এক থেকে এখন সাত নম্বরে!
কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে গত এক বছরে অস্ট্রেলিয়া শুধু শীর্ষস্থানই হারায়নি। র্যাঙ্কিংয়ে ক্রমশ নেমেছে তারা। বর্তমান ফর্মের নিরিখে তাই টি-২০ বিশ্বকাপে অ্যারন ফিঞ্চের দলকে কোনওভাবেই ফেভারিট তকমা দেওয়া যায় না। কে বলবে ২০২০ সালের মে মাসে তারাই ছিল আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে!
এই ফরম্যাটে টানা পাঁচটি সিরিজ হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ড, ভারত, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর কিছুদিন আগে বশ মানতে হয়েছে বাংলাদেশের কাছেও। গত ২১ টি-২০ ম্যাচের মধ্যে ১৫টিতে পরাজয়ের তেতো স্বাদ সঙ্গী। জয় মাত্র ছ’টিতে। এই ফর্মের নিরিখে প্রথমবারের জন্য টি-২০ বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন সত্যি হওয়া কঠিন। তবে অস্ট্রেলিয়া মানেই লড়াকু মানসিকতা। আর জেতার মারাত্মক তাগিদ। তাই ফিনচদের উপেক্ষা করাও মুশকিল। যে কোনও সময়ে জ্বলে ওঠার ক্ষমতা রাখে অস্ট্রেলিয়া। গত দেড় বছরে অস্ট্রেলিয়াকে ভুগিয়ে চলেছে চোট-আঘাত সমস্যা। ডেভিড ওয়ার্নার, প্যাট কামিন্স, স্টিভ স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টোয়নিস, কেন রিচার্ডসনদের এই সময়ে নিয়মিত পায়নি তারা। আমিরশাহিতে অবশ্য পুরো শক্তির দল নিয়েই ঝাঁপিয়ে পড়তে তৈরি ক্যাঙারু-বাহিনী।
শক্তি
ওপেনিংয়ে ওয়ার্নার-ফিঞ্চ জুটির দিকে বড় রানের আশা থাকছে। ব্যাটিং অর্ডারের তিন নম্বরে মিচেল মার্শ স্বস্তি দিয়েছেন। চার নম্বরে পার্থক্য গড়ে দেওয়ার ক্ষমতা ধরেন ম্যাক্সওয়েল। আইপিএলে ছন্দেও দেখিয়েছে তাঁকে। মরুদেশের স্পিন সহায়ক পিচে ঘূর্ণি বলের বিরুদ্ধে বড় ভরসা স্মিথের ব্যাট। অবশ্য পেস আক্রমণ। মিচেল স্টার্ক, জস হ্যাজলউড, প্যাট কামিন্সরা গতির পাশাপাশি বৈচিত্রের অধিকারীও। ডেথ ওভারে আবার রিচার্ডসন বেশি স্বচ্ছন্দ। অ্যাডাম জাম্পার মতো লেগ স্পিনারও রয়েছেন দলে।
দুর্বলতা
স্পিনের বিরুদ্ধে অজি ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতা কারওর অজানা নয়। পাওয়ারপ্লে শেষ হওয়ার পর স্পিনারদের সামলানো তাই তাদের কাছে কঠিন চ্যালেঞ্জ। অধিনায়ক ফিনচ হাঁটুর চোটের পর থেকে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটের বাইরে থেকেছেন। আইপিএলে ওয়ার্নারের পারফরম্যান্স পাতে দেওয়ার মতো নয়। ম্যাক্সওয়েলের উপর তাই মারাত্মক চাপ থাকছে। তিনি ঝড় তুলতে না পারলেই সমস্যা। কারণ, লোয়ার মিডল অর্ডার গভীরতার অভাবে ভুগছে।