বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
বিকিকিনি
 

সেলেবদের দীপাবলি

সারাবছর লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশনের জীবন কাটালেও কিছু কিছু দিন এঁরা মিশে যান আমজনতার মধ্যে। তেমনই একটা দিন কালীপুজো। কেমন কাটে? জানালেন তিন সেলেব্রিটি। শুনলেন মনীষা মুখোপাধ্যায়।

বিশ্বনাথ বসু
দীপাবলিতে আমি সাধারণত কলকাতাতেই থাকি। আমার বাড়িটাকে খুব সুন্দর করে সাজাই। আলো, আলপনা এসব দিয়ে বাড়ি সেজে উঠলে মনটাও খুশিতে ভরে যায়। আমার বাড়িতে নানা উপাস্য দেবতা আছেন। জগন্নাথ, মা দুর্গা, মা কালী সকলেই। তাঁদের খুব সুন্দর করে সাজাই। তারপর শুরু হয় আমাদের বাজি কেনার পালা। স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে বাজি কিনতে বেরই। সে কী বাজি কেনা! ওরে বাবা। ছেলেরা কিনেই চলে, আর আমি শুধু ভাবি কত খসবে! সবই যদিও আলোর বাজি। শব্দবাজি আমরা কেউই পছন্দ করি না। তারপর রাতটা খুব বিশেষভাবে কাটে। আমার এক বন্ধুর বাড়িতে কালীপুজো হয়। আমরা সবাই মিলে সেখানে যাই সারাটা দিন এমন পুজো পুজো আবহে কেটে যায় যে দিনটা একদম অন্যরকম লাগে। বাজি পোড়ানো তো আছেই।

 বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়
আমার কাছে কিন্তু দুর্গাপুজোর চেয়েও কালীপুজো বেশি আকর্ষণের। দীপাবলি মানেই শ্বশুরবাড়ি থেকে আমার মায়ের কাছে ফেরার দিন। আমার ওখানকার পাড়ায় অনেক পুরনো পুজো। ১৩২ পেরিয়ে এ বছর ১৩৩-এ পড়ল। কালীপুজোর তিনটে দিন আমি কোনও শ্যুটিংও রাখি না। এই দিনগুলো শুধুই পুরনো বন্ধু ও পাড়ার মানুষজনের সঙ্গে আনন্দ করার সময়। এখানে সারারাত জেগে অঞ্জলি দেওয়া, তারপর সবাই মিলে একসঙ্গে ভোগ খাওয়া, ছোটবেলার দিনগুলো যেন এই সময় আরও বেশি করে ফিরে আসে।! এবার কালীপুজোটা আমার কাছে খুব বিশেষ। কারণ তার পরের দিনই, মানে ৫ নভেম্বর আমার ছবি রিলিজের দিন পড়েছে। পরিচালক শৈবাল মিত্রর ‘যখন কুয়াশা ছিল’ মুক্তি পাবে ওইদিন। তাই বাড়তি  উত্তেজনা আছেই।

সৌরভ চট্টোপাধ্যায়
আমরা পুরোদস্তুর ঘটি। তাই কালীপুজোর দিন আমাদের বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো হয়। মানে, দীপাণ্বিতা লক্ষ্মীর আরাধনা। এই পুজোটা আমিই করি। রীতিমতো নিয়ম মেনে মন্ত্র পড়ে পুজো করি। অনেক বন্ধুবান্ধব এই দিন আমাদের বাড়িতে আসে। কাজেই পুজো শেষে আড্ডা ও হইহুল্লোড়ের একটা পর্ব থাকে। পুজো সারা হলে আমাদের বাড়ির  ছাদে একটা দারুণ জমায়েত হয়। উত্তর কলকাতার ছাদ, বুঝতেই পারছেন! আমরা বন্ধুরা মিলে ছাদে চলে যাই। সেখানে নিজেদের মতো করে বাজি পোড়াই। পাড়ার ক্লাবের ছেলেরাও আমাদের ছাদে চলে আসে। অনেকেই নিজেদের বাজি নিয়ে আসে। আমার বাড়িতেও অনেক বাজি কেনা হয়। এরপর তো আমাদের বাড়িতে সকলের ভোগ খাওয়ার পালা। খাওয়াদাওয়া মিটলে আমরা বেরই। বরানগরে রামকৃষ্ণ মিশনের কালীপুজোয় যাই। সেখানে কিছুটা সময় কাটিয়ে ফিরে আসি আমাদের পাড়ায়। এখানে গঙ্গার ধারে কুঠিঘাটে খুব প্রাচীন সিদ্ধেশ্বরী কালীর মন্দির আছে। শ্রীরামকৃষ্ণদেবও এখানে এসেছিলেন। সেখানে হোমযজ্ঞ হয়। আমরা সারারাত সেখানে পুজো দেখি, যজ্ঞক্রিয়া দেখি। তারপর ভোররাতে বাড়ি ফিরি। আলো আর ভালো মিলিয়েই আমার দীপাবলি কাটে।

23rd     October,   2021
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ