বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
বিকিকিনি
 

করবেট জাতীয় উদ্যানে এক রাত

জিম করবেট ন্যাশনাল পার্ক এক অদ্ভুত সুন্দর জঙ্গল। বাঘের দেখা পান বা না পান, এই জঙ্গলের পরিবেশেই মুগ্ধ হবেন আপনি। বর্ণনায় কাকলি পাল বিশ্বাস।

উত্তরাখণ্ডের কুমায়ুন হিমালয়ের শিবালিক পর্বতমালার তরাই অঞ্চলের বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে যে বনভূমি রয়েছে সেটাই করবেট জাতীয় উদ্যান। আর এই উদ্যানেই গড়ে উঠেছে করবেট টাইগার রিজার্ভ ফরেস্ট। আর এই ফরেস্ট জুড়ে রয়েছে পাইন, শিশু, শালগাছ। আর আছে অসংখ্য টিলা, ঘাসবন এবং তৃণভূমি। করবেট টাইগার রিজার্ভের প্রবেশদ্বার বলা হয় কোশি নদীর তীরে অবস্থিত রামনগরকে। করবেট টাইগার ন্যাশনাল পার্কে প্রবেশের জন্য পাঁচটি জোন রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে ঝিরনা জোন, ধিকালা জোন, দোমুন্ডি জোন, দুর্গাদেবী গেট ও বিজরানি জোন। জঙ্গল সাফারিতে যাওয়ার জন্য আগে থেকে অনলাইনে টিকিট বুক করে নেওয়া সবথেকে ভালো উপায়। তবে বিভিন্ন হোটেল বা রিসর্ট থেকেও জঙ্গল সাফারিতে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।
 আমাদের রিসর্টটা ছিল করবেট জাতীয় উদ্যানের কাছেই। ওখানে পৌঁছতে পৌঁছতে রাত হয়ে গিয়েছিল, শীতকালে সাতটা-আটটা মানেই গভীর রাত। আর জঙ্গলের মধ্যে সেটা প্রায় মধ্যরাতে পরিণত হয়। যাই হোক, আমরা ঢোকার সময় দেখলাম যে পুরো রিসর্টটা উঁচু করে তারকাঁটার বেড়া দিয়ে ঘেরা। রিসেপশনে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলাম রাতে নাকি অনেক সময় এখানে বাঘ, হাতি সহ নানা ধরনের বন্য জন্তু চলে আসে। আর তারা যাতে রিসর্টের ভেতর ঢুকতে না পারে সেই জন্য চারিদিকে তারের কাঁটা দিয়ে ঘেরা। রাত্রিবেলায় সেই তারকাঁটায় বিদ্যুৎ সংযোগও করা হয়।
রিসর্ট থেকেই আমাদের জন্য জঙ্গল সাফারিতে যাওয়ার জিপ ঠিক করে দেওয়া হয়েছিল। আমরা যখন সাফারি জিপে করে জঙ্গলে যাওয়ার জন্য রিসর্ট থেকে বেরলাম তখন ভোর রাত। একে ডিসেম্বর মাস, তার উপর ভোর রাত। প্রচণ্ড ঠান্ডায় হাড় হিম হওয়ার জোগাড়। টুপি, জ্যাকেট, মাফলারে নিজেদের জড়িয়ে জঙ্গলে ঢুকে পড়লাম। আর তারপরই মনটা যেন ভরে গেল। সেখানে অদ্ভুত নিস্তব্ধতা বিরাজমান। যখন ভোরের আলো ফুটতে শুরু করল তখন শুরু হল পাখিদের কলকাকলি। পথে যেতে যেতে চোখে পড়ল পাহাড়ি নদী। সেখানে জল খেতে আসে নানা ধরনের বন্য প্রাণী। সেই কারণেই নদীর ধারে নামা বারণ।
এই জাতীয় উদ্যানে বাঘের সঙ্গে সঙ্গেই দেখা পাওয়া যায় জঙ্গল ক্যাট, নীলগাই, লেপার্ড, হাতি, বুনো কুকুর, বাঁদর, শেয়াল ও নানা ধরনের পাখির। কপাল ভালো থাকলে দেখা মিলতে পারে ঘড়িয়াল এবং কুমিরেরও।
১৯৩৬ সালে  বাঘ রক্ষা করার জন্য তৈরি হওয়া এই জাতীয় উদ্যানটি পরবর্তীকালে সুপরিচিত শিকারী এবং জঙ্গলপ্রেমী জিম করবেটের নাম দিয়ে করা হয় জিম করবেট জাতীয় উদ্যান।
কীভাবে যাবেন: হাওড়া থেকে বাঘ এক্সপ্রেসে এবং লালকুঁয়া এক্সপ্রেসে করে যথাক্রমে কাঠগুদাম এবং লালকুঁয়ায় পৌঁছানো যায়। এই দুই জায়গা থেকেই দু’ঘণ্টা গাড়ি সফরে পৌঁছানো যায় করবেট জাতীয় উদ্যানে। এছাড়াও হাওড়া থেকে দিল্লি হয়ে গাড়ি করে করবেট পৌঁছানো যেতে পারে।
 

22nd     October,   2022
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ