বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

বিঘার পর বিঘা ধান, সব্জি চাষের জমি জলের তলায়, চিন্তায় চাষিরা

সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে প্রচুর পরিমাণ জল ছাড়ায় সোনামুখীর সমিতি মানায় জল ঢুকে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। আমন ধান সহ মরশুমি সব্জি ডুবে যাওয়ায় চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে। সোমবার বিকেল থেকে দামোদর ফুঁসতে শুরু করে। মঙ্গলবার ভোরে গ্রাম লাগোয়া জমি বন্যার জলে প্লাবিত হয়। এদিন বিকেল পর্যন্ত গ্রামের ভিতরে না ঢুকলেও বিঘার পর বিঘা জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। ফসল নষ্টের আশঙ্কায় অনেকেই তড়িঘড়ি তা তুলে ফেলার চেষ্টা করছেন। যদিও চাষিরা ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়বেন বলে তাঁরা আশঙ্কা করছেন। 
এবিষয়ে বিষ্ণুপুর মহকুমা কৃষিদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, বেশিদিন জলে ডুবে থাকলে ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই জমির ফসল কাঁচা অবস্থাতেই যতটা সম্ভব তুলে ফেলা দরকার। পরবর্তী পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক অনুপ কুমার দত্ত বলেন, সোনামুখীতে দামোদরে জলস্তরের দিকে সর্বক্ষণ নজর রাখা হয়েছে। এলাকায় ত্রাণশিবিরের ব্যবস্থা রয়েছে। গ্রামে জল ঢুকলে বাসিন্দাদের যাতে দ্রুত ত্রাণশিবিরে আনা হয়, সেব্যাপারে ব্লক প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাসিন্দাদের এব্যাপারে মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা নরেশ রায় বলেন, আমার প্রায় এক বিঘা জমিতে পটলের চাষ রয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে হঠাৎ করে চাষের জমিতে জল ঢুকে পড়েছে। জমিতে হাঁটু সমান জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। তাই যতটুকু বাঁচাতে পারি তারজন্য কচি পটল ভেঙে ঘরে নিয়ে যাচ্ছি। আমন সহ অন্যান্য সব্জিও চাষ রয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে সবমিলিয়ে আমি প্রায় তিন লক্ষ টাকা ক্ষতির মুখে পড়ব। ধার করে চাষ করেছি। তা কীভাবে শোধ করব বুঝে উঠতে পারছি না। স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামল বিশ্বাস বলেন, ফসল নষ্টের আশঙ্কা করছি। এভাবে চলতে থাকলে গ্রামেও জল ঢুকে যাবে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকাল থেকে দফায় দফায় দুর্গাপুর ব্যারেজের জল দামোদরে ছাড়া হচ্ছে। তাতে দামোদরে জলস্তর হুহু করে বেড়েছে। সোনামুখীর ডিহিপাড়া, রাধামোহনপুর ও পূর্ব নবাসন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় নদে কানায় কানায় জল বয়ে যাচ্ছে। তারমধ্যে সমিতি মানা এলাকাটি বেশ কিছুটা নিচু। তাই ওই এলাকায় নদের জল উপচে চাষের জমিতে চলে আসে। নদের চর হওয়ায় ওই এলাকার মাটি খুবই উর্বর। তাই সেখানে বছরে চারবার ফসল হয়। মঙ্গলবার ভোরে দামোদরের জল উপচে এলাকায় ঢুকে পড়ায় বিঘার পর বিঘা চাষের জমি প্লাবিত হয়ে গিয়েছে। চাষিরা জানিয়েছেন, ব্যারেজে জল ছাড়া বন্ধ না করা পর্যন্ত ওই জল নামবে না। 

4th     October,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ