বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
আমরা মেয়েরা
 

শিশুকন্যাদের সার্বিক
উন্নতির জন্য প্রকল্প 

গদাধর অভ্যুদয় প্রকল্প বা জিএপি একটি বিশেষ ধরনের প্রকল্প। রামকৃষ্ণ মিশন একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়ে এই প্রকল্পটি শুরু করেছে। বাচ্চাদের সার্বিক উন্নতির জন্য এই প্রকল্পটির আয়োজন। পড়াশোনার পাশাপাশি বাচ্চা মেয়েদের মানসিক ও শারীরিক উন্নতিরও প্রয়োজন। আর সেই প্রয়োজনের ভিত্তিতেই এই প্রকল্পের আয়োজন। পাঁচ থেকে বারো বছরের বাচ্চারা এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। নাচ, গান, আবৃত্তি শেখানোর পাশাপাশি পড়াশোনার বিভিন্ন বিষয়ের উপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানালেন রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজরা। তাঁদের কথায়, ‘স্কুলের বিভিন্ন বিষয়ে অনেক ছাত্রীই একটু কমজোরি হয়ে পড়ে। স্কুলে হয়তো তাদের প্রতি আলাদা করে নজর দেওয়া সম্ভব হয় না সবসময়। সেক্ষেত্রে কার কোন বিষয়ে ঘাটতি রয়েছে সেটা দেখে নিয়ে তাকে সেই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়। এছাড়াও বাচ্চাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ক্যাম্পেরও আয়োজন করা হয়। যোগাসনের ক্লাস নেওয়া হয় নিয়মমাফিক। মহারাজরা জানালেন, ‘আগে যেমন ব্রতচারী হতো, সেই রকমই আবারও ফেরানোর কথা ভাবা হচ্ছে। আর গ্রামাঞ্চলের দুঃস্থ বাচ্চাদের স্কুলের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিসও দেওয়া হচ্ছে। যেমন স্কুল ব্যাগ, স্টেশনারি সামগ্রী, ইউনিফর্ম ইত্যাদি। আজকাল কোভিড পরবর্তী যুগে স্যানিটাইজেশন খুবই জরুরি হয়ে উঠেছে। সেক্ষেত্রে স্যানিটাইজার, হ্যান্ড ওয়াশ ‌ইত্যাদিও তাদের দেওয়া হয়।’ 
পড়াশোনা তো স্কুলে করানো হয় বটেই। কিন্তু তার পাশাপাশি একটু খেলাধুলোরও সুযোগ থাকা দরকার বলে মনে করেন রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজরা। তাঁরা বলেন, ‘আমাদের সমাজে ক্রমশ পড়াশোনার চাপটা এতই বেড়ে যাচ্ছে যে বাচ্চাদের দম ফেলারও সময় থাকছে না। আমরা সেই ফুরসতটাই বাচ্চাদের দেওয়ার চেষ্টা করছি।’ 
এই প্রকল্পে গান, আঁকা, নাচ ও আবৃত্তি শেখানো হয়। মূলত বস্তি ও গ্রামাঞ্চলের ছাত্রীদের এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। আমাদের সমাজে এখনও শিশুকন্যারা অবহেলিত। ফলে তাদের উন্নত জীবনের আশাতেই এই প্রকল্পের আয়োজন করা হয়েছে। ২০২১ সাল থেকে এই প্রকল্পটি শুরু করা হয়। চারটি ইউনিট দিয়ে তা শুরু করা হয়েছিল ক্রমশ বেড়ে কুড়িটি ইউনিটে দাঁড়িয়েছে। এই প্রকল্পে মেয়েদের অংশগ্রহণ বেশ ভালো। মেয়েরা যাতে বড় হয়ে নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারে সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে এর মাধ্যমে। তাদের পড়াশোনা, নাচ গান ইত্যাদি শেখানোর পাশাপাশি সচেতনতাও বাড়ানোর চেষ্টা  করা হচ্ছে। স্বনির্ভরতা তাদের ভবিষ্যতের জন্য কতটা দরকার, তা বোঝানো হচ্ছে। ফলে সব মিলিয়ে এই প্রকল্পটি মেয়েদের ভবিষ্যত শক্ত করবে বলেই মহারাজরা আশাবাদী।    

12th     November,   2022
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ