বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
খেলা
 

স্মিথ-হেডের ব্যাটে ভারত ব্যাকফুটে
মুখ থুবড়ে পড়ল চার পেসারের ছক 

লন্ডন: সবুজ পিচ, মেঘলা আবহাওয়া। লাল চকচকে বল হাতে চার পেসার। তার উপর টস জিতে বোলিংয়ের সুযোগ। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে প্রথম দিনের সকালে এর চেয়ে ভালো প্রেক্ষাপট আর কী হতে পারে! কিন্তু হতশ্রী বোলিংয়ের সৌজন্যে মঞ্চ হাতছাড়া হতে বেশিক্ষণ লাগল না। মেঘ সরে রোদ বেরতেই বিক্রম শেষ পেস ব্যাটারির। সুইং-সিমের কারিকুরিতে বাজিমাতের ভাবনা ডুবল টেমসের জলে। ক্রমশ বড় রানের দিকে এগিয়ে চলছে অস্ট্রেলিয়া। দিনের শেষে ৮৫ ওভারে ৩ উইকেটে ৩২৭ রান তুলে ফেলেছে তারা। ট্র্যাভিস হেডের (ব্যাটিং ১৪৬) মারকুটে সেঞ্চুরি ও স্টিভ স্মিথের (ব্যাটিং ৯৫) দায়িত্বশীলতাই তফাত গড়ে দিল। আর সেটাই দুমড়ে-মুচড়ে দিল ভারতের মনোবল। টস জেতার সুবিধা কর্পূরের মতো উবে গেল বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে। ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মার শরীরী ভাষায় ফুটে উঠল হতাশা। দলের সেরা স্ট্রাইক বোলারকে বাইরে রেখে নামলে তো এমনই হওয়ার কথা। বরাবর বাঁহাতিদের ত্রাস রবিচন্দ্রন অশ্বিন। স্মিথের বিরুদ্ধে তাঁর রেকর্ডও দুর্দান্ত। চতুর্থ উইকেটে বাঁহাতি ট্র্যাভিস যখন স্মিথের সঙ্গে দু’শোর বেশি রানের জুটিতে মজবুত অবস্থানে পৌঁছে দিচ্ছিলেন ক্যাঙারু বাহিনীকে, তখন তারকা অফস্পিনারটিকেই মনে মনে খুঁজছিলেন সমর্থকরা।
ক্রিকেটের প্রাচীন অরণ্যপ্রবাদ বলে, পরিস্থিতি যাই হোক, সেরা দলকেই খেলানো উচিত। কারণ, যে কোনও কন্ডিশনে তফাত গড়ে দেয় স্কিল। সবুজ পিচ মানেই চার পেসারের ফর্মুলা প্রয়োগ করতে হবে এমনটা কোন ক্রিকেট বাইবেলে লেখা আছে? তাও আবার অশ্বিনের বিনিময়ে প্রথম এগারোয় আসা সেই চতুর্থ পেসারের নাম কি না উমেশ যাদব! রোহিত-দ্রাবিড় জুটির এমন স্ট্র্যাটেজির গলদ সত্যিই বিস্ময়কর। শতরানের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাওয়ার পর ট্র্যাভিসের শর্টপিচ ডেলিভারিতে দুর্বলতা খুঁজে পেলেন সামি-সিরাজরা। ততক্ষণে যা বরবাদ হওয়ার হয়ে গিয়েছে। এতেই পরিষ্কার টিম ইন্ডিয়ার হোম ওয়ার্কের অভাব। শিক্ষাদীক্ষাতে দিগগজ হিসেবে প্রসিদ্ধ কোচ দ্রাবিড় যে পড়াশুনা না করে ফাইনাল পরীক্ষায় নেমে পড়বেন, সেটাই বা কে জানত! সেই সুযোগ নিতে ভুল করেননি অজিরা। ৬০ বলে পঞ্চাশ, ১০৬ বলে সেঞ্চুরি— মারমার কাটকাট মেজাজে ধ্বংসলীলা চালিয়ে গেলেন ট্র্যাভিস, যা পাল্টে দিল ম্যাচের চেহারা। ক্রমশ ব্যাকফুটে টিম ইন্ডিয়া। অন্যপ্রান্তে অ্যাঙ্করের ভূমিকায় জমাট দেখাল স্মিথকে। এমনিতেও ভারতকে দেখলেই চওড়া হয়ে ওঠে তাঁর ব্যাট। পছন্দের ওভালে স্মিথকে দুর্ভেদ্য দেওয়ালের মতোই লাগল।
অবশ্য ভাগ্যের সহায়তাও পেয়েছেন অজিরা। প্রথম স্পেলে সামি-সিরাজকে ঝাঁঝালোই দেখিয়েছিল। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তা কমলেও মাঝে মাঝেই ব্যাটারকে বিব্রত করেছেন তাঁরা। শার্দূলের সুইংও প্রায়শই পরীক্ষায় ফেলেছে স্মিথ, ট্র্যাভিসকে। কিন্তু কোনও খোঁচাই পৌঁছয়নি স্লিপে। নিয়ন্ত্রণহীন শটও জমা পড়েনি ফিল্ডারের হাতে। অথচ, সামি ও সিরাজ শুরুটা ভালোই করেছিলেন। ম্যাচের চতুর্থ ওভারে সিরাজের বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে খোঁচা দিয়ে ফেরেন উসমান খাওয়াজা (০)। দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে ইনিংস মেরামতে নামেন মার্নাস লাবুশানে (২৬) ও ডেভিড ওয়ার্নার (৪৩)। যোগ হয় ৬০ রান। লাঞ্চের ঠিক আগে শার্দূলের ডেলিভারিতে উইকেট ছুড়ে দেন ওয়ার্নার। লাঞ্চের পরেই অনবদ্য ডেলিভারিতে লাবুশানেকে বোল্ড করেন সামি। ৭৬ রানে তিন, অস্ট্রেলিয়া ইনিংসে ভাঙনের সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছিল তখন। কে জানত, এরপরই ট্র্যাভিস-স্মিথের ব্যাটে বশ মানবেন রোহিতরা!
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস- ওয়ার্নার ক ভরত বো শার্দূল ৪৩, খাওয়াজা ক ভরত বো সিরাজ ০, লাবুশানে বো সামি ২৬, স্মিথ ব্যাটিং ৯৫, ট্র্যাভিস হেড ব্যাটিং ১৪৬, অতিরিক্ত ১৭। ৮৫ ওভারে ৩২৭-৩। উইকেট পতন: ১-২, ২-৭১, ৩-৭৬। বোলিং: সামি ২০-৩-৭৭-১, সিরাজ ১৯-৪-৬৭-১, উমেশ ১৪-৪-৫৪-০, শার্দূল ১৮-২-৭৫-১, জাদেজা ১৪-০-৪৮-০।

8th     June,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ