বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
অমৃতকথা
 

কুণ্ডলীশক্তি

“মস্তিষ্ক-মধ্যগত ব্রহ্মরন্ধ্রস্থ অবকাশ বা আকাশে অখণ্ড-সচ্চিদানন্দস্বরূপ পরমাত্মার বা শ্রীভগবানের জ্ঞানস্বরূপে অবস্থান। তাঁহার প্রতি কুণ্ডলীশক্তির বিশেষ অনুরাগ, অথবা শ্রীভগবান তাঁহাকে নিরন্তর আকর্ষণ করিতেছেন।” এই আকর্ষণ কিরূপে বুঝিতে বা অনুভব করিতে পারা যায়? ষট্‌চক্র, শিবসংহিতা এবং অপর যোগশাস্ত্রে প্রথমচক্রে(মূলাধার) পদ্মের ৪টি কর্ণিকা নির্দিষ্ট আছে, এবং কুণ্ডলিনী মূলাধা-পদ্ম হইতে উত্থিত হন, বর্ণিত আছে। কিন্তু পূজনীয় স্বামীজির রাজযোগে কুণ্ডলিনীর যে ছবি আছে তাহা দৃষ্টে বোধ হয় কুণ্ডলিনী স্বাধিষ্ঠান-পদ্ম (৬টি কর্ণিকাযুক্ত) হইতে উত্থিত হইতেছেন। এই বিভিন্নতার কারণ বুঝিতে পারিতেছি না। কুণ্ডলিনী আজ্ঞাচক্রে উঠিবার পূর্ব লক্ষণ কি? অর্থাৎ উক্ত স্থানে উঠিবার পূর্বে কিরূপ অনুভূতিসকল হয়? “ভ্রুমধ্যস্থলে মন উঠিলেই পরমাত্মার দর্শন হয় ও জীবের সমাধি হয়। তখন পরমাত্মার ও জীবাত্মার মধ্যে একটি স্বচ্ছ, পাতলা পর্দামাত্র আড়াল থাকে।” জীবাত্মার অবস্থান কোন্‌ স্থানে? জীবাত্মাই ত পরমাত্মা। যখন কুণ্ডলিনী মস্তিষ্কে উপনীত হন তখন জীবাত্মাই তো পরমাত্মার স্বরূপ ধারণ করেন বা পরমাত্মারূপে প্রকাশ পান? আর ভ্রুমধ্যে মন উঠিবার পূর্বে ৪র্থ ও ৫ম ভূমিচক্র হইতে যে-সব দেবদেবীর দর্শন হয় তাহাকে কি সমাধি বলে না? যখন কুণ্ডলিনী প্রথম আজ্ঞাচক্রে উপস্থিত হন তখন যে সমাধি হয় তাহা কতদিন পর্য্যন্ত থাকে এবং সে অবস্থায় সমাধি ভাঙ্গান, এবং সমাধিস্থ লোককে কিছু খাওয়াইয়া দিবার আবশ্যকতা হয় কি-না? আহার করার অন্ততঃ চারি ঘণ্টা পরে প্রাণায়াম করিলে দোষ হইবে না। দিনে ও রাত্রে প্রাণায়ামের ঐ নিয়ম পালন করিবে। প্রাণায়াম-কালে ভাবিবে মন্ত্রটি বায়ুর সহিত মিলিয়া মূলাধার-চক্রে(শিরদাঁড়ার নীচে) কুণ্ডলিনীকে জাগাইয়া মস্তকস্থ জ্যোতির্ময় পরামাত্মার সহিত মিলাইয়া দিতেছে। যেরূপ বলিয়া দিয়াছি সেই সেই কার্যগুলি ক্রমানুসারে প্রথমে করিয়া পরে প্রাণায়াম ও জপ করিবে। ঐভাবে কিছুদিন করিলেই নিজে সমস্ত অনুভব করিতে পারিবে। ভ্রুযুগলের উপরে অবস্থিত দ্বাদশদল শ্বেতবর্ণ পদ্মে শ্রীগুরুর ধ্যান করিবে। সেই সময় গুরুর ধ্যান পাঠ করিতে হয়। ...যাঁহার নিকট দীক্ষা লওয়া হয় শ্রীভগবান তাঁহার ন্যায় জ্যোতির্ময় মূর্তি ধারণ করিয়া ঐ দ্বাদশদল পদ্মে গুরুরূপে অবস্থান করেন। জপ-ধ্যান, পূজাদি করিতে বসিয়া প্রথমেই তাঁহার ধ্যান পাঠ করিয়া তাঁহাকে চিন্তা করিতে, ও ‘অখণ্ডমণ্ডলাকারং’ ইত্যাদি বলিয়া প্রণাম করিতে হয়। এবিষয়ে যেরূপ বলিয়া আসিয়াছি সেইগুলি পরপর করিবে।...সাম্‌নাসাম্‌নি অর্থাৎ তুমি যদি পূর্ব মুখে বসিয়া থাক ত তাঁহারা (ইষ্ট বা গুরু) পশ্চিম মুখে বসিয়া আছেন, এইরূপ ভাবিতে হয়।
স্বামী সারদানন্দের ‘পত্রমালা’ থেকে 

18th     September,   2021
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ