বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

অসমে জেল খেটেও দমেনি ‘ধৃত’ গায়েত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: একেই বলে, বুড়ো হাড়ে ভেল্কি! বয়স ৬৯ বছর। কিন্তু মাদকের ক্যারিয়ার হিসেবে লালগোলার গায়েত্রী হালদার এখনও প্রথমের সারিতেই রয়েছে। এখনও শিরদাঁড়া টানটান রেখে পুলিসের প্রশ্নের জবাব দেয়। দিনের পর দিন মাদক ও মাদকের কাঁচামাল পাচার করলেও একটুও অনুতপ্ত নয় সে। বৃদ্ধার এই মানসিকতায় রীতিমতো অবাক পুলিসকর্মীরাও। এর আগেও মাদক পাচারের কাজ করতে গিয়ে অসমে ধরা পড়ে সে। দীর্ঘদিন সংশোধনাগারে থেকেও কোনও সংশোধন হয়নি তার। জেল থেকে ছাড়া পেয়েই ফের পুরনো ফর্মে। পুনরায় মাদক পাচারের কাজে নেমে পড়ে বৃদ্ধা। 
অসম থেকে মরফিন আনার খবর পেয়ে গত বুধবার বহরমপুরে হানা দেয় এসটিএফ। তিন মাদক কারবারিকে হাতেনাতে পাকড়াও করে। তাদের মধ্যে অন্যতম লালগোলার বৃদ্ধা। গায়েত্রী একাই গুয়াহাটি থেকে মাদক নিয়ে বহরমপুর এসেছিল। তার কাছ থেকে এক কোটি টাকার মাদক উদ্ধার করা হয়। ওই মরফিন নদীয়ার পলাশীপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল হামিদ ওরফে বুরহান ও সোহেল রানা শেখের হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল বৃদ্ধার। হাত বদল হওয়ার আগে এসটিএফ ধরে নেয় তাদের। বহরমপুর থানায় মাদক আইনে মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এসটিএফ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এসটিএফের তদন্তকারী আধিকারিকরা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচ্ছেন। সেই তথ্য অনুসারে আরও মাদক কারবারির ব্যাপারে খোঁজখবর শুরু করেছেন তাঁরা। 
এর আগেও উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে মাদক আনতে গিয়ে পুলিসের হাতে ধরা পড়ে যায় গায়েত্রী। অসমে জেল খাটে। এসটিএফ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, আমরা ওই মহিলার ব্যাপারে আরও তথ্য সংগ্রহ করছি। ওর পরিবারের আর কেউ এই কাজের সঙ্গে যুক্ত কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই মাদক কারবারে যুক্ত থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আগামীতে আমাদের লাগাতার অভিযান চলবে। 
একসময় লালগোলা ছিল হেরোইন তৈরির স্বর্গরাজ্য। সেই সময় গায়েত্রী হেরোইনের কারবার শুরু করে। উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে কাঁচামাল এনে লালগোলায় হেরোইন তৈরি করত একটি গ্যাং। সেই গ্যাংয়ের অন্যতম সদস্য ছিল গায়েত্রী। তাদের অনেকে পুলিসি ধরপাকড়ের ভয়ে এখন এলাকাছাড়া। বারবার পুলিসি অভিযানে লালগোলার চিত্র বদল হলেও কিছু কারবারি এখনও অন্যান্য জায়গা থেকে কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। মাদক কারবারে যুক্ত একাধিক জন গ্রেপ্তারের পরেও কাঁচামাল আমদানি ও মাদক পাচার একেবারে বন্ধ হয়নি। গায়েত্রীর মতো আর কোন কোন পুরনো কারবারি এখনও মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত আছে, সেটাই খুঁজে বের করছে এসটিএফ।
তবে ওইদিন গায়েত্রীর সঙ্গে নদীয়ার যে দু’জন যুবক গ্রেপ্তার হয় তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন যে মাদকের কাঁচামাল মরফিন নদীয়াতেই নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। সেখানেই হেরোইন তৈরি করা হতো।  ধৃত গায়ত্রী হালদার। নিজস্ব চিত্র

4th     October,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ