বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
অমৃতকথা
 

ধর্ম

ধর্ম খণ্ডের এটাই ধর্ম (যার বর্ণন ৩৪ তম পৌঁড়িতে করা হয়েছে)। এবার আমি জ্ঞান খণ্ডের কাজ (বিশেষতা) বলছি। জ্ঞান খণ্ডে অনুভুতি হয় কি কত পবন, জল এবং অগ্নি আছে এবং কৃষ্ণ ও শিবই বা কত। কতগুলিই বা ব্রহ্মা আছে যারা বিভিন্ন রূপ ও রঙের বেশ গড়ে আর শৃংগার করে। কতই বা কর্ম ভূমি, সুমেরু পর্বত বা ধ্রুব আর কতই বা তাদের উপদেশ দেবার জন্য নারদ মুনি আছে। কতই বা ইন্দ্র আর চন্দ্র তথা তারা মণ্ডল এবং অন্য দেশ আছে। কতই বা সিদ্ধ, বুন্ধ আর বা নাথ আছে। কত দেব দেবীর বেশ আছে। কত আছে দেব ও দানব। কত মুনিগণ আছে তথা রত্ন স্রোত ও সমুদ্র। কতখনি নীবন স্রোত এবং কত বানী, কত রাজা পালন করার বাদশাহ আর কত রাজগণ কত ধ্যানী আর কতই না সেবক! গুরু নানক দেব বলেন যে জ্ঞান অন্তের কোন অন্ত নেই।
জ্ঞান খণ্ডে জ্ঞানের প্রচণ্ডতা আছে অর্থাৎ জ্ঞানের অবস্থায় প্রচণ্ড আছে কি সেখানে আনন্দময় রাগ এর মধুর শব্দ বাজছে যা কোটি গুণেরও অধক আনন্দ বিনোদ প্রদান করে। ‘সরম খণ্ডে’ র বাণী সুন্দরতা। সেখানে উপমা রহিত অপার জীবন গড়া হয় এবং অলংকৃত হয়। সেই অবস্থায় আলোচনা শব্দ দিয়ে করা সম্ভব নয় যে আর যে তার প্রয়াস করে তাকে পর পন্তাতে হয়। সেকানে ‘সরম খণ্ডে’ ধ্যান শক্তি, বুদ্ধি, মন আর মত তৈরী করা হয়। অর্থাৎ তার শুদ্ধি হয় তথা দেবতা তথা সিদ্ধ দের স্মৃতি তৈরী হয়, তথা অলৌকিক বুদ্ধি সত্ত্বারও বিকাশ হয়।
কর্ম খণ্ডের বাণীর বিশেষতা হল আত্নিক ভক্তি এবং শক্তি। সেখানে আত্নিক বল যুক্তারা ছাড়া আর কেউ আসতে পারে না। সেখানে যোদ্ধাগন, মহাবনী এবং শূরবীরেরা আছে। তাদের মধ্যে রাম পূর্ণ রূপে মিশে আছে। সেখানে পবিত্র ভক্তি এবং শক্তির প্রতীক সীতাদের সমষ্টি আছে যারা তাদের প্রিয়তম রামের মহিমাতে নিজেদের গেঁথে রেখেছেন। তাদের সৌন্দর্য এবং দিব্য রূপের বর্ণনা করা অসম্ভব। যাদের মনে রাম বাস কতে তারা মরেও না, মায়া দ্বারা তাদের ঠকানোও যায় না। সেখানে ‘সত্য খণ্ড’ তে নিরাকার পরমাত্মার নিবাস। ‘সে’ সৃষ্টির রচনা করে তার দেখাশোনা করে এবং নিজের কৃপাদৃষ্টি তে সকলকে ভরিয়ে রাখে। সেখানে অসংখ্য খণ্ড, মণ্ডল এবং ব্রহ্মাণ্ড আছে। যদি কেউ কথা ব্যাখ্যান করতে চায় তাহলেও ‘তার’ অন্তের কোন অন্ত নেই। সেখানে অসংখ্য লোক এবং সেই লোকের আনেক আকার। যেমন যেমন ‘তার’ হুকুম হয় তেমনই সমস্ত কাজ করা হতে থাকে। তাঁরা যখন দেখেন তো আনন্দে প্রফুল্লিত হয় ওবেন। গুরু নানক দেব বলেন-সেই অবস্থার বর্ণনা করা লোহার মত কঠিন। আহা! পূর্ণমিলনের অবস্থা অবর্ণনীয়। হে বন্ধু! সংযমের উনুন জ্বালাও অর্থাৎ ইন্দ্রিয় আর মনের বিষয় বাসনা থেকে দূরে থাকা এবং ধৈর্য রূপী স্বর্ণকার হও। সুমিতা-র লোই পিণ্ড রাখো আর জ্ঞানের হাতুড়ি নাও। প্রভূ ভয় এর ধোঁকনী আর তপস্যার অগ্নি জ্বালাও। প্রেম ভার এর পেয়ালা নাও যাতে অসৃত রূপী নীম রস তালো। এই ভাবে যথার্থ টাঁকশালে শব্দ নামের মুদ্রা তৈরী করো। যার ওপর ‘তার’ অপার দৃষ্টি হয় সেই এই কাজে লাগে। গুরু নানক দেব বলেন সেই মত কর্তা প্রভূ-র কৃপাদৃষ্টি তে কতার্থ হয় যায়।
‘আদি শ্রী গুরু গ্রন্থ সাহেব’ থেকে

16th     January,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ