বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
চারুপমা
 

আরামের দৈনন্দিন

উৎসব শেষে ঢিলেঢালা সাজে ফেরার সময়। রইল সুতি, গামছার যুগলবন্দি।  
 
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। উৎসব থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখতে সে শেখেনি। তবুও ধারে ভারে উৎসবের আতিশয্য কমে বইকি। চলতি বছরের মতো তালিকায় থাকা বড় উৎসবের পালা শেষ। সাজগোজেও খানিক বিরতি। ফের চেনা দৈনন্দিনে। কাজ হোক বা আড্ডা, সবই  ছুটবে ঘড়ি ধরে। সেখানে ঢিলেঢালা আরামই মুখ্য। উৎসবের ঈষৎ জমকালো পোশাক এবার চলে যাবে ওয়ার্ডরোবের পিছনের সারিতে। ফের ক্যাজুয়াল লুক-এ ফেরার পালা। আর সেখানে আপনার হাত ধরতে পারে ‘জোনাকির হাট’। 
পোশাকে আরামের খোঁজ পাবেন তৃষিতা মুখোপাধ্যায়ের কাছে। ‘চতুষ্পর্ণী-র ফোটোশ্যুটে তাঁর ‘জোনাকির হাট’ সাজিয়েছে অভিনেত্রী স্নেহা চট্টোপাধ্যায়কে। ‘জোনাকিকে আমি বলি  উপহারের কারখানা। বাড়ির চার দেওয়ালের মধ্যেই তার কলকব্জা, সেখানেই অফিস আর সেখানেই গুদামঘর। লকডাউনের সময় যখন চারিদিকে বিষণ্ণতা, অর্থকষ্ট, ছাঁটাই তখন জোনাকির জন্ম’, বললেন তিনি। 
আরামদায়ক পোশাকের কথা মনে হলে গ্রীষ্মপ্রধান দেশে ফ্যাব্রিক হিসেবে সুতিকে বেছে নেওয়ার প্রবণতা রয়েছে অনেকেরই। তার সঙ্গে রকমারি গামছা চেক গত কয়েক বছর ধরেই জনপ্রিয়। ‘জোনাকি’-র সঙ্গে গামছার সম্পর্ক অটুট। কারণ? তৃষিতার কথায়, ‘গামছা ছিল সবচেয়ে নাগালের মধ্যে। কিছু কিছু গামছা দেখে মনে হতো তা শুধুমাত্র ‘গা-মোছা’ হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। এই গামছার বুননেই বাংলার তাঁতিদের দক্ষতা দেখা যায়। দৈনন্দিনে এই ধরনের পোশাক বেছে নিলে বাংলার তাঁতশিল্পের প্রতি একটা অর্থনৈতিক অবদানও যেন থেকে যায়।’
শুধু আরাম নয়। তার সঙ্গে রুচিশীলতাও প্রয়োজন নিত্যদিনের পোশাকে। বাংলার গামছার পাশাপাশি অন্য প্রদেশের গামছাও এখন ফ্যাশন সরণিতে জনপ্রিয়। ‘দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গামছারা এসে জোনাকির হাটকে আলো করেছে। দক্ষিণ ভারতের আলপনা আঁকা গামছা থেকে আসামের সুতোর কাজ করা ‘গামোসা’, ওড়িশার সম্বলপুরের চেক ও পাড় দেওয়া গামছা থেকে বাংলাদেশের রঙিন গামছা সবরকম, সব প্রান্তের গামছা দিয়ে জোনাকিতে তৈরি হচ্ছে গামছার সাজ,’ বললেন ডিজাইনার।
ফ্যাশনের সঙ্গে সচেতনতারও হৃদ্যতা রয়েছে। আপনি পরিবেশসচেতন হলে তবেই তো আপনার রুচির প্রতি সম্ভ্রম জাগবে। সেই আঙ্গিকে ‘রিসাইকেল’-এর কথা ভাবছেন অনেকেই। গামছার ভিড়ে জোনাকির বিশেষত্বও সেখানে। রং তুলি অথবা সূচ সুতো দিয়ে কখনও ফুটে ওঠে দুর্গার মুখ, কখনও ফ্রিডা কালহো, কখনও পুরনো গানের লাইন, কখনও প্রেম-প্রতিবাদ।  জামাকাপড় বানাতে গিয়ে যে রংবেরঙের কাপড়ের টুকরো বেঁচে যায়, তা দিয়েই ছবি আঁকা হয়। অর্থাৎ ফেলে দেওয়া কাপড়ের টুকরোকে পুনর্ব্যবহার করে কখনও সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’, ‘দেবী’ আবার কখনও ভ্যান গঘের ‘স্টারি নাইট’ আঁকা হয় শাড়ি, ব্লাউজ বা ব্যাগের উপর। 

• সাদা কালো ওয়ান পিস: সাধারণ তাঁত গামছা দিয়ে তৈরি স্ট্রেট ওয়ানপিস, লেয়ার্ড স্লিভস যুক্ত হাতায় ব্যবহার করা হয়েছে বসিরহাটের গামছা। 

• ময়ুর রঙের ফ্রক: নবদ্বীপের গামছা দিয়ে তৈরি এই কুচি ঘেরওয়ালা জামায় হরেক রঙের সমাহার, এর বাটারফ্লাই স্লিভস রয়েছে। 

• বাহার: বিভিন্ন গামছার টুকরো জুড়ে জুড়ে ডিজাইন করা হয়েছে এই ড্রেসটির। 

• পেটালস: এই ওয়ানপিস তৈরি সম্বলপুরের গামছা দিয়ে। একরঙা চেক গামছার সঙ্গে কনট্রাস্টে রয়েছে ইক্কতের ফ্যাব্রিক।

• স্টারি নাইট টি-শার্ট: ফেলে দেওয়া কাপড়ের টুকরো দিয়ে কাপড় কেটে কেটে টি-শার্টের উপরে ভ্যান গঘের ‘স্টারি নাইট’ তৈরি হয়েছে। 

 
মডেল: স্নেহা চট্টোপাধ্যায়।
পোশাক: জোনাকির হাট, যোগাযোগ: ৮৪২০৫৩৭১৯০
ছবি: শুভময় মণ্ডল, এসকে ইমামুদ্দিন।

29th     October,   2022
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ