বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
বিকিকিনি
 

মায়াপুরের মায়ায়
রথের টানে মায়াপুরে কাটিয়ে আসুন ছোট্ট ছুটি। 

‘রথযাত্রা লোকারণ্য মহাধুমধাম...’। ছুটি নেই, তাই এবারেও রথে হয়তো আপনার যাওয়া হল না পুরী। জগন্নাথধামে গিয়ে রথ পালনের সুযোগ সত্যিই সকলের হয় না। নাই বা হল জগন্নাথধাম ভ্রমণ, হাতের কাছেই রয়েছে আরও এক পূণ্যভূমি। রথে একদিনের জন্য হলেও ঘুরে আসতে পারেন।
কলকাতা এবং শহর সংলগ্ন বেশ কিছু জায়গায় রথ পালন হয় সমারোহে। এই তালিকায় মায়াপুর অন্যতম। মায়াপুরের ইস্কন মন্দিরে বছরভর ভক্তসমাগম হয়। কিন্তু রথে এই স্থানের অন্য মাহাত্ম্য রয়েছে। ইস্কন কলকাতার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস জানালেন সেই কাহিনি। ‘ইস্কন মন্দির থেকে চার কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো এক জগন্নাথ মন্দির আছে। বহুকাল পূর্বে জগদীশ গঙ্গোপাধ্যায় নামে প্রভু জগন্নাথদেবের এক ভক্ত  ছিলেন। প্রতি বছর ৯০০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে পুরীতে জগন্নাথ দর্শনে যেতেন। হঠাৎই এক দুর্ঘটনায় উনি অন্ধ হয়ে যান। তারপর থেকে পুরী গিয়ে জগন্নাথ দর্শন তাঁর পক্ষে আর সম্ভব হয়নি। শোনা যায়, এরপর জগন্নাথদেব ওঁকে স্বপ্নে মন্দির প্রতিষ্ঠা করার আদেশ দেন। সেই স্বপ্নাদেশে নাকি বলা হয়েছিল, কোনও ভক্ত পুরী গিয়ে জগন্নাথ দর্শন করতে না পারলে মায়াপুরে গিয়ে দর্শন করলেও একইরকম পুণ্যলাভ হবে। তারপরই ওই মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়। এ সময় জগন্নাথদেব রথে চড়ে মায়াপুরে ইস্কন মন্দিরে আসেন। সাতদিন থাকেন। উল্টোরথে আবার ওই মন্দিরে ফিরে যান’, বললেন তিনি।  
মায়াপুরের অদূরে রাজাপুরে রয়েছে সেই জগন্নাথ মন্দির। সেখান থেকে তিনটি পৃথক রথে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা আসেন চন্দ্রোদয় মন্দিরে। ফুলের মালায়, ঐতিহ্যবাহী গয়নায় সাজানো হয় মূর্তি। বড় শোভাযাত্রার মাধ্যমে রথ পৌঁছয় মূল মন্দিরে। আট থেকে আশি—সবাই অংশ নেয় সেই যাত্রায়, সঙ্গে চলতে থাকে অবিরাম কীর্তন। যে সাতদিন প্রভু ইস্কন মন্দিরে থাকেন, তার প্রতিদিন বিশেষ সন্ধ্যা আরতি হয়। নিত্য প্রভুর সেবায় ভোগ নিবেদন করা হয়। রাধারমণ জানিয়েছেন, প্রতিদিন প্রায় এক লক্ষ ভক্তের প্রসাদের ব্যবস্থা করতে পারে মায়াপুর কর্তৃপক্ষ। ‘এখানে সুলভ কিচেন আছে। আগে কুপন নিয়ে নিতে হয়। উৎসবের দিনে বিনামূল্যে প্রসাদ দেওয়া হয়। খিচুড়ি বিতরণ করা হয়,’ বললেন তিনি।
মায়াপুর মন্দিরময়। আপনার হাতে দিন দুয়েকের অবসর থাকলে অটো বা রিকশায় চড়ে আশপাশের অন্যান্য মন্দির ঘুরে দেখতে পারেন। ফুলিয়ার তাঁত, সুতির শাড়ি, নিত্য ব্যবহারের রংবাহারি গামছায় সেরে নিতে পারেন শপিংও।
যাওয়ার আগে জেনে নিন- 
 শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে কৃষ্ণনগর পৌঁছতে সময় লাগে ২ ঘণ্টা ৪০ মিনিট থেকে ৩ ঘণ্টা। আপনি গাড়িতেও যেতে পারেন। এছাড়া কলকাতা থেকে বুকিং করে বাসেও পৌঁছতে পারেন গন্তব্যে। প্ল্যাটফর্ম থেকে বেরিয়ে অটো করে চলে যান মায়াপুর ঘাট। এরপর নৌকোয় নদী পেরিয়ে টোটো নিয়ে পৌঁছে যান মায়াপুরের ইস্কন মন্দিরে। যাওয়া এবং থাকার ব্যবস্থা ইস্কন মন্দির লাগোয়া বিভিন্ন ভবনে হতে পারে। তবে তার জন্য আগে ইস্কন মন্দিরের ওয়েবসাইট থেকে বুকিং করে যেতে হবে। ভক্ত সমাগম এত বেশি যে বুকিং না করে গেলে থাকার জায়গা পাওয়ায় সমস্যা হতে পারে বলে জানালেন রাধারমণ দাস। সাধারণত মায়াপুর ভ্রমণে ইস্কন মন্দিরে ভোগ খেতে পছন্দ করেন সকলে। স্থানীয় হোটেলেও উদরপূর্তি ঘটাতে পারেন। 

25th     June,   2022
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ