বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
শিল্প -বাণিজ্য
 

টেন্ডার খুলবে ফেব্রুয়ারিতে, তাজপুর
পরিদর্শনে আদানি সহ চার শিল্পগোষ্ঠী

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: তাজপুর বন্দর তৈরি করতে দেশি-বিদেশি চারটি বৃহৎ বন্দর নির্মাণকারী সংস্থা সক্রিয়ভাবে আগ্রহ প্রকাশ করল। সেই চারটি সংস্থার কর্তাব্যক্তিরা ইতিমধ্যে তাজপুরের প্রস্তাবিত গভীর সমুদ্র বন্দরের ‘সাইট ভিজিট’ করেছেন। তা দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। সেই চারটি সংস্থা হল—আদানি গ্রুপ, জিন্দাল গ্রুপ, পোর্ট অফ সিঙ্গাপুর অথরিটি এবং দুবাই পোর্ট ওয়ার্ল্ড। এই চারটি সংস্থার কর্তা ব্যক্তিদের সাথে রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের কর্তাদের কয়েক দফা বৈঠক হয়ে গিয়েছে। বৈঠক হয়েছে নবান্নের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে। আগামী মাসে টেন্ডার খোলার পর কার ভাগ্যে এই বন্দরের বরাত জুটছে, তা স্পষ্ট হবে। সব মিলিয়ে তাজপুর বন্দর তৈরির প্রক্রিয়া অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
ওই চারটি ছাড়াও এসার পোর্ট, জেএম বক্সি সহ ছ’টি সংস্থা নভেম্বর মাসে প্রি-বিড মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেছিল। গোটা দশেক সংস্থাকে পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করে তাজপুর বন্দরের ভৌগলিক অবস্থান ও আর্থিক সাফল্যের দিকটি তুলে ধরা হয়। এই বন্দর তৈরি করার জন্য গত অক্টোবর মাসে টেন্ডার ডাকে রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগম। পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই সমুদ্র বন্দর ১৮ মিটার গভীর করা হলে বড় মাপের জাহাজ ঢুকতে পারবে। যে জাহাজ সরাসরি হলদিয়া বা কলকাতায় আসতে পারে না। বড় জাহাজগুলি এখন ওড়িশার ধামরা বন্দরে নোঙ্গর করানো হয়। 
জানা গিয়েছে, আগামী মাসের প্রথম দিকে প্রস্তাবিত তাজপুর বন্দরের টেন্ডার ওপেন করা হবে। সেখানেই পরিষ্কার হয়ে যাবে সাত হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের বরাত কোন সংস্থার কপালে জুটবে। এই বন্দর তৈরি করতে লাগবে তিন বছর। বন্দরটি যখন পুরোদমে চালু হয়ে যাবে তখন এটির খরচ দাঁড়াবে কুড়ি হাজার কোটি টাকা। ডিজাইন, বিল্ট অ্যান্ড অপারেশন—এই পদ্ধতিতে তাজপুর বন্দর তৈরি হবে। পুরোটাই হবে বেসরকারি উদ্যোগে। এই বন্দর নির্মাণের জন্য সমুদ্র লাগোয়া ১০০ একর জমি এবং সেখান থেকে চার কিলোমিটার দূরে এক হাজার একর জমি চিহ্নিত করেছে জেলা প্রশাসন। এর জন্য কোন অধিগ্রহণ করতে হবে না। চারটি বৃহৎ নির্মাণকারী সংস্থাকে ওই জমি দেখানো হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এক হাজার একর জমিতে কার্গো ওয়্যারহাউজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। পরিবহণের সমস্ত ব্যবস্থার জন্য পরিকাঠামো তৈরি করে দেবে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি এবং শিল্পদফতরের অফিসাররা দফায় দফায় এলাকা পরিদর্শন করে একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছেন।
সমুদ্রের ২৫ কিলোমিটার ভেতরে এই গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরি হবে। যেখানে জাম্বো আকৃতির ‘কেপসাইজ’ কার্গো জাহাজও আসতে পারবে। যে জাহাজের পণ্য বহনের ক্ষমতা এক লক্ষ টন। এছাড়া ৩০ হাজার টন কার্গো বহন করার ক্ষমতা সহ অন্যান্য কম মাপের পণ্যবাহী জাহাজ অনায়াসেই আসবে ওই বন্দরে।
এত বড় মাপের বন্দর দেশের মধ্যে একমাত্র তামিলনাড়ুর শ্রীরঙ্গপত্তনমে রয়েছে। লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হবে এই বন্দর তৈরি হলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাই এখন পাখির চোখ করেছেন এই প্রকল্পকে। নিঃসন্দেহে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে রাজ্যের উন্নয়নের মুকুটে একটি বড় পালক যুক্ত হবে বলে মনে করছেন নবান্নের শীর্ষ কর্তারা।

23rd     January,   2022
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ