধানে মেক্সিকান খাবার বানানো শিখেছেন। ছিলেন বিধাননগর পুরচেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সেক্রেটারি নীলাঞ্জন শান্ডিল্য, শিল্পী শুভাপ্রসন্ন, দ্য পার্ক-এর এগজিকিউটিভ শেফ বলবীর সিং ও ফুড ব্লগাররা। মেক্সিকান লেন্টিল স্যুপ, নাচোস, এম্প্যানাডা, টোস্টাডাস, মেক্সিকান ফ্রায়েড রাইস, চিকেন ও ফিশ স্টেকের মতো ৮০টিরও বেশি মেক্সিকান খাবারে সেজে উঠেছিল সব স্টল। এলাকাটিও সাজানো হয় মেক্সিকোর স্থানীয় জিনিস ও মোটিফের আদলে। এই উৎসবে পুরস্কৃত হলেন আইআইএইচএম-এর ছাত্রছাত্রীরা। ফুড ফেস্টিভ্যাল নিয়ে সংস্থার অধ্যক্ষ ডি জে গোমস বলেছেন, ‘এবার বিপুল আগ্রহে সব ছাত্রছাত্রী অংশ নিয়েছে। পরেরবার মোগলাই খাবার নিয়ে ফেস্টিভ্যাল করার ইচ্ছে আছে।’
সবুজায়নে এগিয়ে এল গ্রিন আপ
ঘরে বসেই ঘরকে সবুজে মুড়ে ফেলতে চাইলে পাশে পাবেন ‘গ্রিন আপ’-কে। বাংলার নিজস্ব গ্রিন স্টার্টআপ ‘গ্রিন আপ’-এর উদ্দেশ্য সবুজায়ন। খুব কম যত্ন ও দেখভাল প্রয়োজন হয় এমন কিছু ইন্ডোর প্ল্যান্টের সম্ভার মিলবে এখানে। বনসাই, ক্যাকটাস ও দুষ্প্রাপ্য কিছু গাছও পাবেন এদের কাছে। গাছের দেখাশোনার ভারও নিতে প্রস্তুত গ্রিন আপ। এই স্টার্ট আপে পাবেন প্রশিক্ষিত মালিদের। বাড়ির বাগান পরিচর্যা করাতে পারেন তাঁদের দিয়েও। গ্রিন আপের ল্যান্ডস্কেপিং দিয়ে সাজিয়ে তুলতে পারেন আপনার বাড়ির বাগান, বারান্দা এমনকী দেওয়াল পর্যন্ত। গ্রিন আপ-এর কর্ণধার সমর্পিতা চন্দ বললেন, ‘একটা ফুলের তোড়া খুব বেশি হলে ৪-৫ দিন থাকবে। তারপর সেটা ফেলে দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু একজনকে গাছ উপহার দিলে তাঁর শরীর ও মন দুই-ই তরতাজা থাকবে অনেকদিন। আশা করি গ্রাহকদের চাহিদা অনুসারে গাছের জোগান দিতে পারব।’ এদের ঠিকানা: লা হয়া, ব্যানার্জী পাড়া, বোড়াল, (শান্তি সংঘ ক্লাবের পাশে) গড়িয়া। যোগাযোগ: ৬২৮৯৩৪৩০২৫।
রেড ওকারের ফোক আর্ট ও ফিউশন প্রদর্শনী
সম্প্রতি আইসিসিআর-এর অবনীন্দ্রনাথ গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত হল রেড ওকারের ফ্যাশন-লাইফস্টাইল প্রদর্শনী ‘ইকুইলিব্রিয়াম’। উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। এটি বিশেষ ফোক আর্ট বেসড লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড। ফ্যাশন ওয়াকে রেডওকারের মূল উদ্যোক্তা শর্মিষ্ঠা রায় চৌধুরীর সৃষ্টি নজর কাড়ে সকলের। অংশ নেন চৈতালি দাশগুপ্ত, অলকানন্দা রায়, সুদর্শন চক্রবর্তী, রূপা চক্রবর্তী, অর্ণব বন্দ্যাপাধ্যায় প্রমুখ। প্রদর্শনীতে ছিল গ্রামীণ শিল্পীদের হাতে তৈরি পোশাক, গহনা, টেবিলওয়্যার (সিরামিক ও কাঠ খোদাই), আসবাব, ধাতব কারুশিল্প, মৃৎশিল্প, লাইট শেডস, ব্যাগ, পেন্টিং ইত্যাদি। তাঁতি এবং শিল্পীদের নিয়ে সম্প্রদায় তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছেন শর্মিষ্ঠা। প্রদর্শনী ঘুরে দেখে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘করোনার সময় অনেক লোকশিল্পীই সমস্যায় পড়েছেন। এই উদ্যোগের ফলে সেই শিল্পীদের সুবিধা হবে। শর্মিষ্ঠার কালেকশনও খুবই আকর্ষণীয়।’