বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

বাঁকুড়ায় ভারী বৃষ্টির জেরে ভাঙল ৪২৫টি কাঁচা বাড়ি

নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: নিম্নচাপের জেরে মঙ্গলবারও বাঁকুড়ায় বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এদিকে মুকুটমণিপুরে কংসাবতী জলাধার থেকে জল ছাড়ার পরিমাণও বাড়ানো হয়েছে। এদিন দুপুর ২টো থেকে জলাধারে ২০ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছে। জেলায় ভারী বৃষ্টির জেরে এখনও পর্যন্ত ৪২৫টি কাঁচাবাড়িও ভেঙে পড়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। 
গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি শুরু হয়েছে জেলায়। সোমবার বেলায় বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমলেও সন্ধ্যার পর ফের তা বাড়ে। রাতভর বৃষ্টি চলে। এদিন সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়। তাতেই অসুবিধায় পড়েন বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। তারমধ্যে বাঁকুড়ায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। 
উল্লেখ্য, গত শনিবারই বিষ্ণুপুরে মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে তিন শিশুর মৃত্যু হয়। তারপর রবিবার ছাতনায় দেওয়াল ধসে এক বৃদ্ধা প্রাণ হারিয়েছেন। টানা বৃষ্টি হওয়ায় জেলায় কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়ার সংখ্যাও বাড়ছে। বৃষ্টি চলতে থাকায় মাটির বাড়িতে বাসবাসকারীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই ভয়ে প্রতিবেশীদের পাকা বাড়িতে রাত কাটাচ্ছেন। 
মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত পাওয়া প্রশাসনের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাঁকুড়ায় ৪২৫টি কাঁচা বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৪৩৭টি বাড়ি। বাঁকুড়ায় বিভিন্ন ব্লকে এদিনও ১২টি ত্রাণ শিবির চলেছে। সেখানে ১১৬ জন দুর্গতকে রাখা হয়। তবে জেলায় ১৭হাজার ৫৬৪জন বাসিন্দা ভারী বৃষ্টির জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। জেলাজুড়ে ৯৭০ জনকে উদ্ধার করেছে প্রশাসন। 
প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, অনেক দুর্গত ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন। অনেকেই আবার আত্মীয় বাড়িতে গিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ সামগ্রী, ত্রিপল প্রভৃতি দেওয়া হচ্ছে। তারসঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। কংসাবতী জলাধার থেকে নদীতে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়িয়েছে সেচদপ্তর। গত সোমবার পর্যন্ত মুকুটমণিপুর থেকে ১০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়। কিন্তু বৃষ্টির ফলে ড্যামে জলের পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। তাই এদিন ২০ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছে। একইসঙ্গে দুটি সেচ খাল দিয়েও চার হাজারের বেশি কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছে। যদিও এরজন্য জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই বলে সেচদপ্তরের আধিকারিকদের দাবি।
তবে লাগাতার বৃষ্টির জেরে বাঁকুড়ায় কিছু জায়গায় জল দাঁড়িয়েছে। তারমধ্যে ছাতনার চণ্ডীদাস বিদ্যাপীঠের একাধিক শ্রেণিকক্ষ, স্টাফরুম ও প্রধান শিক্ষকের অফিসে জল ঢুকে যায়। ফলে এদিন ওই স্কুলে পঠনপাঠন বন্ধ রাখা হয়। স্কুলের নানা সামগ্রী ও নথি নষ্ট হয়েছে বলে দাবি প্রধান শিক্ষক ব্যাসদেব চক্রবর্তী। ছাতনার শালডিহা গ্রামের কয়েকটি বাড়ি ও প্রাথমিক বিদ্যালয়েও জল ঢুকে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা সিদ্ধেশ্বর মুখোপাধ্যায়, সাধন মুখোপাধ্যায় বলেন, বৃষ্টির ফলে জল জমেছে। স্কুলের পঠনপাঠন করানো যায়নি। 
দামোদর লাগোয়া বড়জোড়া, মেজিয়া, সোনামুখী, পাত্রসায়র প্রভৃতি ব্লকে সতর্কতা নিয়েছে প্রশাসন। তারসঙ্গে ত্রাণ শিবির, স্পিড বোট, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

4th     October,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ