বাংলার পাঁচ নকশা মায়োসূত্র-র শাড়িতে
পোশাকের যতই রকমফের থাক, বাঙালির কাছে শাড়ির মাহাত্ম্যই আলাদা। বাংলার আদি অকৃত্রিম শাড়ির চাহিদা বরাবরই ঊর্ধ্বমুখী। কিন্তু বাংলার শাড়ি তো একটা নয়, অসংখ্য! তা থেকে অনুষ্ঠান অনুযায়ী সঠিকটা বেছে নেওয়া বেশ কঠিন কাজ! প্রবাসী ফ্যাশন ডিজাইনার ও ‘মায়োসূত্র’ ব্র্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা রোশনি মুখোপাধ্যায় এবার সেই কঠিন কাজকে সহজ করে দিয়েছেন। দুই বাংলার নানা ধাঁচের শাড়িকে এবার একটি শাড়ির মধ্যেই ফুটিয়ে তুলেছেন রোশনি। নাম দিয়েছেন, ‘বেঙ্গল উইভস’ শাড়ি। বিষ্ণুপুরের বালুচরি, ঢাকার ঢাকাই, বোলপুরের কাঁথা, তাঁত, বাটিক ও সনাতনী গামছা— এই পাঁচ ধরনের শাড়ির এক চোখজুড়ানো ঐকতান এই ‘বেঙ্গল উইভস’। এই শাড়ির আঁচলটি একটু ভারী। গোটা শাড়ির পাঁচমেশালি কাজের এক চমৎকার সংমিশ্রণ দেখা যাবে আঁচলে। রোশনির কথায়, ‘যেদিন থেকে শাড়ির নকশা করা শুরু করেছি, সেদিন থেকেই বাংলার শাড়ি-শিল্পী, তাঁতি ও কারিগরদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের ইচ্ছে ছিল, যারা আমায় অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে এই কাজে হাত দেওয়ার জন্য।’
টিটিকে প্রেস্টিজ-এর উপহার
আস্থাভাজন ডিলারদের কাজের স্বীকৃতি দিল টিটিকে প্রেস্টিজ। যেসব ডিলার তাঁদের দারুণ পারফর্ম্যান্সের মাধ্যমে বার্ষিক লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছেন, তাঁদের হাতে ‘ইনসেনটিভ’ হিসেবে মোটরবাইক ও গাড়ির চাবি তুলে দিল প্রেস্টিজ। সংস্থার বার্ষিক টাই-আপ অনুষ্ঠানে দ্য সনেট হোটেলের মঞ্চে সম্মানিত হলেন ডিলাররা। মোট ১২০টি মোটরবাইক ও গাড়ির মধ্যে একটি মহিন্দ্রা এক্সইউভি৩০০, ১টি হুন্ডাই স্যানট্রোস, ৫টি মারুতি ওয়াগন আর, ৩টি রেনাল্ট ও ১১০ টি বাইক উপহার হিসেবে পেয়েছেন ডিলাররা। সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর চন্দ্রু কার্লো জানিয়েছেন, ‘যেসব ডিলার নিজস্ব বার্ষিক লক্ষ্য পূরণে সক্ষম হয়েছেন, তাঁরা আমাদের গর্ব। সংস্থার বৃদ্ধি ও প্রসারে তাঁদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই পারফর্ম্যান্সের উপর ভিত্তি করে তাঁদের হতে এই পুরস্কার তুলে দিতে পেরে আমরা গর্বিত।’
তসর উৎসবে কণিষ্ক
বাংলার শাড়ির আবেদন ফ্যাশনিস্তাদের কাছে অমূল্য রতন। তাদের সাজ ও পোশাকে বাংলার তসর বরাবর একটা আলাদা জায়গা করে এসেছে। এবার সেই তসরদের এক ছাদের তলায় আনার পরিকল্পনা নিল অন্যতম ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘কণিষ্ক’। আগামী ১৬-১৮ ডিসেম্বর হিন্দুস্তান রোডে চলবে এদের তসর উৎসব। সাধারণ নকশার তসর ছাড়াও বিভিন্ন হ্যান্ডপ্রিন্টেড মোটিফ, টেক্সট প্রিন্ট ও পুরনো দিনের ধর্মীয় মোটিফ ও উপজাতি গোষ্ঠীর ব্যবহৃত নানা মোটিফ ছাপানো তসর পাবেন এখানে। ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থা এবার পা দিয়েছে ৫১ বছরে। হ্যান্ড ব্লকের কাজ, কাঁথাকাজ, হ্যান্ডপ্রিন্ট কলমকারি ইত্যাদি বিভিন্ন নকশায় এদের মুনশিয়ানা বরাবরই ছিল। তসর উৎসবেও সেই দক্ষতার ছাপ স্পষ্টভাবে ফুটে উঠবে বলেই শাড়িপ্রেমীদের আশা। উৎসব চলবে প্রতিদিন সকাল ১০.৩০ থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত। ঠিকানা: ২/১, হিন্দুস্তান রোড, কলকাতা ৭০০০২৯। যোগাযোগ: ০৩৩-২৪৬৩০৪৬৫/৪২৯৬
যাত্রা শুরু সুবর্ণা’স প্যাস্টেলেরিয়া-র
মডেলিং জগতে বেশ নামডাক আছে সুবর্ণা দাসের। এবার মডেলিংয়ের পাশাপাশি বেকারি শুরু করলেন তিনি। ২, যশোর রোডের ইমামি সিটিতে নতুন বেকারির আউটলেট খুলেছেন সুবর্ণা। নাম: সুবর্ণা’স প্যাস্টেলেরিয়া। এতে চকোলেট, ভ্যানিলা, বাটারস্কচ, পাইন্যাপেল, রেড ভেলভেট, স্ট্রবেরি, রসমালাই, রাবড়ি সহ নানা ফ্লেভারের কেক পাবেন। প্লাম কেক, ফ্রুট কেক, মাফিন্স ও কুকিজও মিলবে এখানে। সেলিব্রেশন কেকের দাম শুরু ৫০০ টাকা থেকে। হোম ডেলিভারি ও অর্ডারের জন্য ফোন করুন ৯৭৪৮৬০২১০৮ নম্বরে।
চোখ ধাঁধাবে সুখী-র বিবাহ অলঙ্কার
এক্সক্লুসিভ বিয়ের গয়নায় সেজে উঠল অনলাইন ফার্স্ট ফ্যাশন জুয়েলারি ব্র্যান্ড ‘সুখী’। বিয়ের মরশুমে এই ব্রাইডাল কালেকশন নিয়ে আশাবাদী সংস্থা। ভারতে বিয়ের উৎসবে গয়না সবসময়ই একটা বড় ভূমিকা পালন করে। আজকাল বিয়ের পোশাকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে হালকা ও ছিমছাম নকশার দিকে ঝুঁকছেন অনেকেই। কেউ আবার কিছু কিছু গয়নায় সোনা, রুপো, হীরের ছোঁয়া থেকে সরে এসে উচ্চমানের ইমিটেশনকে বেছে নিচ্ছেন। সুখী তাদের কথা মাথায় রেখেই নিজেদের এই কালেকশনে গোল্ড প্লেটেড, রোডিয়াম প্লেটেড, রোজ গোল্ড প্লেটেড নেকলেস, কানের দুল, আংটি এবং অন্যান্য গয়না রেখেছে। এগুলির দাম ঘোরাফেরা করবে ৫০০ টাকার আশপাশে। উচ্চমানের ধাতু ব্যবহার করায় ইমিটেশন হলেও এই গয়না ত্বকে কোনওরকম প্রদাহ তৈরি করবে না। ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া অন্যতম ব্র্যান্ড সুখী— যাদের লক্ষ্য আকর্ষণীয় দামে উচ্চমানসম্পন্ন পণ্য সরবরাহ করা। এদের ব্রাইডাল কালেকশনের এই গয়না মিলবে অ্যামাজন ও ফ্লিপকার্টে।
টাটা ও আমা স্টেজ-এর ইভি চার্জিং পয়েন্ট
বেড়াতে গিয়ে ব্যাটারিচালিত গাড়ির চার্জ শেষ হয়ে এলে আর বিপদে পরার ভয় নেই। ইন্ডিয়ান হোটেলস কোম্পানি-র ব্র্যান্ড ভারতের প্রথম হোমস্টে পোর্টফোলিও সংস্থা আমা স্টেজ অ্যান্ড ট্রেলস নিয়ে এল ইলেকট্রিক ভেহিকেল চার্জিং পয়েন্ট। টাটা পাওয়ারের সঙ্গে যৌথভাবে এই প্রোজেক্ট নিয়ে এসেছে তারা। আমা স্টেজ অ্যান্ড ট্রেলস-এর অধীনে থাকা মোট ১১টি জায়গার ৩০টি ভিলা ও হেরিটেজ বাংলোয় ইলেকট্রিক ভেহিকেল চার্জিং পয়েন্ট তৈরি করল টাটা পাওয়ার ইজেড চার্জারস। এতে সবচেয়ে লাভবান হবেন বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে বেড়াতে আসা পর্যটকরা। ইতিমধ্যেই ভারতের ১৮০টি শহরে এক হাজারেরও বেশি ইলেকট্রিক ভেহিকেল চার্জিং পয়েন্ট তৈরি করেছে টাটা পাওয়ার। ভবিষ্যতে আমা স্টেজ অ্যান্ড ট্রেলসের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে আরও অনেক শহরে এই ব্যবস্থা ছড়িয়ে দিতে চায় টাটা পাওয়ারস।
সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় আই গ্ল্যাম
সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় আই গ্ল্যাম বরাবরই জনপ্রিয় একটি নাম। সম্প্রতি ২০২১-এর সেরা মুখদের বেছে নিল তারা। প্রেস ক্লাবে ঘোষিত হল মিঃ বেঙ্গল, মিস বেঙ্গ ও মিসেস বেঙ্গলের নাম। শুধু তা-ই নয়, এবার মিঃ ও মিস জুনিয়র বেঙ্গল হিসেবেও দু’জনকে বেছে নিয়েছে এই সংস্থা। বরাবরই বিউটি ও ফ্যাশন দুনিয়ায় নতুন মুখ উপহার দিয়ে এসেছে এরা। এদের সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা থেকে উঠে এসে মডেলিং ও অভিনয়ে কেরিয়ায় তৈরি করেছেন অনেকে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার মঞ্চে বসেছিল চাঁদের হাট। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র, মিসেস ইন্ডিয়া রিচা শর্মা, অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা, মডেল নিক রামপাল, ফ্যাশন ডিজাইনার শ্যামসুন্দর বসু, পরিচালক জিৎ চক্রবর্তী, আই গ্ল্যাম –এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও দেবযানী মিত্র ও সংস্থার অন্যান্য কর্তাব্যক্তি। ছিলেন আগের বারের সফল প্রতিযোগীরাও।