বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

হলদিয়ায় পুজো বৈঠকে বেহাল রাস্তাই হয়ে উঠল মুখ্য আলোচ্য

সংবাদদাতা, হলদিয়া: স্যার, হলদিয়ার রানিচক রেল ক্রসিংয়ের কাছে সড়কে বিশাল গর্ত। পুজোর সময় ওই রাস্তায় প্রচুর মানুষ চলাচল করেন, গাড়ি চলে। পুজোর আগে রাস্তা কি সারানো হবে? ওরিয়েন্টাল ক্লাব কর্তার এই প্রশ্ন শেষ হতে না হতেই মাইক্রোফোন টেনে নিলেন দেভোগ ভবানীপুর সর্বজনীন সঙ্ঘের এক মহিলা সদস্য। তিনি বলেন, আমারও স্যার একই প্রশ্ন। মোরাম রাস্তার কাছে সড়কে বড় বড় গর্ত। পুজোর আগে কি সারানো হবে? মঙ্গলবার পুজোর প্রশাসনিক মিটিংয়ে হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের বেহাল রাস্তা নিয়ে এভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন পুজো কমিটির কর্মকর্তারা। তাঁদের আশঙ্কা, খারাপ রাস্তার কারণে যে কোনও সময়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারেন দর্শনার্থীরা। উৎসবের সময় শিল্পশহরের বাসিন্দরা মূলত প্রাইভেট গাড়ি বা ভাড়া করা টোটো ও অটো নিয়ে পুজো দেখতে বের হন। ছোট গাড়ি হওয়ার কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এদিন হলদিয়া পুরসভার প্রেস কর্নারে ওই সভায় পুজো কমিটিগুলির প্রশ্নের কাছে রীতিমতো অস্বস্তি পড়লেন হলদিয়ার মহকুমা শাসক তথা পুর প্রশাসক, এসডিপিও সহ আধিকারিকরা। এই প্রশ্নের পরই শুরু হয় রাস্তা কার এনিয়ে চোখ চাওয়া চাওয়ি। পরে অবশ্য মহকুমা শাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, দু’টি রাস্তা সারানোর দায়িত্ব হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের। ওদের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত রাস্তা সারানো হবে। তবে, পুজো কমিটিগুলির উদ্বেগ, যেভাবে একের পর এক নিম্নচাপ ও বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে আদৌ রাস্তা সারানো হবে কি না সংশয় রয়েছে। বাসিন্দারা বলেন, হলদিয়া শহরের মূল সড়কগুলির অবস্থা বেহাল হয়েছে। রানিচক, চিরঞ্জীবপুর সহ এক্সাইড রোড, এইচপিএল লিঙ্ক রোড দুটিরই দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থা। এই দু’টি রাস্তার মাধ্যমেই হলদিয়ার টাউনশিপ সহ বিস্তীর্ণ এলাকার সঙ্গে দুর্গাচক টাউনের যোগাযোগ হয়। দু’টি এলাকাতেই বড় বড় পুজো হয়। বেহাল রাস্তার জন্য এবার মানুষ বিপাকে পড়বেন বলে পুজো কমিটিগুলির অভিযোগ। তাদের বক্তব্য, আগে থেকে প্রশাসন কোনও উদ্যোগই নেয়নি। ফলে বিশ্বকর্মা পুজোর সময়ও একই অবস্থা হয়েছে। এদিন হলদিয়া মহকুমার পাঁচটি ব্লকের দেড় শতাধিক পুজো কমিটির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কীভাবে ফায়ার, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, বিদ্যুৎ প্রভৃতির জন্য পোর্টালে আবেদন করতে হবে তা বুঝিয়ে দেন আধিকারিকরা। মহকুমা শাসকের দপ্তর, ৬টি থানার ওসি, আইসি সহ পুলিস আধিকারিক, দূষণ, বিদ্যুৎ দপ্তর সহ সমস্ত দপ্তরের আধিকারিকরা ওই বৈঠকে ছিলেন। পুজোর সময় হলদিয়া ও মহিষাদল এলাকায় রাজ্য সড়কে পঞ্চমী থেকে একাদশী পর্যন্ত ভারী যান বিকেলের থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানান ট্রাফিক পুলিসের আধিকারিক। মহকুমা শাসক বলেন, পুজোয় শব্দবাজি ব্যবহার ও ডিজে বক্সের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পুজো কমিটিগুলিকে রাতে আবশ্যিকভাবে নিজস্ব দু’জন করে নাইট গার্ড রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসডিপিও রাহুল পান্ডে বলেন, এবার হলদিয়া মহকুমায় পুজোয় দু’টি বিষয়ের উপর পুরস্কার দেবে মহকুমা প্রশাসন ও পুলিস। একটি সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখা এবং অন্যটি দর্শনার্থী সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণ ও পুজো মণ্ডপে আইনশৃঙ্খলা। মোট ছ’টি পুজো কমিটিকে পুরস্কার দেওয়া হবে।  নিজস্ব চিত্র

4th     October,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ