বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
বিকিকিনি
 

সফরনামা
নেশা ধরানো ব্রহ্মকমলের
টানে ভ্যালি অব ফ্লাওয়ার্স

আচ্ছা আপনি ব্রহ্মকমল দেখেছেন? ঘ্রাণ নিয়েছেন স্বর্গীয় এই ফুলটির? আর ভূর্জপত্র? কখনও প্রিয়তমকে চিঠি লিখেছেন এই পাতায়? অন্ততপক্ষে তাঁর হাতে তুলে দিয়েছেন প্রেমে মোড়া এই পত্রগুচ্ছ? না হলে এই গ্রীষ্মেই ঘুরে আসুন ভ্যালি অব ফ্লাওয়ার্স। দৃশ্যপট এতই মনোরম দেখলে মনে হবে পৃথিবীতে কোথাও স্বর্গ থাকলে তা বুঝি এখানেই আছে। গত
১ জুন ২০২২ থেকে ভ্যালি অব ফ্লাওয়ার্সের পথ খুলেছে পর্যটকদের জন্য। অক্টোবর পর্যন্ত খোলা থাকবে। তারপর আবার ছ’মাস বন্ধ। আর ব্রহ্মকমলের রং দেখতে চাইলে জুন, জুলাই আর আগস্ট সেরা সময়। এই সময় গোলাপি থেকে মেরুন রং ধরে ফুলে। তারপর ক্রমশ সেই রং মরে যায়। মেরুন ফিকে হতে হতে এক সময় ফ্যাকাশে খয়েরি হয়। তারপর ফুল ঝরে পড়ে। আর ফুলেল সেই বন্য পথের রাস্তাও বন্ধ হয়ে যায়। উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় এই অনন্য প্রাকৃতিক বনভূমির অবস্থান।
দু’পাশে সবুজের গালচে পাতা পাহাড়শৃঙ্গ। তার মাথার দিকে আবার বরফের মুকুট। আর পাদদেশ জুড়ে শুধুই গোলাপি থেকে মেরুন রঙের ফুলবন। উফ! কী যে অপরূপ সেই রূপের মহিমা। ভ্যালি অব ফ্লাওয়ার্সের সৌন্দর্যে ব্রহ্মকমলের নাম সর্বাগ্রে তাতে সন্দেহ নেই। তাই বলে শুধু যে ব্রহ্মকমলই ফোটে এখানে তা নয়। এছাড়াও আছে ছ’শোরও বেশি বন্য ফুল। যার মধ্যে রয়েছে পাহাড়ি দোপাটি, প্রিমুলা, ব্লুবেল, ডেলফিনিয়াম সহ অজস্র নাম। অ্যাডভেঞ্চার প্রিয়, পাহাড়প্রেমী, ট্রেক পথের নেশায় মত্ত পর্যটকের জন্য এই অঞ্চল অনবদ্য। 
১৯৩১ সালের কথা। ব্রিটিশ বোটানিস্ট ফ্র্যাঙ্ক স্মিথ পাহাড়ি ফুল আর গাছ নিয়ে গবেষণা করতে করতে হিমালয় দর্শনে বেড়িয়ে পড়েন। আর সেই সময় নেহাতই আকস্মিকভাবে তিনি খুঁজে পান অনন্য এই বনভূমি। শতশত ব্রহ্মকমল আর ভূর্জপত্রের টানে পায়ে পায়ে পৌঁছে যান সেখানে। এখানেও শেষ নয়। ফুল, গাছ আর পাহাড়ি জঙ্গলের মাঝেই নিজেদের সন্তর্পণে লুকিয়ে রেখেছে নানা বন্য প্রাণী। হিমালয়ের চিতা, মাস্ক ডিয়ার, ব্লু শিপের মতো বিরল প্রাণীরও দেখা মিলতে পারে এই পথে। ভ্যালি অব ফ্লাওয়ার্স যেতে হলে অবশ্য উত্তরাখণ্ডের বনদপ্তর থেকে পারমিট করাতে হয়। ই মেল মারফৎ এই পারমিশন করানো যায়। শহুরে হট্টগোল ছেড়ে প্রকৃতির সঙ্গে নিরিবিলি সময় কাটাতে চাইলে চলুন যাই ভ্যালি অব ফ্লাওয়ার্স।
 কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন? কলকাতা থেকে ট্রেনে হৃষীকেশ তারপর গাড়িতে গোবিন্দঘাট। শাটলে গেলে খরচ মোটামুটি ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা জনপ্রতি। গোবিন্দঘাটে গুরুদ্বারে থাকা যায়। সেখান থেকে মোটামুটি চার কিলোমিটার গাড়িতে গিয়ে তারপর হাঁটা শুরু। মোটামুটি ১৩ কিলোমিটারের ট্রেক। একসঙ্গে পুরো পথ উঠবেন না। প্রথম রাত কাটাবেন ঘাংঘারিয়ায়। হোটেলে থাকলে ভাড়া মোটামুটি ৩০০০ টাকা থেকে শুরু। এছাড়া গুরুদ্বারও আছে। পরের দিন ভ্যালি অব ফ্লাওয়ার্স দেখে আবার ঘাংঘারিয়া নেমে আসুন।       

11th     June,   2022
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ