বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

চিচিড়া সর্বজনীন শারদীয়া পুজো মহোৎসব কমিটির থিম জঙ্গল সাফারি, বসবে নহবত

রাজদীপ গোস্বামী, চিচিড়া: জমিদার বাড়ির রীতি অনুযায়ী এবছরও পুজোর চারদিন গ্রামে নহবত বসবে। সন্ধিপুজোর দিন এলাকার যুবকরাই বিশেষ সাইরেন বাজিয়ে সঙ্কেত পৌঁছবেন গ্রামের চারপাশে। জামবনী ব্লকের চিচিড়া সর্বজনীন শারদীয়া পুজো মহোৎসব কমিটির পুজো ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে উন্মাদনা। এবছর তাদের পুজোর ১৪১তম বর্ষ। পুজো কমিটির সদস্যরা থিম হিসেবে বেছে নিয়েছেন ‘জঙ্গল সাফারি’। জঙ্গলের আদলে তৈরি হচ্ছে পুজোর প্যান্ডেল। গ্রামের যুবকরাই পড়াশোনার ফাঁকে প্যান্ডেল তৈরির কাজ করছেন। ওই এলাকার পাঁচটি গ্রামের মানুষ এই পুজোর সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িয়ে রয়েছে। জঙ্গল সাফারি দেখতে এবছর রেকর্ড ভিড় হবে বলে মনে করছেন পুজো কমিটির সদস্যরা।
পুজো কমিটির সভাপতি দিলীপ বারিক বলেন, বহু ঐতিহ্য রয়েছে এই পুজোর। জমিদার বাড়ির রীতি রেওয়াজ আমরা একেবারে ভুলে যাইনি। সেই রীতি মেনে এবছরও পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে। এই এলাকার যুবকরা প্যান্ডেল তৈরির কাজ করছেন। সকলকে এই পুজো দেখতে আসার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, প্রায় ২০০ বছর আগে ওই এলাকায় খগেন্দ্রনাথ প্রামাণিক ও জ্ঞানেন্দ্রনাথ প্রামাণিক শুরু করেন জমিদার বাড়ির পুজো। সেই সময় ওই এলাকার একমাত্র পুজোকে কেন্দ্র করে মানুষের উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। জমিদার বাড়ির সামনেই বসত নহবত। তা দেখতে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধারণ মানুষ আসতেন। একইসঙ্গে অষ্টমী ও নবমী পুজোর সন্ধিক্ষণে জমিদার বাড়ির তরফে বিশেষ সাইরেন বাজানো হতো। যাতে গ্রামবাসীরা সন্ধিপুজো শুরুর বার্তা পান। এছাড়া সেই সময় বন্দুক চালানো হতো। বিসর্জনে কাঁধে চাপিয়ে মা দুর্গাকে নিয়ে যেতেন গ্রামবাসীরা। পরবর্তী সময় জমিদার বাড়ির তরফে গ্রামবাসীর কাছে পুজো অর্পণ করা হয়। তবে জমিদার বাড়ির রীতিগুলি আজও বর্তমান। এখন সন্ধিপুজোর শুরুতে শূন্যে বন্দুকে গুলি চালানো হয়। পুলিসের তরফে তা করা হয়। 
ওই এলাকার যুবক শঙ্খদীপ কামিলা, বিকি প্রামাণিক বলেন, এর আগে সরস্বতী পুজোর সময় প্যান্ডেল তৈরি করেছিলাম। তবে এবছর পুজো কমিটির সদস্যরা বড় দায়িত্ব দিয়েছেন। সকলে সাহায্য করায় থিমের প্যান্ডেল তৈরি সম্ভব হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু পুজার্চনা নয়, মানুষের বিপদে এই কমিটির সদস্যরা সর্বদা পাশে থাকেন। করোনা মহামারীর সময়ও কমিটির সদস্যরা সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে খেলাধুলো ও পড়াশোনায় কমিটির সদস্যরা এলাকার যুবক ও যুবতীদের উৎসাহ দেন। 
পুজো কমিটির সদস্য বাপ্পাদিত্য প্রামাণিক, শুভ্রাংশু কর, মানস কামিলা, পার্থসারথী দাস, জগদীশ রানা, কৃষ্ণানু শীট বলেন, এই পুজো কমিটির মূল মন্ত্র একতা। প্রত্যেক সদস্য প্রচুর পরিশ্রম করেন। এবছর থিমের পুজো দেখতে রেকর্ড পরিমাণে ভিড় হবে। পুলিস ও প্রশাসনও খুবই সাহায্য করে।

4th     October,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ