বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
খেলা
 

খাদের কিনারা থেকে ফিরে তৃপ্ত ম্যাচের নায়ক

ইন্দোর: যন্ত্রণামুক্তির অভিব্যক্তি হয়তো এরকমই হয়। যা দেখা গেল শ্রেয়স আয়ারের ক্ষেত্রে। রবিবার হোলকার স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে দুর্দান্ত শতরান হাঁকানোর পর সিংহের মতো গর্জন করতে দেখা গেল তাঁকে। হেলমেট খুলে ব্যাট উঁচিয়ে আকাশের দিকে তাকালেন, বিড় বিড় করে হয়তো ঈশ্বরকে ধন্যবাদও জানালেন। সত্যিই তো, ঈশ্বরের অাশীর্বাদ ছাড়া এভাবে কি ফিরে আসা যায়!
একদিনের ফরম্যাটে তৃতীয় শতরান পূর্ণ করতে শ্রেয়সের লেগেছে ৮৬ বল। আগাগোড়াই তাঁর খেলায় ধরা পড়ছিল আত্মবিশ্বাসের ছাপ। মনে হচ্ছিল, বড় রান না করে তিনি কিছুতেই মাঠ ছাড়বেন না। দুর্দান্ত এক যুগলবন্দিও দেখা গেল তাঁর সঙ্গে গিলের। অবশেষে এল সেই মুহূর্ত। অ্যাডাম জাম্পার বল লং অনে ঠেলেই সিঙ্গলস নিলেন শ্রেয়স। পূর্ণ হল বহু প্রতীক্ষিত সেঞ্চুরি। করতালিতে ফেটে পড়ল গ্যালারি, যা তাঁর কাছে কঠিনতম লড়াইয়ে অক্সিজেনের মতো কাজ করল।
শ্রেয়স প্রকৃত অর্থে ভালো যোদ্ধা। প্রবল প্রতিকূলতার মুখেও মাথানত করেন না। গত কয়েক মাসে কী ঝড়ই না বয়ে গিয়েছে তাঁর উপর দিয়ে। চোটের কারণে খেলতে পারেননি আইপিএলে। অনেক চেষ্টার পর মাঠে ফিরলেন এশিয়া কাপে। কিন্তু কামব্যাক মঞ্চও ছিল কণ্টকাকীর্ণ। ওই আসরে দু’টি ম্যাচ খেলার পরেই ফের থাবা বসাল চোট। তার জেরে সুপার ফোর ও ফাইনালে তাঁকে বসতে হয়েছিল ডাগ-আউটে। তা দেখে নিন্দুকেরা বলতে শুরু করেছিলেন, এমন একজন আনফিট ক্রিকেটারকে কোন যুক্তিতে রাখা হল বিশ্বকাপ স্কোয়াডে? সমালোচনায় জর্জরিত হচ্ছিলেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়ও। তাঁর ক্রিকেট দর্শনও যেন ভুল প্রমাণিত হতে বসেছিল। ‘দ্য ওয়াল’ বাধ্য হয়েই বিকল্প খোঁজার পথে হাঁটতে শুরু করেন। শ্রেয়সের বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন ক্রমশ ঢাকা পড়ছিল অনিশ্চয়তার কালো মেঘে।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চলতি সিরিজ তাই শ্রেয়সের কাছে হয়ে উঠেছিল অগ্নিপরীক্ষার মঞ্চ। প্রথম ম্যাচে বড় রান পাননি। ফেলেছিলেন সহজ ক্যাচও। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল তাঁর। অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, শ্রেয়সকে হয়তো ‘আনফিট’ ঘোষণা করে বিশ্বকাপ দল থেকে বাদই দেওয়া হবে। পরিবর্ত হিসেবে কাউকে বেছে নেওয়া হবে ২৮ সেপ্টেম্বরের আগেই। কিন্তু চাপের মুখে ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠলেন ২৮ বছরের তরুণ ব্যাটসম্যান। উপহার দিলেন এক ঝোড়ো ইনিংস। ৯০ বলে তাঁর সংগ্রহ ১০৫। ১১টি বাউন্ডারির পাশাপাশি তিনটি ওভার বাউন্ডারিও বেরিয়েছে তাঁর ব্যাট থেকে। ইনিংস শেষে ম্যাচের নায়ক শ্রেয়স বলেন, ‘অনেক ওঠা-পড়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। তবে নিজের উপর বিশ্বাস হারাইনি।’ শতরানের ইনিংস নিয়ে তাঁর মূল্যায়ন, ‘প্রথম থেকেই ঠিক করে নিয়েছিলাম ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলব না। যতটা সম্ভব ‘‘ভি’’এর মধ্যে খেলার চেষ্টা করব। ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাস বাড়তে থাকে। তবে উইকেট সহজ ছিল না শুরুতে। তার উপর ছিল অসমান বাউন্স। তা সত্ত্বেও আমি লক্ষ্যে অবিচল থেকেছি। বড় রান করে দলকে মজবুত ভিতে দাঁড় করাতে পেরে ভালো লাগছে। দুর্দান্ত ব্যাট করেছে গিলও।’ 
সেঞ্চুরির পরও তিন নম্বরে বিরাট কোহলির জায়গায় ব্যাট করার কথা ভাবছেন না শ্রেয়স। তাঁর কথায়, ‘বিরাট হল গ্রেট। এই জায়গাটা ওর থেকে নেওয়ার কথা মাথাতেই নেই। আর আমি যে কোনও জায়গায় ব্যাট হাতে নামার জন্য প্রস্তুত।’

25th     September,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ