বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
শিল্প -বাণিজ্য
 

১৫ শতাংশ বাড়তে
পারে ফ্ল্যাটের দাম
করোনার জের কাটিয়ে চাঙ্গা হচ্ছে বাজার

বাপ্পাদিত্য রায়চৌধুরী  কলকাতা: করোনা সংক্রমণের জেরে কলকাতায় কমেছে ফ্ল্যাটের দাম। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার সর্বশেষ রিপোর্ট তেমনই বলছে। চলতি আর্থিক বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের, অর্থাৎ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যে হিসেব তারা পেশ করেছে, তাতে এমনটাই জানা যাচ্ছে। আবাসন কর্তারা বলছেন, দাম কমে যাওয়ার মূল কারণ, লাভ না রেখেই চলতি আবাসন প্রকল্পগুলি বিক্রি করছেন। পাশাপাশি তাঁরা জানাচ্ছেন, যেহেতু দাম কম, তাই ফ্ল্যাটের বিক্রি বাড়ছে। আগামী কয়েক মাস পরিস্থিতি এমনই চলবে। তবে আগামী অর্থবর্ষ থেকে ফ্ল্যাটের দাম অন্তত ১৫ শতাংশ বাড়তে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।  
সাধারণ পণ্যের পাইকারি ও খুচরো বাজারদর কেমন যাচ্ছে, তার হদিশ দেওয়ার পাশাপাশি ফ্ল্যাটের বাজারদরেরও ইঙ্গিত দেয় আরবিআই। মেট্রো শহরগুলি সহ ১০টি শহরের নিরিখে তারা গোটা দেশের ফ্ল্যাটের চাহিদার আভাস দেয়। সরাসরি দাম না জানিয়ে, তারা সূচকের মাধ্যমে তা জানায়। এই ব্যাপারে ২০১০-’১১ অর্থবর্ষের ফ্ল্যাটের দামকেই তারা ১০০ সূচক হিসেবে ধরে। সেই হিসেব মতো, গত এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত কলকাতার সূচক ছিল ২৭০.৯। এর অর্থ, গত ২০১০-’১১ অর্থবর্ষে এখানে ফ্ল্যাটের যে দাম ছিল, তার তুলনায় চলতি অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসে ফ্ল্যাটের দাম প্রায় ২.৭১ শতাংশ বেশি। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে, অর্থাৎ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেই সূচক দাঁড়ায় ২৬৮.১-এ। কিন্তু গত অর্থবর্ষের শেষ তিন মাসে, অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সেই সূচক ছিল ২৭২.৪। আবাসন কর্তারা বলছেন, এর থেকেই স্পষ্ট, করোনা আতঙ্ক শুরু হওয়ার পর ধাপে ধাপে নেমেছে রাজ্যের ফ্ল্যাটের বাজারদর। শুধু কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গই নয়, পরিস্থিতি প্রায় একই রকম মুম্বই, দিল্লি বা চেন্নাইয়ে। সর্বভারতীয় যে সূচক প্রকাশ করেছে আরবিআই, তাতেও ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই ন’মাসে অনেকটাই কমেছে ফ্ল্যাটের সামগ্রিক বাজারদর।
কম দামের হাত ধরেই বিক্রি মোটামুটি চাঙ্গা, বলছেন শিল্প কর্তারা। আবাসন নির্মাতা সংস্থাগুলির সর্বভারতীয় সংগঠন ক্রেডাইয়ের ওয়েস্ট বেঙ্গল চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট এবং মার্লিন গ্রুপের চেয়ারম্যান সুশীল মোহতা বলেন, বেশিরভাগ আবাসন নির্মাতা সংস্থাই পুরনো বা চালু প্রকল্পগুলি বিক্রি করার দিকে ঝুঁকেছিল। তারা নতুন প্রকল্প তৈরির দিকে হাঁটেনি। বসবাসের ফ্ল্যাট এবং বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারের আবাসনের দাম গত পাঁচ বছরে বাড়েনি। অথচ নির্মাণ খরচ বেড়েছে বছরে পাঁচ শতাংশ হারে। ফলে যারা ফ্ল্যাট বিক্রি করছে, তারা কিন্তু কোনও লাভ রাখতে পারছে না। তাই নতুন প্রকল্প সামনে আনতে কেউই চাইছে না। তবে ব্যবসার ক্ষেত্রে আশার আলো যে একেবারেই নেই, তা নয়, মানছেন সুশীল মোহতা। তিনি বলেন, ডিসেম্বর মাসে কিন্তু ফ্ল্যাটের দাম বাড়তে শুরু করেছে। অন্তত পাঁচ শতাংশ দাম বেড়েছে এই সময়ে। আমাদের আশা, আগামী মার্চ মাসের মধ্যে আরও ১০ শতাংশ বাড়তে পারে ফ্ল্যাটের দাম। সেক্ষেত্রে তা আবাসন নির্মাতাদের কিছুটা হলেও ‘ইনসেনটিভ’ দেবে। অর্থাৎ কিছুটা আর্থিক সুরাহা পাবে সংস্থাগুলি। তাতে এপ্রিল বা তারপর থেকে ফের নতুন আবাসন প্রকল্প সামনে আসতে পারে বলে মনে করছেন ওই ক্রেডাই কর্তা। তাঁর কথায়, ফ্ল্যাট বিক্রির বাজার কিন্তু ভালো গিয়েছে নভেম্বর-ডিসেম্বরে। এর অন্যতম কারণ ফ্ল্যাটের দাম না বেড়ে যাওয়া এবং গৃহঋণের সুদের হার অনেকটাই কমে যাওয়া। করোনার আগে যে বিক্রিবাটা ছিল, তা ওই দু’মাসে ফিরে এসেছে। আশা করা যায়, আগামী কয়েক মাসও সেই চাহিদা বজায় থাকবে। 

14th     January,   2021
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ