বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

গ্রামগুলি থেকে মাটি আনার লোক নেই, বিপাকে বিজেপি

নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: সংগঠন মজবুত করতে গ্রামে গ্রামে মাটি সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। গ্রামের মাটি দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে বলে প্রচার করে সংগঠনে ঝাঁকুনি দেওয়াই উদ্দেশ্য ছিল শীর্ষ নেতৃত্বের। কিন্তু পূর্ব বর্ধমানে বিজেপির গ্রামে যাওয়ার লোক নেই। সেকারণে এই কর্মসূচি তাদের মাটি হয়ে যেতে বসেছে। তারা ৩০-৪০টি গ্রাম থেকে মাটি সংগ্রহ করতে পেরেছে। বাকি গ্রামে যাওয়ার লোকই পাচ্ছে না তারা। তা নিয়ে নেতৃত্বকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে সংগঠনের এই হাল হওয়ায় রাজ্য নেতৃত্বও বিরক্তি প্রকাশ করেছে। 
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, নেতা-কর্মীরা গ্রামে গিয়ে মাটি সংগ্রহ করে এনে ব্লকে রাখবেন। ব্লকের নেতারা তা দিল্লি নিয়ে যাবেন। নেতাদের টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। সক্রিয় কর্মী না থাকায় তাদের সেই টার্গেট পূরণ হচ্ছে না। বিজেপি নেতা নরেশ কোনার বলেন, জেলায় সব কর্মসূচি ব্যর্থ হচ্ছে। দক্ষ নেতৃত্বের অভাবে কর্মীরা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। যাঁরা কাজের লোক সংগঠনে তাঁদের গুরুত্ব নেই। যাঁরা নেতাদের মন জুগিয়ে চলেন তাঁদের প্রাধান্য বেশি। তারজন্যই সংগঠনের এই অবস্থা। মাটি সংগ্রহের মাধ্যমে জনসংযোগ বাড়ানোর লক্ষ্য ছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। কর্মসূচি সফল করার চেষ্টা জেলার নেতাদের নেই। কর্মসূচি সম্পর্কে প্রচারও সেভাবে করা হচ্ছে না। 
দলীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জেলায় এসে এই কর্মসূচির গতি বাড়ানোর নির্দেশ দেন। তিনি নিজেও বর্ধমানে সর্বমঙ্গলা মন্দির চত্বর থেকে মাটি সংগ্রহ করেছিলেন। তবে তাঁর সফরের পরও জেলা নেতাদের টনক নড়েনি। ওই বৈঠকে রাজ্য সভাপতি জেলার সংগঠনের হাল দেখে বিরক্তি প্রকাশ করেন। বহু বুথে এখনও বুথ সভাপতি নেই। তিনি তা নিয়ে জেলার নেতাদের কাছে কৈফিয়ত চান।
বিজেপির বহিষ্কৃত নেতা শ্যামল রায় বলেন, কয়েকজনের জন্য জেলায় সংগঠন কোমায় চলে গিয়েছে। আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। জেলার মাটি চেনেন না এমন নেতাদের সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারফলে যা হওয়ার সেটাই হচ্ছে। গ্রামে গিয়ে মাটি সংগ্রহ করার মতো মানসিকতা তাদের নেই। দলের এক নেতা বলেন, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে সংগঠন দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। জেলা কমিটি নিয়ে দলের একাংশ ক্ষোভে ফুঁসছেন। নেতারা পাশে না থাকায় অনেক পুরনো কর্মী নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছেন। বিধানসভা নির্বাচনের পর নেতাদের ময়দানে দেখা যায়নি। কর্মীদের বড় অংশ লোকসভা নির্বাচনের আগে ময়দানে নামতে চাইছেন না। সেই কারণে কোনও কর্মসূচি সফল হচ্ছে না। বিজেপি নেতা সুধীররঞ্জন সাউ বলেন, এখনও ওই কর্মসূচি শেষ হয়নি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিশ্চয়ই বেশিরভাগ গ্রামে পৌঁছবেন আমাদের কর্মীরা।

26th     September,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ