বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
খেলা
 

প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ ঋদ্ধি-সামি
দুরন্ত জয়ে ফাইনালে গুজরাত

সুকান্ত বেরা, কলকাতা: ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরির মতো হঠাৎই জেগে উঠল ইডেন। ডেভিড মিলারের একের পর এক ছক্কার সঙ্গে গর্জে উঠল গ্যালারি। শেষ ওভারে জয়ের জন্য গুজরাতের প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার হাতে সঞ্জু বল তুলে দেওয়ার সময় হয়তো ভাবেননি, এভাবে মুখের গ্রাস ছিনিয়ে নেবে ‘কিলার’ মিলার। ছক্কার হ্যাটট্রিকে ইডেন মাতিয়ে গুজরাতকে ফাইনালে তুলে নায়ক মিলার। ৩৮ বলে ৬৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। হাঁকিয়েছেন পাঁচটি ছক্কা ও তিনটি চার। চতুর্থ উইকেটে হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে তাঁর ১০৬ রানের অপরাজিত পাটর্নারশিপের সুবাদেই আবির্ভাব আইপিএলে চমক গুজরাত টাইটান্সের। রাজস্থান হারল ৭ উইকেটে। ২৯ মে ঘরের মাঠ মোতেরায় খেতাবি লড়াইয়ে নামবেন হার্দিক পান্ডিয়ারা। প্রতিপক্ষ কারা, সেটাই এখন জানার অপেক্ষা। 
টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে রাজস্থান ৬ উইকেটে ১৮৮ রান তোলার পর একবারের জন্য মনে হয়নি এত সহজে জয় হাশিল করে ফেলবে গুজরাত। তার উপর প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই ঋদ্ধিমান সাহা কট বিহাইন্ড (০)। তারকাদের ছাপিয়ে এই ম্যাচে প্রচারের আলো অনেকটাই শুষে নিয়েছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা ও মহম্মদ সামি। কিন্তু প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ দু’জনেই। সামি ৪ ওভারে ৪৩ রান বিলিয়ে পেয়েছেন মাত্র ১টি উইকেট। আর ঋদ্ধিকে ঘিরে প্রত্যাশার যে ফানুস তৈরি হয়েছিল, তা চুপসে যেতেও বেশি সময় লাগেনি। তবে প্রাথমিক ধাক্কা সামলে দ্বিতীয় উইকেটে ঝোড়ো ৭১ রান যোগ করেন শুভমান গিল ও ম্যাথু ওয়েড। ম্যাচে যখন ক্রমশ জাঁকিয়ে বসছিল গুজরাত, ঠিক তখনই রান আউট গিল (৩৫)। কিছুক্ষণের মধ্যে মাঠ ছাড়েন ওয়েডও (৩৫)। গুজরাতের স্কোর তখন ৩ উইকেটে ৮৫। জয়ের জন্য প্রয়োজন আরও ১০৩ রান। লড়াইটা সহজ ছিল না। কিন্তু অধিনায়কোচিত ইনিংস উপহার দিয়ে গুজরাতের সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটালেন হার্দিক পান্ডিয়া। এবারের আইপিএল তাঁর কামব্যাক মঞ্চ। কয়েক মাস আগেও তাঁর ক্রিকেট ভবিষ্যৎ ছিল ঘোর অন্ধকারে। কিন্তু তারকারা যে এমনই হয়। হারিয়ে যেতে যেতে ফিরে আসেন। ভারতীয় ক্রিকেটে পেল হার্দিক-২। সেই বখাটে ছেলেটাই ভারতীয় দ্বিতীয় টি-২০ বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্নকে আরও উস্কে দিচ্ছে। হার্দিক অপরাজিত থাকেন ৪০ রানে। 
টসে হেরে প্রথম ব্যাট করতে নেমে রাজস্থান রয়্যালসের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। দ্বিতীয় ওভারেই কট বিহাইন্ড হয়ে ডাগ আউটে ফেরেন যশস্বী জয়সওয়াল (৩)। গুটিয়ে ছিলেন জস বাটলারও। তবে সঞ্জু স্যামসন শুরু করেন স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই। ২৬ বলে ৪৭ রানে সঞ্জু যখন আউট হলেন, তখন ধাক্কা অনেকটাই সামলে নিয়েছে রাজস্থান। বাটলার যেন সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। রশিদ খানের স্পিনকে সমীহ করলেও, ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। বুঝিয়ে দেন, কেন তাঁকে আইপিএল মঞ্চে বলা হয় ‘জস ইজ দ্য বস’। আর একটু হলে চলতি আইপিএলে চতুর্থ শতরান পূর্ণ করে ফেলতেন বাটলার। কিন্তু ৮৯ রানে থামতে হয় তাঁকে। তবে বৃথা গেল বাটলারের লড়াই। শেষ হাসি হাসল হার্দিক বাহিনী।

25th     May,   2022
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ