বাংলার রঙে আপনিও রঙিন
সাহা টেক্সটাইল-এর এবারের শারদ অঞ্জলি ‘কালার্স অব বেঙ্গল’ প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার শ্রী কান্তি সাহার পরিভাষায় ‘বাংলার রঙে আপনিও রঙিন’। প্রাচীন বাংলার লুপ্তপ্রায় নানাবিধ বুননশৈলীকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে এই বিশেষ বিভাগের প্রবর্তন, যা আপনারা পেয়ে যাবেন সাহা টেক্সটাইল বারাসতের দ্বিতীয় তলে। আর এখানে থাকছে দেশ, রবি, অরণ্য, অজানা বাংলা, নোয়াখালি জামদানির মতো সাহা টেক্সটাইলের নিজস্ব ঘরানায় তৈরি বিভিন্ন শাড়ি সম্ভার যা বাংলার পরম্পরা, ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সাক্ষী বহন করে। কেনাকাটা কখনও প্রাথমিক শর্ত নয়, আপনারা এখানে চলে আসতে পারেন শুধুমাত্র অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের জন্য। আর এই মহৎ কর্মোদ্যোগের শুভ সূচনা হয়ে গেল রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের উপস্থিতিতে। এছাড়াও ছিলেন, মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষ, সমাজসেবী অশনি মুখোপাধ্যায় এবং বারাসাত পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সমীর তালুকদারের মতো বিশিষ্টজন। এই উদ্যোগের মূল উদ্যোক্তা কান্তি সাহার কথায়, বর্তমান সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে আরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা এবং নতুন প্রজন্মকে বাংলার হারিয়ে যাওয়া বুনন পরম্পরা সম্পর্কে অবগত করাই হবে ‘কালার্স অব বেঙ্গল’-এর মূল উদ্দেশ্য। এর সাফল্য সুনিশ্চিত হবে সব মানুষের সহযোগিতায়।
শ্যাম সুন্দরের স্বর্ণ সম্ভার ২০২১
শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স ১ অক্টোবর থেকে ১১ অক্টোবর ২০২১ আয়োজন করছে ১৯তম শারদীয়া ‘স্বর্ণ সম্ভার ২০২১’। গয়নার এই প্রদর্শনীতে এ বছরের চমক ১৫ শতকের ‘চক্রকমা’ দেবী দুর্গার ট্রাইবাল প্রতিমূর্তি, যা ত্রিপুরার দেবতামুরায় পাহাড়ের খাড়া পাথরের উপর খোদাই করা আছে। বিগত যুগের অসাধারণ এই ২০ ফুটের ভাস্কর্যই ‘শক্তিরূপিণী কালেকশন’-এর মূল আধার। হাতে তৈরি এই গয়নার কালেকশনের মূল ভাবনায় আছে মা দুর্গার শক্তি। রয়েছে হাতে তৈরি অন্যান্য ডিজাইনের সোনা, হীরের গয়না ও ট্রেন্ডি ব্রাইডাল জুয়েলারিও। রয়েছে পকেটসাশ্রয়ী হীরের গয়না, রত্ন ও মূল্যবান পাথরের সংগ্রহ। গ্রাহকদের জন্য আকর্ষণীয় অফার, ড্র থাকছে। প্রতি ১৫ গ্রাম ওজনের উপরে সোনার গয়নার কেনাকাটায় নিশ্চিত সোনার মুদ্রা। ১৫ গ্রামের নীচেও সোনার গয়নার কেনাকাটায় আছে নিশ্চিত উপহার। সোনার গয়নায় মেকিং চার্জে ডিসকাউন্ট ২০% ও হীরের গয়নায় ৫০%। আছে রত্নের এমআরপির উপর ১০% ছাড়। দৈনিক লাকি ড্রয়ে থাকছে রোজ ৩টি সোনার মুদ্রা জেতার সুযোগ। মেগা ড্রয়ে পাঁচটি স্কুটি জেতার সুযোগ। কোভিড প্রোটোকল মেনে গ্রাহকদের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। ত্রিপুরার (আগরতলা, খোয়াই, ধর্মনগর ও উদয়পুর) এবং কলকাতার (গড়িয়াহাট, বেহালা ও বারাসাত) শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্সের সব শো-রুমে চলবে এই প্রদর্শনী।
বাংলার ঢাকিদের বিশেষ সম্মান
দুর্গাপুজো মানেই যেমন কুমোরটুলির ব্যস্ততা, তেমনই শহরে ঢাকিদের আসার সময়। কলকাতায় আসার আগেই বিশেষ সম্মান জানানো হল ঢাকিদের। অজয় নদীর পাড়ে কাশবনে ঢাকা চড়ে বসেছিল ঢাকের আসর। নানা বোলে ভেসে উঠল নদীর চড়। এই অভিনব উদ্যোগ খুকুমণির। সংস্থার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গ্রাম বাংলার ঢাকিদের নিয়ে হয়ে গেল মন ভরানো আসর। পালক লাগানো ঢাকের সঙ্গে ছিল বাংলার ঢোল, কাঁসর, শঙ্খধ্বনি। সব মিলিয়ে অজয় পাড়ে পুজোর আমেজ জমজমাট। ঢাকির দলে ছিলেন পরেশ দাস, অনিল দাস, মনোজিৎ দাস, সুনীল দাস, শ্যামল দাস। তাছাড়া জ্যোৎস্না থানদার (শঙ্খ)। সঙ্গে বীরভূমের ছিনাথ বহুরূপী সংস্থার শিল্পীরা, সুবল দাস বৈরাগ্য (শিব), ধনেশ্বর দাস বৈরাগ্য (দুর্গা)। ঢাকের তালে বহুরূপী শিল্পীদের নৃত্য গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে মনে করায়। সব শেষে সংস্থার পক্ষে ঢাকিদের এবং সব শিল্পীকে সম্মান জানান অরিত্র রায় চৌধুরী। ঢাকিদের নিয়ে এক মিউজিক ভিডিও তৈরি করা হয় জিমা পুরস্কৃত পণ্ডিত প্রদ্যুৎ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গীত পরিচালনায়। করোনাকালে কাজ কম, অবস্থা খুবই খারাপ। তাই সংস্থার পক্ষে শিল্পীদের পাশে এসে দাঁড়ানোর এই উদ্যোগ।
এক ক্লিকে পুজো প্যান্ডেলে
দুর্গাপুজোর চার দিন অনাবিল আনন্দে ভাসে শহর। শুধু শহর নয়, শহরতলি জেলা সর্বত্র তখন হইহই কাণ্ড। কিন্তু ক্রমশ কলকাতার বাঙালি তার ডালপালা ছড়িয়েছে দেশে দেশান্তরে। অনেকেই পুজোয় কলকাতা আসার সময় সুযোগ পান না। তাঁদের জন্যই এসেছে একটি পেজ। সেই লিঙ্কে ক্লিক করলেই শহরের নামকরা ঠাকুর দেখতে পাবেন। পেজ তৈরির ভাবনা শুরু ২০১১-১২ সাল নাগাদ। বাঙালি নস্টালজিয়া তো বটেই, সঙ্গে জড়িয়েছিল বাংলার ঐতিহ্যকে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াস। রিও ডি জেনেইরোর কার্নিভাল বা স্পেনের টোম্যাটিনা উৎসব যদি বিশ্বে পরিচিত হতে পারে, তাহলে দুর্গাপুজোই বা নয় কেন? ২০১২ সালে এটি তৈরি করেন অর্পণ চট্টোপাধ্যায়। ঠাকুর গড়া থেকে প্যান্ডেল তৈরির কাজ, সবই দেখানো হয় এখানে। অর্পণের পড়াশোনা বিদেশে। পুজোর টানে তিনি ও তাঁর বন্ধুরা এই উদ্যোগ শুরু করেন। ২০-২৫টি সেরা পুজো দেখানো হয় এখানে। গত বছরের হিসেব অনুযায়ী সারা পৃথিবী থেকে কমবেশি ৫০ লক্ষের কাছাকাছি মানুষ কলকাতার পুজো দেখার সুযোগ পেয়েছেন। কোভিডে অনেকেই বাড়ি থেকে বেরতে পারছেন না। তাই ভার্চুয়াল ট্যুরে ভরপুর আনন্দ। দেরি করবেন না, লগ ইন করুন www.thepuja.app পেজ-এ।
পুজোয় নতুন কালেকশন স্টাইল বাজারে
বর্তমান পরিস্থিতি ও সাধারণ মানুষের চাহিদার কথা মাথায় রেখে সব বয়সের কালেকশন-এর নতুন স্টক এখন পাওয়া যাচ্ছে স্টাইল বাজারে। কিডস্ ওয়্যারে রয়েছে ট্রেন্ডি ফ্রক, ফ্যান্সি ফ্রক, প্যান্ট, টি-শার্ট, জামাইকা বারমুডার ব্র্যান্ডেড ও লেটেস্ট কালেকশন। লেডিস ওয়্যারে রয়েছে নতুন রেঞ্জের এবং লেটেস্ট ক্রপ টপ, ফিউশন টপ, ফ্যান্সি মিডি শর্ট ড্রেসেস, হট প্যান্ট, পালাজো, ডেনিম শার্ট, কুর্তি, চুড়িদার, ওয়াইল্ড পালাজো, লেহেঙ্গা ও ক্রপ টপ সেট, সারারা সেট। সঙ্গে পাবেন বাংলার তাঁত, জামদানি-ঢাকাই শাড়ি সিল্কের নতুন কালেকশন এবং গরদের শাড়ি যা আপনাকে আকৃষ্ট করবেই। পুরুষদের জন্য নতুন কালেকশনের গ্রাফিক টি-শার্ট, পোলো টি-শার্ট, জহরকোট এবং পাঞ্জাবি, শেরওয়ানি এবং ব্র্যান্ডেড শার্ট, টি-শার্ট, জিনস ও ট্রাউজার্স পাবেন এমন সব কিছুই। কেনাকাটায় থাকছে আকর্ষণীয় উপহার। উপহার হিসেবে পাবেন ডাফেল ব্যাগ, ক্যাসারোল সেট, ফোর হুইলার হার্ড ট্রলি। এছাড়াও বাম্পার উপহার হিসেবে কেনাকাটায় জিততে পারেন সোনার কয়েন অথবা গাড়ি।
আইপিএল মরশুমে হোমটাউন সম্ভার
খেলা দেখার সময় আরাম ও মনোযোগের ঘাটতি হলে চলে না। একটানা খেলা দেখতে দেখতে ঘাড়-মাথা ব্যথা হলে বা হাঁটু টনটন করে উঠলে কিন্তু খেলা দেখার মনমেজাজ বিগড়ে যেতে বাধ্য। তাই আইপিএল চলাকালীন আপনার বসার আরামকে আর একটু বাড়িয়ে তোলার কথা ভেবেছে হোমটাউন। আসবাবপ্রস্তুতকারী এই সংস্থা বাজারজাত করেছে কিছু উন্নতমানের রিক্লাইনার। নিজের উচ্চতা ও ওজন অনুয়ায়ী এই রিক্লাইনার বাছতে পারেন। শরীরের ক্ষতি না করে আরাম পৌঁছে দিতে এই নতুন রিক্লাইনারগুলি যথেষ্ট দড়। নিজের বাড়ির দেওয়াল, পর্দার রং, সিলিংয়ের প্যাটার্ন ও রঙের উপর নির্ভর করে রিক্লাইনার পছন্দ করতে পারেন আপনি। হোমটাউনের এই রিক্লাইনারগুলো কোমরের লাম্বার অংশে আরাম ও সাপোর্ট পৌঁছে দেবে। এর অ্যাডজাস্টেবল হেড রেস্ট খেয়াল রাখবে ঘাড় ও মাথার আরামের দিকে। ওয়ান সিটার, টু সিটার হিসেবে বা এল শেপের গোটা সেটটাই কিনতে পারেন। রেঞ্জ শুরু ১৯,৯৯৯ থেকে ১,৫০০০০ টাকা পর্যন্ত। হোমটাউনের সব শোরুম ও এদের অনলাইন সাইট থেকে কেনাকাটা করতে পারবেন।
নিলনস-এর নয়া জিপ্রোডাক্ট
দেশের অন্যতম খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ সংস্থা নিলনস তাদের চাইনিজ রেঞ্জে বেশ কয়েকটি নতুন প্রোডাক্ট সংযোজন করেছে। যেমন— চাটনি, মশলা, লাল ও সবুজ চিলি স্যস, সয়া স্যস, সেচুয়ান চাটনি, ভিনিগার, মাঞ্চুরিয়ান মশলা, চিকেন ৬৫ মশলা, চাউমিন মশলা প্রভৃতি। নতুন এই সেচুয়ান চাটনির দাম শুরু ১০ টাকা থেকে। সয়া স্যস, রেড ও গ্রিন চিলি স্যস মিলবে ২০ টাকার প্যাকেট থেকে। ৬ গ্রাম ওজনের চাউমিন মশলা, সেচুয়ান ফ্রায়েড রাইস মশলা, পনির চিলি মশলা, মাঞ্চুরিয়ান মশলার দাম পড়বে ৫ টাকা করে। চিকেন মশলা পেয়ে যাবেন ১০ টাকায়। ভিনিগার পাবেন ৪৫ টাকা থেকে। সংস্থার মতে, প্রতিটি আইটেম সেরা উপাদান দিয়ে বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হয়। সেইসঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে যাতে এর গুণমান বজায় থাকে সেদিকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। স্বাদে গন্ধে ভরপুর এই প্রোডাক্টগুলি প্রায় সর্বত্র পাওয়া যাচ্ছে।
শ্রেয়াস ফ্যাশনের পুজো কালেকশন
সামনেই বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। তাই এক্সক্লুসিভ পুজো স্পেশাল পোশাকের কালেকশন নিয়ে এসেছে শ্রেয়াস ফ্যাশন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর কালেকশনটির উদ্বোধন করেন বিউটি এক্সপার্ট নিকোলা গোমস। পুজো স্পেশাল কালেকশনে পাওয়া যাচ্ছে কুর্তি, সালোয়ার, পালাজো, টপ, গাউন, স্কার্ট প্রভৃতি। পোশাকগুলির নকশা করেছেন ডিজাইনার তথা শ্রেয়াস ফ্যাশনের কর্ণধার অদিতি ভট্টাচার্য। মূলত হ্যান্ডলুম কটন, লিনেন, জয়পুরি মলমল মেটিরিয়াল দিয়েই পোশাকগুলি তৈরি করেছেন তিনি। দাম শুরু ৮৫০ টাকা থেকে। ঠিকানা: ৪৫এ, বুড়ো শিবতলা রোড, কলকাতা-৩৮, যোগাযোগ: ৯৮৭৫৪৭১৯৫৮